somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামধর্ম গ্রহণের হৃদয়স্পর্শী কাহিনী ------------------------------------ হিন্দু থেকে মুসলমান হলেন জয়পাল ও রামফল

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহমদ আওয়াহ : আলহামদুলিল্লাহ, আপনার ভাই বড়ই সৌভাগ্যবান। এবার আপনার ইসলাম গ্রহণের কথা বলুন, কীভাবে আপনি ইসলাম গ্রহণ করলেন?

নওমুসলিম নূর মুহাম্মদ : আহমদ ভাইয়া! মূলত আমাদের ইসলামগ্রহণ তো বড় ভাইয়ের ঈমানের বদৌলতেই হয়েছে। সে এক লম্বা ঘটনা।

বহুকাল পর্যন্ত আমরা জানতেই পারিনি যে, ভাই ইন্তিকাল করেছেন। কিন্তু তিনি আমার ছেলেকে প্রায়ই স্বপ্নে দেখা দিতেন। বেশীরভাগ সময় ইসলামী পোশাকে টুপি, কোর্তা ও দাড়িসহ তিনি দেখা দিতেন।
একবার তিনি আমার ছেলেকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, ‘বেটা! আমি আমার সব জমি-জমা তোমার নামে করে দিয়েছি। তুমি আমার এক কাজ করে দাও, এক ডজন কলা নিয়ে ফুলাতে বড় মাওলানা সাহেবকে পৌঁছে দাও।’
স্বপ্ন থেকে জেগেই আমার ছেলে রওনা হয়ে গেল। সে খাতূলী থেকে একডজন কলা কিনে নিল এবং তা ফুলাত নিয়ে গেল। সেখানে পৌঁছলে মসজিদের খাদেম সাহেব তাকে আপনাদের বাড়ীতে নিয়ে যান। মাওলানা সাহেব তখন বাড়ীতে ছিলেন না। তিনি লাক্ষনৌ গিয়েছিলেন। আমার ছেলে সেই কলা মাওলানা সাহেবের ভগ্নিপতিকে দিয়ে আসে এই বলে যে, মাওলানা সাহেবকে বলবেন, দাদরীর জয়পাল এই কলা পাঠিয়েছে।

এরপর আরেকবার বড় ভাই আমার ছেলেকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, ‘মাওলানা সাহেবকে এক কেজি মিষ্টি ফুলাত গিয়ে দিয়ে এসো।’ তৎক্ষণাত আমার ছেলে মিষ্টি নিয়ে ফুলাত গিয়ে মাওলানা সাহেবকে দিয়ে আসে। এভাবে ভাই নূর মুহাম্মদ মারা যাবার পরও স্বপ্নের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে মাওলানা সাহেবের নিকট উপহার-উপঢৌকন পাঠাচ্ছেন।

এরপর একদিন এক ঘটনা ঘটল। আমাদের গ্রামে একজন বড় ও শক্তিশালী মানুষ কিছু গরীব ও দুর্বল লোকের ওপর খুব অত্যাচার করতেছিল। এতে আমার মন ছিল খুবই দুঃখিত ও বেদনার্ত হয়ে ওঠে। তাতে অনেক রাত পর্যন্ত ঘুম এল না। মনে মনে মালিকের কাছে অভিযোগ পেশ করতে থাকলাম যে, মালিক যখন সবকিছু দেখছেন, তখন এই অত্যাচার কেন হয়?
সেদিন অনেক রাতে ঘুম এল। তখন স্বপ্নে দেখলাম, অনেক লোকের ভিড় একদিকে চলে যাচ্ছে। আমি জানতে চাইলাম, এত লোক কোথায় যাচ্ছে? হঠাৎ দেখলাম, সেখানে আমার বড় ভাই রয়েছেন! তিনি আমার কথার উত্তর দিয়ে বললেন, ‘এসব লোক ফুলাত যাচ্ছেন মুসলমান হতে এবং মুসলমান হয়ে স্বর্গে যেতে। রামফল! জলদি কর! নইলে তুমি পেছনে পড়ে যাবে। জলদি যাও, জলদি! ফুলাত গিয়ে মাওলানা সাহেবকে বলবে, আমাকে মুসলমান বানিয়ে দিন, যাতে আমি স্বর্গে যেতে পারি। আমি তো আমার মালিকের দয়ায় স্বর্গে এসে গেছি।’
আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি স্বপ্ন খুব কম দেখি। তাই স্বপ্নের প্রতি আমার তেমন ভ্রক্ষেপ থাকে না। কিন্তু এই স্বপ্ন আমাকে অস্থির করে তুলল। এক পর্যায়ে আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম, হ্যাঁ, আমি ভাই সাহেবের মত স্বর্গে যাব, আমি মুসলমান হব।

