উপরের বাড়িটিতে যে এ.সি গুলো দেখা যাচ্ছে তার প্রত্যেকটি ২.৫ থেকে ৪ টনের এ.সি।
একটি ৪ টনের এসি প্রতি ঘন্টায় ৬৫০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে। এর পরিমাণ কতটুকু তা একটি উদাহরন দিলে স্পষ্ট হবে। একটি ৪ টনের এসি যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করে তা দিয়ে , ৩০ টি গ্রামের এক দিনের/২৪ ঘন্টার বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা যায়। আর ১ টনের একটি এসি দিয়ে আট দশটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব।
আমাদের দেশে এ বিলাস সামগ্রীর পেছনে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় করা হয় , তা কারওয়ান বাজারের একটি ভবন এর উদাহরণ দিলেই স্পষ্ট হবে। এরকম কয়েক হাজার ভবন রয়েছে খোদ ঢাকা শহরেই।
নিচের ছবিটি একটি গাড়ির শোরুম।
কারওয়ান বাজারের আরো একটি ভবনের ছবি।
উপরের ছবিগুলোতে যে এ.সিগুলো দেখা যাচ্ছে তা অফিসের কর্মকর্তাদের জন্য , যারা এমনিতেই যথেষ্ট আরাম আয়েশে জীবনযাপন করেন। এদের প্রায় সবার-ই বেতন আনুমানিক ৫০ হাজার থেকে দেড় লক্ষটাকা অথবা তার চেয়েও বেশি। অথচ এদের বাড়তি আরাম আয়েশ নিশ্চিত করার জন্য আমজনতা কি ভয়াবহ রকমের মাশুল দিচ্ছে!!
আর এসব এ.সি থেকে নির্গত তাপ ও বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশের কি ক্ষতিসাধন করছে তা আর নাই বললাম! তা দেখার ভার পরিবেশ বিজ্ঞানিদের উপর রইলো ।
কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় যে কেউ এদিকে নজর না দিয়ে , বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার নানারকম আজগুবি অদ্ভুত কায়দা কানুন তৈরী করছে যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নগণ্য ভূমিকা পালন করবে। আর এইসব উদ্ভট নিয়ম নীতির কারণে সাধারন আমজনতার দূর্ভোগ বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। একদিকে অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা অন্যদিকে চরম দারিদ্র্যতা,অভাব-অনটন সত্যিই দু:খজনক।