তথাগতকে বললাম, 'মহাকারুণিক বুদ্ধ, বাবার কথা খুব মনে পড়ে।'
তিনি বললেন, 'নদী আর সমুদ্রের ডিএনএ একই।'
বললাম, মা'র জন্য কিছুই করতে পারিনি।'
উত্তরে বললেন, 'বীজের সাধ্য নাই গাছকে কিছু দেয়
তবু বীজের ভেতর লুকিয়ে থাকে মাতৃগাছের বাগান।'
'স্ত্রীর জন্য জীবন ঘষে বের করছি আদি আগুন
কিন্তু তার মনের মহাকাশে একটাও অনুকাব্যিক নক্ষত্র ফোটাতে পারিনি, প্রভু।' সখেদে বললাম।
তিনি বললেন, 'মুখের ভেতর পৌরাণিক পাথর রেখে
তার ভেতর থেকে একটা ঝর্ণা বের করতে পারো নৃত্যপটিয়সী
কিন্তু স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যা।'
'আর সন্তান?' দু'চোখে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা রেখে বলি, 'তাকে তবে কী দিয়ে যাবো?'
মহাকারুণিক বললেন, তুমি আকাশটাকে বিদ্যুতের ঝালাই দিয়েও যদি রেখে যাও
সে পাউরুটি ভেবে তা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে।'
'কি করি তবে?' সজল চোখে বলি।
তিনি বললেন, 'পারো যদি একটা ফুল ফোটাও তবে
রঙরাজ কিংবা ঘ্রাণরাজ।'
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