সকাল হল। আমি দেরী না করে রওয়ানা হয়ে গেলাম এবং কিছুসময়ের মধ্যেই ফুলাত পৌঁছলাম। মাওলানা সাহেবের খোঁজে আমি সেখানকার বড় মসজিদে গেলাম। মসজিদের মোল্লাজী আমাকে মাওলানা সাহেবের বাসায় নিয়ে গেলেন।
কিন্তু মাওলানা সাহেবকে বাসায় পেলাম না। তিনি কোথাও সফরে গিয়েছিলেন। জানতে পারলাম, তিনদিনের মধ্যে তিনি আসবেন। তাই আমি সেখানেই অপেক্ষা করতে থাকলাম।
তিনদিন অতিক্রান্ত হল। কিন্তু মাওলানা সাহেব আসতে পারেননি। অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পেলাম, মাওলানা সাহেব রাত দেড়টায় এসে পৌঁছেছেন। দিনটা ছিল সোমবার আর এ দিনটি ছিল মাওলানা সাহেবের ফুলাতে থাকার দিন। তাই সকাল থেকেই লোকজনের আসা শুরু হল। মাওলানা সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাত করে লোকজন বিদায় নিতে লাগল। আমার পালা এল দেরিতে। ৯টার সময় মাওলানা সাহেবের সাথে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হল।
আমি মাওলানা সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি দাদরীর জয়পালকে চিনেন?’ তিনি বললেন, ‘খুব ভাল করেই চিনি। তিনি আমার কাছে এসেছিলেন।’ এরপর মাওলানা সাহেব ভাইজানের ইসলাম গ্রহণের পুরো কাহিনী আমাকে শুনালেন।
অতঃপর আমি আমার স্বপ্নের কথা প্রকাশ করলাম। মাওলানা সাহেব তা শুনে আমাকে মুবারকবাদ দিলেন এবং বললেন, আজ রাতেই আমি নূর মুহাম্মদকে স্বপ্নে দেখেছি। দেখলাম, তিনি খুব সুন্দর বেশ-ভূষায় সজ্জিত। তিনি আমাকে বললেন, ‘আমার ছোট ভাই রামফল আসছে। তাকে মুসলমান না হয়ে যেতে দেবেন না।’
সে মুহূর্তে মাওলানা সাহেব আমার নাম জিজ্ঞেস করলেন এবং বললেন, ‘আপনিই কি নূর মুহাম্মদের ছোট ভাই রামফল?’

আমার না বলা সত্ত্বেও মাওলানা সাহেব আমার নাম বললেন! তা শুনে আমার মনে সেই স্বপ্ন সত্য হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয় জন্মাল। তখন আমি মাওলানা সাহেবকে আমার নিজের মুসলমান হওয়ার ইচ্ছার কথা বললাম।
তা শুনে মাওলানা সাহেব খুব খুশী হলেন এবং আমাকে কালেমা পড়ালেন। অতঃপর বললেন, আপনি আপনার নাম পাল্টিয়ে ইসলামী নাম রাখতে পারেন। আমি বললাম, হ্যাঁ, আপনি আমার নাম রেখে দিন। আরও ভাল হয়, যে নাম নিয়ে আমার বড় ভাই স্বর্গে গেছেন, আপনি যদি আমারও সেই নাম রাখেন। আমার নাম কি নূর মুহাম্মদ রাখা যায়? মাওলানা সাহেব বললেন, এতে কোন ক্ষতি নেই। এই বলে তিনি আমার নামও নূর মুহাম্মদ রাখলেন। অতঃপর সেখানে আরো একদিন থেকে আমি দাদরীতে নিজের বাড়ীতে চলে এলাম।

আহমদ আওয়াহ : মাশাআল্লাহ, বহুত হৃদয়গ্রাহী ঘটনা। আল্লাহ তা‘আলা কুদরতীভাবে আপনাদের হিদায়াতের ব্যবস্থা করেছেন! কী খোশনসীব আপনাদের!
আপনিতো ইসলাম গ্রহণ করে বাড়ীতে ফিরে গিয়েছিলেন। তাহলে এবার একটু বলবেন কি--বাড়ীতে গিয়ে আপনার ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারটি কি প্রকাশ করেছিলেন? সেখানে কীরূপ পরিস্থিতি হয়েছিল?

