৩১ নম্বর বাড়ীটা
বিষন্ন কিছু স্মৃতি নিয়ে জড়ানো
এখানেই আমি জন্মেছিলাম মধ্যবিত্ত পরিবারে।
দিনের প্রতিটা সময় ছিল আনন্দের শুধু রাত্রীটা ছাড়া।
৩১ নম্বর বাড়ীটা
এইখানেই আমার বাবার মৃত্যু হয় নিষ্ঠুরভাবে,
তারা বাঁচতে দেয়নি তাকে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তাকে চিরতরে
বিলীন করে দেয় পৃথিবী থেকে।
৩১ নম্বর বাড়ীটার
সেই দিন থেকে দু:খের বছর শুরু।
অভাব ছিল নিত্যসংগী।
ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছিল প্রতিটি সদস্যকে।
মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে কত রাত
যে না খেয়ে কাটিয়েছি ইয়ত্তা নেই।
৩১ নম্বর বাড়ীটার
বড় মেয়েটি চেয়েছিল হাল ধরতে,
সংসারের কষ্ট লাঘব করতে,
মায়ের মুখে হাসি ফুঁটাতে। ভাইকে
পড়ালেখায় মানুষের মত মানুষ করতে।
সমাজ তার আশা পূর্ণ হওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে।
মিথ্যা কালিমা দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
৩১ নম্বর বাড়ীটার
আজ শেষ মানুষটির কথাই বলছি।
সমাজের চোখে সে আজ দাগী।
তবুও তার পেট ভরে খাওয়ার প্রচেষ্টা বৃথা যায়নি।
আয়েশীভাবে বেঁচে থাকতেই সে দুষ্ট পথ বেছে নিয়েছিলো।
এতোটা সুখ কেউ দেখে যেতে পারেনি।
৩১ নম্বর বাড়ীটার
শেষ জঞ্জালটি আজ মারা গিয়েছে।
সমাজে শান্তি মিলেছে। বাড়ীটা আজ আর শান্তিতে নেই।
সুনসান নিরবতা তাকে গ্রাস করেছে।
৩১ নম্বর বাড়ীটার অস্তিত্ব রয়েছে।
শুধু মানুষগুলো বিলীন হয়েছে।