Click This Link
কাজ আর কিছুই নয়, গানের রিহার্সাল। ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠান আছে সংগঠনের।
কই, যাও!!
নাঃ যাব না।
এটা কথা হলো? আমি তো শুধু তোমাকে বোঝাতে চেয়েছি যে আমরাও তোমার সঙ্গ উপভোগ করতে চাই, যেমনটি তুমি। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো তো অফিসকে দাও। তাহলে আমরা কোথায়?
ইমা যে পলাশের গান করা পছন্দ করে না, তা নয়। বরং উৎসাহই দেয়। এই ভাষা নিয়েও একটা গান লিখতে বলেছিল। কিন্তু ইমার প্রশ্ন এক জায়গাতেই, ছুটির দিনে আমরা বাসায় না থাকলে তুমি যদি আমাদের অভাব বোধ কর তাহলে আমাদের ক্ষেত্রেও তো তাই ঘটতে পারে। এটাকে তুমি অস্বীকার করবে কি করে? এই নিয়েই ব্লা ব্লা ব্লা...। যদিও ইমা জানে পলাশ যাবেই এবং সে পাঠাবেই পলাশকে, তবু জানতে চেয়েছিল।
বিকেল বেলা পলাশ যথারীতি উঠে চলে গেল তার কাজে। ইমা মুচকি হেসে থেকে গেল। সে জানে পলাশকে কখনোই এ কাজ থেকে বিরত করা যাবেনা। আর ইমা সেটা চায়ও না। ইমা নিজে গানের ভীষন ভক্ত, কিন্তু গাইতে পারেনা। তাই পলাশ যখন গান করে তখন তার খুউউব ভাল লাগে।
পলাশ আর ইমার পছন্দের বিয়ে। তারা একে অপরকে ভীষন ভালবাসে। তবু মাঝে মাঝে একটু ঝগড়াও করে। নাহলে যে জীবনটা একঘেয়ে লাগে। তারা বিয়ের পরে এত দিন অব্দি একদিনের জন্যও কথা বন্ধ করে থাকেনি। হয় গল্প করেছে নয়তো ঝগড়া, কিন্তু মুখ ঘুরিয়ে থাকেনি।
কিন্তু ইমা....... তার যাওয়া হলোনা। পলাশকে ছেড়ে থাকতে তারও ভাল লাগেনা। কেমন যেন একটা টান দু'জনের মধ্যে। সে অপেক্ষা করতে থাকলো.......... পলাশ ফিরবে।।।।।।
---------------------শেষ-------------------