নওমুসলিম নূর মুহাম্মদ : বাড়ীতে গিয়ে আবেগ ও উদ্দীপনার সাথে পরদিনই আমি আমার স্ত্রীকে আমার ইসলাম গ্রহণের পুরো কাহিনীটি বলে দিলাম। কিন্তু সে শুনে খুব অসন্তুষ্ট হলো এবং আমার গোটা পরিবারে ব্যাপারটা ফাঁস করে দিল।

আমার চাচা ছিলেন গ্রামের প্রধান। আমাকে নিয়ে গ্রামে পঞ্চায়েত বসল। কেউ কেউ বলল, তার মুখে কালি মেখে গাধার পিঠে বসিয়ে সারা গাঁয়ে ঘুরানো হোক। কেউ মত দিল, তাকে গুলী করে মেরে ফেলা হোক। সে ধর্মচ্যুত হয়ে গেছে।
আমাদের গ্রামে একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ছিলেন। তিনিও ছিলেন এ পঞ্চায়েতে। তিনি বললেন, এই যুগ হলো যুক্তি-প্রমাণের যুগ। আপনারা তাকে বোঝান এবং প্রমাণ করুন যে, হিন্দুধর্ম ইসলামের তুলনায় ভালো। জোর-যবরদস্তি করে আপনারা তার দিল পাল্টাতে পারবেন না। তাই ভালো হয় যদি আপনারা তাকে চিন্তা-ভাবনার জন্য সময় দেন এবং বুঝিয়ে শুধরাবার চেষ্টা করেন। যেহেতু তিনি শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত লোক ছিলেন, তাই তাঁর কথার ওপরই পঞ্চায়েতে ফয়াসালা দেয়া হল।

সেই অনুযায়ী বাড়ীতে এনে আমার মা আমাকে খুব বোঝাতে লাগলেন। তদুপরি তাঁর ধারণা ছিল, ফুলাতওয়ালাগণ আমার ওপর যাদু করেছেন। তাই সেই যাদুর ক্রিয়া থেকে আমাকে মুক্ত করবার জন্য তিনি আমাকে ফালাওদাহ নিয়ে গেলেন।
সেখানে পৌঁছে আমার মা চেয়ারম্যানের পায়ে পড়ে গেলেন, যিনি এসব ঝাড়-ফুঁকের কাজ করতেন। আমার মা তাকে বললেন যে, আমার ছেলের ওপর যাদু করা হয়েছে। ফলে সে হিন্দুধর্ম ছেড়ে বেদ্বীন ও অবিশ্বাসী হয়ে মুসলমানদের ধর্ম গ্রহণ করেছে। আপনি আমার ওপর দয়া করুন। তার ওপর কৃত যাদুকে নষ্ট করে দিন। যেন সে আমাদের ধর্মে ফিরে আসে।
চেয়ারম্যান সাহেব মাকে বুঝিয়ে সান্তনা দিলেন এই বলে যে, তার ওপর কোনো যাদু নেই। তার ওপর মালিকের স্রোত বয়ে চলেছে। আপনি একে সমস্যা মনে করলে আপনি নিজেই ফুলাতওয়ালাগণের নিকট যান। তারা খুব মেহমান-নাওয়ায। তারা দুঃখী-অসহায় মানুষকে সাহায্য করেন।
মা হতাশাগ্রস্ত হয়ে আমাকে নিয়ে ফিরে এলেন। তখন মাকে বিভিন্নভাবে বুঝালাম যে, মা! আপনিও মুসলমান হয়ে যান। কিন্তু মা বিষন্ন হয়েই রইলেন।

