১৬ কোটি জন গনের আবাদী এই দেশ। আগে জানতাম দেশের মাটি নাকি উর্বর, খালি গোবর দিয়া আমের আটি বুনলেই আম গাছ খাড়াইয়া বছর চারেকের মাথায় আম বিলায়। কিন্তু বড় হইয়া দেখলাম মাটির উর্বরা বাদ দেন, আমের আটি বুননের জায়গা নাই, মাগার মানুষের উর্বরাশক্তি ঢাকার ফার্মেগেটে খাড়াইলে টের পাওন যায়! কই যাই!
রেভ্যুলেশন নিয়া ভাবি। কিন্তু ভাবনের প্রথমেই নিজের লগে কিছু বাতচিত:
উদাসী মন: একখান রেভুলেশন করন দরকার।
আমি: মাগার আমি কই খাড়ামু? পিছে না সামনে না ঘরের খাটে?
উদাসী মন: গুড কুশ্চেন। নিজে বাচলে বাপের নাম, তাই বইলা কেন করুম না কাম!
তারপরও ভাবি। ভাবা হইলো আমার কাজ। ফিজিক্স নিয়া ভাবি, কাজ করি। এইটাও আমার কাজ। প্রোগ্রাম (সি, ভিএইডিএল, ম্যাটল্যাব ইত্যাদি) নিয়া কাজ করি, কাজ না করলে খবর আছে!
আমার ভাবনাটা অনেকটা এরম:
গত সরকারের আমলে ডেসকো অফিসে হামলা হইলো মিরপুর ১০ এ। তখন আমার বন্ধু ক্লাসমেট কাল্টু আছিলো সুইচগীয়ারের ম্যানেজার। ব্যাটার কাজ আছিলো লোডশেডিং এর ডিসিশন দেয়া আর কোন কোন এলাকা আন্ধারে থাকবো সেইটার ডিসিশন নেয়া। তো মামা সেইদিন নাকি জান নিয়া সুইচগীয়ারের রুমে ঢুইকা রইছিলো। তারপর দিন আমাগো সবাইরে ফোন দিয়া কয়,"তোরা বন্ধু না, শত্রু, আমি জান নিয়া বাইচা আছি না মইরা গেছি সেইটা তোরা খবরও লইলি না!" আমি কইলাম,"মদনা, কারেন্ট না থাকলে তোরে যে কয়টা গাইল দেই সেই হিসাব করতেও একখান ডিমাই সাইজের খাতা দরকার!" বন্ধু রাগ কইরা মাস দুই কথা কয় না!
কথা হইলো তখন খালি এই জায়গায় না, কানসাট, যাত্রাবাড়ী অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও হইছিলো আন্দোলন হইছিলো। একজন দৌড় সালাউদ্দিন দাবড়ানিও খাইছিলো। রাজশাহী বিভাবগের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির মিনু না কি জানি তার নাম, সেও টেনশনে পড়ছিলো।
তখন কারা আন্দোলন করছিলো?: আম জনতা।
বুদ্ধিজীবি বা ছাত্রসমাজ সেটার পক্ষে বিপক্ষে কোনো ভূমিকা নিছে কিনা চোখে পড়ে নাই।
তত্বাবধায়ক সরকারের পয়লা পার্টের বিরুদ্ধে মানে বিএনপির তত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে যেই আন্দোলনটা করা হইছিলো সেখানে ছিলো রাজনৈতিক দল গুলো। ছাত্রসমাজ বা আমজনতা সেটা নিয়া খুব বেশী মাথা না ঘামাইলেও বিরক্ত হইছিলো এইটা শিওর। যার ফলে ফকরু মামারে সবাই মাইনা নেই আর ভোটের সময় মেলা আশা নিয়া সীল মারে নৌকাতে! যদিও অনেকেই বলে খুব বড় মাপের সাগর চুরি হইছে!
এর পরও আন্দোলন হইছে, আমজনতা ইনভলভ হইলেও ছাত্ররা সেইখানে ভূমিকা রাখে না, আর ছাত্ররা আন্দোলনে গেলে আমজনতা কয়,"ছাত্রগুলান দেশটারে ডুবাইলো!"
আইজকা দেখলাম অনলাইন কমুনিটি আর ছাত্রসমাজ আন্দোলন করলো। কিছু ব্লগার ধরা খাইলো, ভার্সিটির টিচার ধরা খাইলো। জন গন ঘরে বইসা বইসা টিভি দেখলো। বাপেরে ফোনে জিগাইলাম, সে কয় সে নাকি ঘুমাইছে সারা দিন। অন্যান্য মুরুব্বীরা দোকানের শাটার বন্ধ কইরা ছুটি পালন করছে!
মনে হইতাছে দেশটা হইয়া গেছে গ্রামীন ফোনের অফিস। সব লাট সাব। এক ডিপার্টম্যান্টের কান অন্য ডিপার্টম্যান্ট করে না। এক ডিপার্টম্যান্টের ব্যাপারে আরেক ডি্পার্টম্যান্টের কোনো আগ্রহ নাই!
সমস্যাটা কি কেউ ধরতে পারছেন? ছোট ছোট রেভুলেশন স্ট্যাবল হইতাছে না কেন?
বিচ্ছিন্নতা: সমস্যা হইলো আমাগো দেশের সবাই নিজের হয় বঙ্গবন্ধুর মতো সেয়ান অথবা জিয়াউর রহমানের মতো চালাক মনে করে নিজেরে। তাগো চাল চলন দেইখা মনে হয় ৮০ র দশকের তুখোড় ফটুবলার সামাদের মতো যিনি ততক্ষন পর্যন্ত দৌড়াতেন না যতক্ষন পর্যন্ত তার পায়ে বল না আসে। যখন বাল না আসে সে বল সোজা জালে ঢুকায় যেমনেই হোউক। যদিও দেশের মানুষের গোলপোস্ট সবার ভিন্ন ভিন্ন!
এইটাই হইলো সমস্যা।
কি করা উচিত ছিলো?: আমরা সবাই জানি আমরা খালেদা - হাসিনার চীপায় পইড়া গেছি। এই গ্রুপটা থিকা আমাগো মুক্ত পাইতে হইবো। কিন্তু কেউ এদের সমূলে উৎপাটনের মনোযোগ দিতাছি না। কিন্তু এগো সমূলে উৎপাটনের হাতিয়ার কিন্তু আমাগো হাতে আছে। আমরা সবাই জানি।
এগো পুরা গং দের উৎপাটন কইরা মেধাবী এবং সৎ এবং বয়সে তরুন লোকদের ক্ষমতা আর প্রশাসনে বসাইতে হবে। ফল পাবেন ৩ বছরে।
যদি এইটা চান আপনেরা তাইলে আমি কিছু কথা কইতে চাই! তবে কমেন্টে কমু, পোস্টে না। দেখেন আমার আইডিয়া আপনাদের পছন্দ হয় কিনা!
তয় শর্ত একটা: এই বিচ্ছিন্নতা কাটাইতে হবে। কিভাবে কাটাবেন সেটা আগে সিদ্ধান্ত নেন।এমনে কইরা কিছুই হইবো না। দেশ বিক্রি হইবোই, আমাগো দুর্ভোগ বাড়বোই!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৪৩