আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি স্মরণকালের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ সময় পার করছে। একের পর এক ঘটনা-দূর্ঘটনা দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশকে অস্থির করে তুলেছে! বাংলার মানুষ সদ্য সংঘটিত ভয়াবহ রক্তাক্ত আন্দোলনের তীব্র শোকই যেখানে কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেখানে মৃত্যুদূতের মতো হাজির হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বন্যা!

ছবিঃ ডেইলি স্টার
প্রিয় ব্লগার ভাই ও বোনেরা,
বিগত দিন গুলোতে আমরা উত্তর বঙ্গের তীব্র শীত থেকে শুরু করে প্রবল বন্যা, দক্ষিণ বঙ্গের ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছাস, রানা প্লাজা দূর্ঘটনা, বিভিন্ন অগ্নিদূর্ঘটনা সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় গুলোতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাধারণ মানুষের তরে এগিয়ে এসেছি। কেউ সরাসরি ভলান্টিয়ার হিসাবে রেসকিউ এন্ড রিলিফ ডিস্ট্রিবিউশন টিমে কাজ করেছি, কেউ আর্থিক ভাবে অথবা প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে পাশে থেকেছি, কেউ রক্তদান করেছি, কেউ কেউ পর্দার আড়ালে থেকে সাংগাঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছি।
আজ আবারও সময় এসেছে সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ার। সকল ভেদাভেদ ভুলে, সকল মতামতকে পাশ কাটিয়ে আসুন আমরা সবাই একসাথে বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াই। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, যে ভাবে সম্ভব আমরা দেশের বন্যার্ত অঞ্চলের মানুষগুলোর সহায়তায় এগিয়ে আসি। এই পোস্ট দেওয়ার আগে থেকেই আমাদের একাধিক টিম বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই স্বেচ্ছাসেবী জনবল যথেষ্ঠ নয়। আমাদের আরো মানুষ দরকার, সংগঠিত আয়োজন দরকার, সুষ্ঠু পরিকল্পনা দরকার। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমাদের হাতে একদমই সময় নাই। যা করার খুব দ্রুত করতে হবে।
প্রিয় বন্ধুগণ,
আমার বিশ্বাস আপনারা যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই সার্বিক ভাবে মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছেন। যারা কিছু করতে পারছেন না, তারাও উৎকন্ঠা ভরা মন নিয়ে উদ্বিগ্ন চোখে ছটফট করছেন, প্রার্থনা করছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে। আমরা এর আগেও দূর্যোগ মোকাবিলা করেছি, এবারও করবো সবাই একসাথে মিলে। বর্তমানে জরুরী ভিত্তিতে উদ্ধারকার্যের দিকেই বেশি মনযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন হতে পারে। যারা আগ্রহী ও স্থানীয় (নোয়াখালী ও ফেনীর) তাদেরকে কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। যোগাযোগের নাম্বার: 01707008217 ( কাল্পনিক ভালোবাসা )
উদ্ধারকাজের পাশাপাশি লাইট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনা খাবার সংগ্রহ করা হচ্ছে। গোমতী ও হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এখন জরুরী উদ্ধারকাজেই বেশী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদেরকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, বন্যার পানি কমলেই দূর্যোগের শেষ নয়।
সম্মানিত সহব্লগারগন, এখন সময় একত্রিত হওয়ার। এখনই সময় সকল ভেদাভেদ এবং বৈষম্য ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আকস্মিকভাবে আগত এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এবং বিপদগ্রস্থ মানুষের সহযোগীতায় আমরা কি ভাবে কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত এবং পরামর্শ জানাবেন আশা করি। সকলের একান্ত সহযোগীতা এবং একত্রিত মনোবল সম্বল করে আমরা বন্যাদূর্গত মানুষের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