আমার ইসলাম গ্রহণে সবচেয়ে বেশী আমাদের চাচা প্রধানজী কষ্ট পান। তিনি বলতে থাকেন, রামফল আমাদের সমাজে মুখ দেখাবার মতো অবস্থা রাখেনি। তিনি এ নিয়ে অনেক বাকবিতণ্ডা করেন। কিন্তু আমি বশ্যতা স্বীকারের পরিবর্তে তাকেও ইসলামের কথা শুনাই এবং ইসলাম গ্রহণের জন্য দাওয়াত দেই।
পরিশেষে না পেরে একদিন তিনি পূর্ণিমার অনুষ্ঠানের নাম করে আমাকে নিমন্ত্রণ করলেন। আল্লাহর কী মহিমা, সেদিনই রাত্রে আমি স্বপ্নে মাওলানা সাহেবকে দেখলাম, তিনি আমাকে বলছেন, পূর্ণিমার নিমন্ত্রণে ক্ষীরের যেই পেয়ালা তোমার সামনে দিচ্ছে--তার ভেতর বিষ মেশানো, তা কখনো খাবে না।
তাদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোন ইচ্ছা আমার ছিল না। কিন্তু অত্যধিক চাপের কারণে বাধ্য হয়ে সেখানে গেলাম। আশ্চর্য ব্যাপার, স্বপ্নে যা দেখেছিলাম, বাস্তবেও তেমনটিই পেলাম। আমার চাচা আমার সামনে ক্ষীরের পেয়ালা রাখলেন। আমি রুটি খেতে শুরু করলাম এবং সুযোগ বুঝে সেই পেয়ালা চাচার সামনে ঠেলে দিলাম। তিনি তা জানতে পারেননি। তিনি দু’-তিন চামচ সেই ক্ষীর খেতেই তার ওপর এর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। তিনি কেমন যেন ছটফট করতে লাগলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চিকিৎসার জন্য মীরাটে নিয়ে যাওয়া হলো। কিন্তু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সেখানেই তিনি মারা গেলেন।
তার অন্তেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আমি ফুলাতে এসে মাওলানা সাহেবকে সমস্ত ঘটনা শুনালাম এবং তাঁর কাছ থেকে জানতে চাইলাম, আপনি কীভাবে জানতে পারলেন যে, ক্ষীরে বিষ মেশানো হয়েছে?
মাওলানা সাহেব বললেন, আপনার ব্যাপারটি আমি কিছুই জানি না। আসলে গায়েব (অদৃশ্য)-এর খবর আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানে না। আল্লাহ তা‘আলাই তাঁর বান্দাকে বাঁচিয়ে থাকেন এবং যার সঙ্গে তার মুহাব্বত হয় তার আকৃতিতে স্বীয় ফেরেশতা পাঠিয়ে পথ দেখান। তাইতো তাঁকে মেহেরবান রব বলা হয়।

বাড়ীতে গিয়ে মাকে এসব ঘটনা বিস্তারিত খুলে বললাম। আমার হিন্দুধর্ম ত্যাগ সত্ত্বেও চাচার এই শত্রুতা মায়ের খুব খারাপ লাগে এবং এ ঘটনার কারণে তিনি ইসলামের খুব কাছাকাছি এসে যান।

চাচার দুই ছেলে এরপর থেকে আমার জানের দুশমন হয়ে গেল। অপরদিকে আমি নিত্যকার ঝগড়া-বিবাদের মধ্যে সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়লাম। তাই সবদিক চিন্তা করে গ্রাম ছেড়ে ফুলাতে এসে থাকতে শুরু করলাম।
কিন্তু আমার বাড়ীর লোকেরা এখানেও আমার পিছু নিল। তবে এখানে তারা কিছু করতে পারল না।

আহমদ আওয়াহ : এ সময় ফুলাতে আপনি কতদিন ছিলেন? এখানে কিভাবে আপনার সময় কাটত?

নওমুসলিম নূর মুহাম্মদ : তিনবছরের বেশী আমি ফুলাতে থাকি। সেখানে আমি নামায-রোযা প্রভৃতি শিখেছি এবং দু‘আ-কালাম ও মাসআলা-মাসায়িল মুখস্থ করেছি। আর সময় পেলেই যিকির করতাম এবং সমাগত মেহমানগণের খিদমত করতাম।

আহমদ আওয়াহ : শুনেছি, আপনি ফুলাতে থাকাকালে নামাযের ভেতর মাওলার নিকট খুব কান্নাকাটি করতেন!

