পুরোনো শহর। পুরোনো বাড়ী, রাস্তাঘাট- চারপাশ
সবকিছুই- তবু ফাগুনের জোয়ারী বাতাসে কি যেনো আমেজ,মুড়মুড়ে গাছের পাতার আর্তনাদে সচকিত হয় যেখানকার ব্যস্ততা, কোলাহল, বাঁকী সময় থাকে
আবেশিত নির্জনতা।
কয়েকটা দালান বাড়ীর সাথে সবুজ গাছের ছিল
নিবিড় বন্ধন, সেই শহরে ছিলো এক পুরনো বাড়ী
প্রকৃত রঙের উপস্থিতি ছিল টেলিস্কোপিক দর্শনের মতো
বিভিন্ন ফুলের আড়ম্বরে ছাদটা বেশ যত্নে সাজানো
হারানো দিনের স্মৃতিতে যতটুকু মনে পড়ে
লতানো গাছটিতে সাদা অপরাজিতা ফুটতো।
হঠাৎ একদিন পড়ন্ত বিকেলে ধুম্র সেখানে এলো ব্ন্ধুদের সাথে, ধুম্রের বয়স তখন পনেরো কি ষোল হবে
উঠতি বয়সের বাধাহীন আবেগের সার্থক প্রতিচ্ছবি
অকারণ হাসি অথবা অভিমান যখন চরিত্রে
মিশে যেতো মনের অজান্তে
ছদ্মবেশ যা ছিলো তা হয়তো অতিরিক্ত ভদ্রতা
ভাব বিনিময়ের কলাকৌশল ছিলো অনেকটাই দুর্বোধ্য
কোনো এক বিকেলে ধরা পড়লো হ্যালিসের ধুমকেতু
সেই ছাদে জ্যোতির্ময়ী আলোকোচ্ছ্টা
ধবধবে সাদা তনু অঙ্গের দীর্ঘকালোকেশী
অকৃত্রিম মুগ্ধতার মায়াবী মুখায়বয়ব
যে রূপ চিন্তে ধ্যান চ্যুত হয় মহর্ষির
সেই চিত্তহরিণীর পানে যোগ হয়েছিলো
হলুদিয়ার উচ্ছ্বল যৌবনের আমন্ত্রণ
সেই মহেন্দ্রক্ষন, ক্ষনকাল দৃষ্টি বিনিময়
আবার অদৃশ্য হল, স্মৃতিময় প্রেমে প্রস্থান ধুম্রের
সে প্রায়ই আসতো
দেখা হতো, কথা হতো - তবে চোখে চোখে
ঋতুর ঘুর্ণনে ফুলগুলো সব ঝরে গেছে
সেই জোয়ারী বাতাসও আর নেই
ধুম্র বসে থাকে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত
সক্ষ্যতা হয় মহাকাশের কৃষ্ণ গহবরের সাথে
কিন্তু সেই হারানো দিনের ঘ্রাণ আজও বিদ্যমান
শুধু সে আর আসে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২