ল্যাপটপ আমাদের জরুরী একটা জিনিস । এটা আমরা যারা ব্যবহার করে থাকি তারা সাধারনত ডেস্কটপ চালানোর কম সময় পাই বা দৌড়ের উপর থাকতে হয় । যাই হোক এটার প্রয়োজনীয়তা বলের আমি শেষ করতে পারব না । যারা যারা ব্যবহার করেন তারা ভালোভাবেই জানেন এটার কি গুনা গুন ।
আলাপ আর লম্বা না করি । এবার মূল কথায় আসি ।
যারা ল্যাপটপ কিনে বা কিনবেন তারা তো প্রথমেই কনফিগারেশনের দিগে তাকান । কিন্তু এর পরে যে বিষয় টি দেখতে হয় তা হলো ব্যাটারীর ব্যাকআপ।
আমি অন্তত নিজেও সবাই কে এটাই সাজেষ্ট করি যে ভালো মানের ব্যাকআপওয়ালা ল্যাপটপ কিনতে । কারন ব্যাকআপ না থাকলে বা সময় মত এটি দিয়ে কাজ না করতে পাররে যে কি রকম বিরক্তি বা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তা ভুক্তভোগীরাই ভালো জানেন ।
(সেদিগে আর গেলাম না অভিজ্ঞরা চাইলে শেয়ার করতে পারেন)
যাই হোক ল্যাপটপ তো কেনা হলো ! এবার দ্বায়িত্ব আপনার , যে আপনি কিভাবে এটাকে ব্যবহার করবেন ।
আপনার ব্যাবহারের উপর নির্ভর করবে এটার ব্যাটারির সার্পোট টাইম কিরকম পাবেন । তো আসুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমরা দীর্ঘ দিন ব্যাটারীকে ভালো রাখতে পারি ।
১. ল্যাপটপ কে কখনও সোফা,ম্যাট্রেস বা কার্পেটে রাখবেন না ।
ল্যাপটপের জন্য air circulation টা খুব দরকার ।
ধরুন আপনি ল্যাপটপটা সোফাতে রাখলেন , তাহরে এটিকে অনেক কষ্ট করে air circulation করতে হয় । যার ফলে ব্যাটারীর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে । ফলে ব্যাটারীর লাইফ আপনার অজান্তেই কমে ।
যদি ব্যবহার করতেই হয় তবে cooling pad ব্যবহার করুন, যাতে এর আশেপাশের তাপমাত্রা কম থাকে ।
২. ঘন ঘন plug এবং unplug করলে ব্যাটারীর লাইফ কমে । তাই এটি থেকে বিরত থাকুন ।
৩. সরাসরি সূর্যালোকে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না । এটি ল্যাপটপ ও ব্যাটারী উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর ।
৪. চাজিং অবস্থায় ল্যাপটপ কে বন্ধ করুন বা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটিকে Sleep Mode এ নিয়ে যান ।
৫. আঘাত এবং পানি এই দুটো জিনিস থেকে যতদুর সম্বব ল্যাপটপকে সরিয়ে রাখুন ।
৬. মাসে অন্তত একবার ব্যাটারীকে 0% নিয়ে যাবেন ব্যবহার করতে করতে ।এবং পরে ফুল চার্জ করে ব্যবহার করবেন । এটি আপনার ব্যাটারীর জন্য ফলদায়ক হবে । মনে রাখবেন মাসে এটি মাত্র একবার ।
* ভারী কাজ ল্যাপটপে না করাই ভালো । এর ফলে এটির র্যাম বেশী ব্যবহার হয় । যা এসব কাজের জন্য অনেক বেশী virtual memory দরকার পড়ে ।
৭. Battery Care বা Battery Doubler নামক সফটওয়্যারগুলো ব্যবহারের দ্বারা আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারীকে নিয়ন্ত্র্রন করতে পারেন ।
৮. ল্যাপটপ কে stand by রাখবেন না , দরকার হলে hibernating রাখুন ।
৯.Lower graphic ব্যবহার করুন এবং ল্যাপটপের স্ক্রিন কে dim করে রাখুন ।
১০. ল্যাপটপের পাওয়ার কে optimize করে ব্যবহার করুন । মনে রাখবেন ম্যাক্সিমাম ব্যাটারী , ম্যাক্সিমাম ইফেক্ট ।
১১. ব্যবহার শেষে Unplug করে রাখুন external device
১২. স্ক্রিন সেভার হিসেবে কিছু ব্যবহার না করাই ভালো , সম্ভব হলে তা ফাকা রাখুন ।
১৩. CD/DVD ব্যবহারের চেয়ে পেন ড্রাইভ বা হার্ডডিস্কের মেমোরী ব্যবহার করা । অর্থাৎ CD/DVD কম ব্যবহার করা ।
১৪. ল্যাপটপের সাথে অরিজিনাল ব্যাটারী এবং চার্জার ব্যবহার করা ।
১৫.battery contacts গুলো সবসময় পরিস্কার রাখা ।
১৬. আপনার ল্যাপটাপ কে ভালোবাসুন , দীর্ঘ সময় এটিকে ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন ।
** Battery Care বা Battery Doubler এই সফটওয়্যার গুলো ল্যপটপের ব্যাটারীকে মেইনটেইনই করে না শুধু ব্যাটারীর লাইফ টাইম ও বৃদ্ধি করে !
এই দুটি সফটওয়্যারের জন্য ঘরে আসুন আমার ফেসবুকের গ্রুপটি থেকে ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:২৯