নওমুসলিম নূর মুহাম্মদ : ভাইয়া! আমি কী কাঁদব? (কাঁদতে কাঁদতে বললেন,) এক ফোঁটা নাপাক পানিতে সৃষ্ট এই মানুষের যদি এত বড় মালিকের সামনে যাওয়ার সুযোগ ঘটে, আপন প্রিয় মা‘বুদের সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য জোটে, তাহলে তো কান্না আসবেই। কোনো দারোগা যদি থানায় ডেকে পাঠান কাউকে, তাহলে তার কী অবস্থা হয়! সুতরাং মালিকের সামনে গেলে কী অবস্থা হওয়া দরকার!
যখনই আমি নিয়ত বাঁধি, আমার অন্তরে খেয়াল জাগে, এই গান্দা নূর মুহাম্মদ কোথায় আর কোথায় মাওলার দরবার! মসজিদে যাই তো মনে হয়, আপন মালিকের করতলে মাথা পাতছি, যিনি আমার পরম আরাধনা। মাওলানা সাহেব আমাকে নামায শেখানোর সাথে নামাযের সূরাহ ও দু‘আসমূহের অর্থও মুখস্ত করিয়েছিলেন। নামাযে সেগুলো পড়ার সময় তার অর্থের দিকে খেয়াল করে কেঁপে উঠি।
আমার জানতে ইচ্ছা হয়েছিল, নামাযে আত্তাহিয়্যাতু ও দরূদ শরীফ পড়া হয় কেন? তখন মাওলানা সাহেবকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, মি‘রাজে আমাদের নবী কারীম (সা.)-এর বদৌলতে আমাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা এই দুর্লভ সুযোগ দান করেছেন। এ জন্য নামাযের মধ্যে মি‘রাজের সেই কথোপকথন দ্বারা রসনাকে ধন্য করা হয় এবং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওপর দরূদ পাঠ করত আমাদের নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুগ্রহ স্মরণ করা হয়। এ কথা আমার খুব মনে গেঁথে গিয়েছে। এখন আত্তাহিয়্যাতু ও দরূদ শরীফ পড়ার সময় সে কথা স্মরণ করে আমার অন্তর ভরে যায়।

আহমদ আওয়াহ : শুনেছি, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনেকবার স্বপ্নে দেখেছেন। আর রাসূলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আদেশপ্রাপ্ত হয়ে নাকি আপনি আপনার মাকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন? এ সম্পর্কে কি কিছু বলবেন?

নওমুসলিম নূর মুহাম্মদ : আলহামদুলিল্লাহ, আমি নামাযে আত্তাহিয়্যাতু ও দরূদ শরীফ খুব মন দিয়ে পড়ি এবং তখন থেকেই স্বপ্নে রাসূলে আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যিয়ারত খুব নসীব হয়। আসলে এটা আমার প্রতি মহান আল্লাহরই অসীম অনুগ্রহ।

সর্বপ্রথম যখন আমার রাসূলে আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যিয়ারত নসীব হয়, তখন দেখি, আপনার আব্বার মতো বয়স বা কিছুটা বেশী, পরিষ্কার বর্ণ, আমাকে বলছেন, যাও, তোমার মাকে কালেমা পড়িয়ে দাও। সে তৈরী, তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। সকালে আমি এ স্বপ্নের কথা মাওলানা সাহেবকে বললাম। তিনি আমাকে বাড়ীতে গিয়ে তা পালনের পরামর্শ দিলেন।
সেমতে আমি বাড়ীতে গেলাম। আমার মা তখন খুব অসুস্থ ছিলেন। আমি ডাক্তার এনে মাকে দেখালাম। অতঃপর তাঁর খিদমতের জন্য বাড়ীতে থেকে গেলাম। আমার ছেলেও তাঁর খুব সেবা করত।
তাঁর ঘন ঘন পেট নামার অসুখ হয়েছিল। বারবার পরিহিত কাপড়-চোপড় খারাপ হয়ে যেত। আমি নিজ হাতে তাঁর এসব ধুয়ে দিতাম এবং তাঁকে গোসল করাতাম। তাঁর নষ্ট করা কাপড় নিঃসংকোচে ধুয়ে দিতাম।

