মানুষ এখন ডাটা ব্যবহার করে কথা বলছে বিভিন্ন ভয়েস এপস ইউজ করে, আর অপারেটর গুলি এর শোধ তুলছে ভয়েস কল এর উপর দিয়ে । সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নিন্ম আয়ের মানুষেরা যারা ফিচার ফোন ইউজ করে।
MNP চালু হবার নাম করে আরো একবার মানুষের ঘাড় চেপে ধরা হল। এটা করা হল যাতে বাজার এর সবচেয়ে ভাল প্যাকেজ মানুষ ইউজ করতে পারে । ২৫-৪৩ পয়সার কল এখন ২.২০ টাকা দিয়ে কথা বলছি । তারা জোট বেধে ঠিক করেছে পোস্ট পেইড থেকে প্রিপেইডে আশা যাবে না ।
অপারেটরর গুলিকে কিছু বললেই , রাজস্ব কমে যাওয়ার ভয় দেখায়, অথচ তাদের কাছে তাদের হিসাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা বাকি থাকে।
দেশে মোবাইল ফোন সেবা চালু হয় ২৯ বছর আগে , বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চালু হয়েছে এর ১৩ বছর পর ২০০২ সালের জানুয়ারিতে।
তবে কোন মোবাইল অপারেটর তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্কে (অননেট) কী পরিমাণ কল আদান-প্রদান করছে তা জানার নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। বিটিআরসিকে অপারেটরদের প্রতিবেদনের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে তথ্যের জন্য এবং এ তথ্য বিনা প্রমাণে মেনে নিয়ে রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে। একই অবস্থা ইন্টারনেট ডাটা এবং বিভিন্ন মূল্য সংযোজিত সেবার ক্ষেত্রেও। কিন্তু মোবাইল অপারেটরদের ওই প্রতিবেদনে যে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই।
এদের এই সাগর গোজামিল এর হিসাব মিলানোর জন্য TOMC এর দরকার। বিটিআরসিতে এমন একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন, যা তথ্য সংগ্রহ এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে; সেই সঙ্গে অপারেটরদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য রিয়েল টাইম (বাস্তব সময়ে) পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
বর্তমান ব্যবস্থায় মোবাইল অপারেটররা অননেট ভয়েস কল, ডাটা ট্রাফিক—এসবের সঠিক পরিমাণ জানাচ্ছে না বলে সরাসরি উল্লেখ না করা হলেও ওই কার্যপত্রে বলা হয়, ‘টিওএমসি স্থাপনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হওয়ার ফলে প্রতিবছর রাজস্ব আয় বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।
এখন কথা হল, TOMC দিয়েও কি ওদের ঠেকানো যাবে ?
যদি ক্যাশ বা স্ক্রিন সার্ভার ইউজ করে কলের হিসার রিরাউট করে TOMC তে কম লগ পাঠায় তাহলে ?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