ইসলাম গ্রহণের আগে মায়ের সঙ্গে আমার তেমন বনিবনা হত না। তাই তার কোনো সেবা করতাম না। কিন্তু এখন আমার এ সেবা পেয়ে তিনি খুব প্রভাবিত হন। তাঁর ধারণা জাগে, মুসলমান হয়ে আমি এমন হয়েছি। এ সুযোগে আমি তাঁকে মুসলমান হওয়ার জন্য বললাম। তখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করতে রাজী হলেন। তৎক্ষণাত আমি তাঁকে কালেমা পড়ালাম এবং তাঁর নাম রাখলাম ফাতেমা।

মহান আল্লাহ্র অনুগ্রহ, মা ইসলাম গ্রহণের পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। ইতোমধ্যে আমার ছেলেকে ইসলামের দাওয়াত দিলাম। সেও ইসলাম কবূল করে মুসলমান হয়ে গেল।

ওদিকে গ্রামের লোকেরা আমার গ্রামে আসাটাকে ভালোভাবে মেনে নেয়নি। তারা আমার সাথে শত্রুতা করতে থাকে। কয়েকবার আমার ওপর হামলাও করে। কিন্তু আল্লাহর শোকর, আল্লাহ্ তা‘আলা আমাকে রক্ষা করেছেন।
আমি ফুলাতে গিয়ে এ ব্যাপারে মাওলানা সাহেবের সাথে পরামর্শ করলাম। মাওলানা সাহেব আমাকে গ্রাম ছাড়তে বললেন। তখন আমি আমার মাকে নিয়ে মীরাটে এক ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করলাম।
তখন রোজগার সম্পর্কে মাওলানা সাহেব আমাকে বললেন, ইসলাম রুযী-রোজগারের ভেতর ব্যবসাকে বেশী পছন্দ করে। আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ও ব্যবসা করেছেন। তাই আমি তরি-তরকারির ব্যবসা শুরু করলাম। অতঃপর মাওলানা সাহেব আমাকে লোহার ব্যবসায় লাভ সম্পর্কিত হাদীস শোনান। সেই প্রেক্ষিতে আমি গ্রিলের দরজা-জানালার দোকান দিলাম। কারবার বেশ জমে ওঠল।

কিন্তু ওদিকে আমার গ্রামের লোকেরা আমার ঠিকানা জেনে গেল। তখন তারা মীরাটে আমার পেছনে লাগলো।
সে সময় আমার চাচার বড় ছেলে এক বদমায়েশকে দশ হাজার টাকা দিল আমাকে গুলী করে মেরে ফেলার জন্য। মহান আল্লাহর কী করুণা, স্বপ্নে আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখলাম। তিনি আমাকে বললেন, কাল তোমাকে মারার জন্য এক বদমায়েশ আসবে। তার নাম মুহাম্মদ আলী। সে হবে কালো প্যান্টধারী ও নীল জামা পরিহিত। তাকে বলবে, “মুহাম্মদ আলী হয়ে এক রামফলকে ‘নূর মুহাম্মদ’ হওয়ার কারণে মারতে এসেছ?”
আমি রাত্রে দোকান বন্ধ করে বাসায় যাচ্ছিলাম। ইতিমধ্যে সেই লোকটি এল। আমি তাকে বললাম, “মুহাম্মদ আলী হয়ে একজন রামফলকে ‘নূর মুহাম্মদ’ হওয়ার কারণে মারতে এসেছ?’ আমার কথা শুনে সে বিস্ময়ের সাগরে ঘোরপাক খেতে লাগল। বিস্ময়ের সুরে সে জিজ্ঞেস করল, আমার নাম তোমাকে কে বলল? আমি বললাম, তিনি বলেছেন যিনি সকল সত্যের সত্য, যিনি দুনিয়াকে সত্য শিখিয়েছেন। এরপর আমি তাকে রাত্রে দেখা স্বপ্নের কথা বললাম এবং আমার ইসলাম গ্রহণের কথা বিস্তারিত খুলে বললাম। তা শুনে সে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল। অতঃপর তার রিভলভার আমার হাতে তুলে দিয়ে বলল, এমন প্রিয় নবীর নামকে বদনামকারী মুহাম্মদ আলীর চেয়ে তুমি রামফল কত ভালো! এমন পাপিষ্ঠের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। এই নাও, আমার পেটে গুলী মার। আমি তাকে বললাম, গুলী মারলে তো কাজ হবে না। সত্যিকারের তাওবাহ সকল গুনাহর প্রতিকারকারী। আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর এবং তাবলীগ জামা‘আতে গিয়ে চিল্লা লাগাও। সে এর ওয়াদা করল।
সকালে সে আবার আমার কাছে আসল এবং কীভাবে তাবলীগের চিল্লায় যাবে--তার পরামর্শ চাইল। আমি তাকে নিয়ে হাউজওয়ালী মসজিদে গেলাম। সেখানে তখন তাবলীগী জামা‘আত রওয়ানা হওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। সে তখনই আমার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তাবলীগের চিল্লায় চলে গেল।

আহমদ আওয়াহ : আমরা জেনেছি, আপনি খুব আন্তরিকতার সাথে দ্বীনী দাওয়াতের কাজ করে যাচ্ছেন। তা কীভাবে করছেন, কিছু বলবেন কী?

নওমুসলিম নূর মুহাম্মদ : একসময় আমি মীরাটের সেই তাবলীগী মারকাযে গেলাম--যেখানে আমার বড় ভাই সিজদারত অবস্থায় পরপারে চলে গিয়েছিলেন। তাবলীগের এক সাথী সেই জায়গা আমাকে দেখিয়ে দিলেন--যেখানে আমার ভাই তাহাজ্জুদ নামায আদায়রত ছিলেন আর এ অবস্থায়ই সিজদার মধ্যে ইন্তিকাল করেছেন।
রাত্রে আমি সেই মসজিদে থাকলাম এবং সেই জায়গায়ই তাহাজ্জুদ নামায পড়লাম। এরপর আমি অনেকক্ষণ সেই মসজিদে এই আশায় পড়ে থাকলাম যে, সম্ভবত এটাই জান্নাতের দরজা। হয়ত আমিও আমার ভাইয়ের মতো মর্তবা পেতে পারি!
ইতোমধ্যে আমার চোখ লেগে গেল। তখন স্বপ্নে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যিয়ারত নসীব হলো। তিনি আমাকে বললেন, ‘ঈমানদারদের জন্যই জান্নাত। কিন্তু এখন তোমাকে অনেক কাজ করতে হবে।’ এরপরই আমার ঘুম ভেঙে গেল।
আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম, আমি-অধমের কী কাজ করার আছে? মনে মনে স্থির করলাম, দেখি, আমি কী কাজ করতে পারি। প্রিয় নবীর কিছু কাজ। সে সময়ই মাওলানা সাহেবের সাথে মাশওয়ারা করে ইসলামের দাওয়াতের কাজে গভীরভাবে মনোনিবেশ করলাম।

আহমদ আওয়াহ : আপনার গ্রামের পক্ষ থেকে কি আর কোনো সমস্যা হয়েছে?

নওমুসলিম নূর মুহাম্মদ : হ্যাঁ, তারাতো লেগেই ছিল। মুহাম্মদ আলীর বিষয়টি বানচাল হওয়ার পর তারা আরো ক্ষেপে গেল। তখন বিভিন্নভাবে তারা আমার বিরুদ্ধে লেগে গেল। এমনকি একসময় মীরাটে থাকাই আমার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াল।

তখন মাওলানা সাহেবের সঙ্গে পরামর্শ করলাম। তিনি আমাকে মীরাট ছাড়ার পরামর্শ দিলেন। তাঁর পরামর্শ মুতাবিক প্রথমে পাঞ্জাব এবং পরে হরিয়ানায় গেলাম। কিন্তু কোথাও কাজ তেমন জমল না। ওদিকে ঋণ বৃদ্ধি পেতে থাকল। তখন আমাকে একজন মনিপুরে যাবার পরামর্শ দিলেন। সে ব্যাপারে মাশওয়ারা করলে মাওলানা সাহেব আমাকে ইস্তিখারা করতে বললেন। ইস্তিখারা করার পর আল্লাহ তা‘আলা অন্য এক উত্তম ব্যবস্থা করে দিলেন। হঠাৎ করেই মাওলানা সাহেবের পরিচিত একজন লোক কানপুর থেকে এলেন এবং আমি তার সাথে কানপুর চলে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ! চার বছরে এখানে আমার লোহা-লক্কড়ের কাজ খুব ভালভাবে জমে গেল। যত ঋণ ছিল, সব শোধ করলাম।
এরপর প্রথমে আমি আমার ছেলেকে বিবাহ করালাম। অতঃপর গত বছর জনৈক বিধবা মহিলাকে মুসলমান করে বিবাহ করেছি। তার দু’টি সন্তানও আমার তত্ত্বাবধানে আছে, তাদেরকেও মুসলমান করেছি। আর ব্যাপকভাবে ইসলামের দাওয়াতের কাজতো রয়েছেই, সর্বাবস্থায় তা আনজাম দিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহ তা‘আলা কবূল করুন।

আহমদ আওয়াহ : আলহামদুলিল্লাহ! খুবই মুবারক জীবন আপনার! মুসলমানদের উদ্দেশ্যে কোনো পয়গাম দেবেন কি?

নওমুসলিম নূর মুহাম্মদ : আমি এই সফর করেছি মাওলানা সাহেবের কাছে দু‘আর আবেদনের জন্য এবং সমস্ত মুসলমানদের কাছেও আমার দু‘আর দরখাস্ত যে, আমি যেন আমার কাজে পূর্ণ সফল হতে পারি। আমি একটি দাওয়াতী টিম বানিয়েছি, যেই টিমের মাধ্যমে আমরা বাঙালী ছিন্নমূল ও যাযাবরদেরকে এবং মধ্যপ্রদেশে ভীল সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে ইসলামের দাওয়াতের কাজ শুরু করেছি। এ পর্যায়ে আমি এক চিল্লা লাগিয়েছি যমুনা নগরে, সেখানে বাঙালীদের কাঁচা-পাকা কিছু বস্তি আছে। আরো এক চিল্লা লাগিয়েছি খাণ্ডোয়া এলাকায়। সেখানে ভীল সম্প্রদায়ের বেশ কিছু লোক থাকে। সেখানে আমি অনুভব করেছি যে, তাদের ভেতর কাজ করলে দলে দলে লোক মুসলমান হতে পারে। এ ছাড়াও কানপুরে গত বছর আমি দশটি সফর করেছি। মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করছি, ইনশাআল্লাহ, এভাবে মেহনত অব্যাহত রাখলে লাখ লাখ লোক মুসলমান হবে।

সমস্ত মুসলমানের কাছে আমার আবেদন, না জানি এ ধরনের আরো কত বস্তি ও জনবসতি আছে, যেখানে ইসলামের কোন দাওয়াত পৌঁছে নি। যদি সঠিকভাবে ও পরিকল্পিতভাবে দাওয়াত দেয়া যায় এবং আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করা হয়, তাহলে কত শত-সহস্র লোক জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে পারে। আবার অনেক জায়গায় মানুষের দিল উন্মুখ হয়ে আছে, আমাদের একটু হরকাতেই তারা ইসলাম গ্রহণে তৈরী হতে পারে। তাই নিজ নিজ সংগতি ও সামর্থ অনুসারে অমুসলিমদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর বিষয়ে সকল মুসলমানের ফিকির করা দরকার।

আহমদ আওয়াহ : বহুৎ বহুৎ শুকরিয়া নূর মুহাম্মদ ভাই। আপনার নিকট থেকে অনেক মূল্যবান কথা শুনলাম। আশা করি, এর দ্বারা আমরা যথেষ্ট উপকৃত হব। আপনি আমাদের জন্য দু‘আ করবেন।

নওমুসলিম নূর মুহাম্মদ : প্রিয় ভাইজান! এমন অকৃতজ্ঞ কে হবে যে, আপনার জন্য এবং আপনাদের পরিবারের জন্য দু‘আ করবে না? (এরপর কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন,) আমার প্রতিটি পশম আপনাদের পরিবারের কাছে ঋণী। আপনাদের মাধ্যমেই আমি চিরস্থায়ী জাহান্নামের পথ থেকে বেঁচে ইসলামের পথে এসেছি। আমার শরীরের চামড়া দিয়ে আপনাদের জন্য জুতো বানিয়ে দেয়া হলেও আপনাদের পরিবারের এ ঋণ কখনো শোধ করা সম্ভব হবে না। আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামত পর্যন্ত আপনাদের পরিবারকে গোটা বিশ্বের হিদায়াতের জরী‘আ বানিয়ে রাখুন এবং আপনাদেরকে এর পরিপূর্ণ উত্তম জাযা দান করুন (আমীন)।

(মূল উর্দু : মাসিক আরমুগান, জুলাই-আগস্ট সংখ্যা--২০০৫ ঈ.)
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×