somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শোধ অথবা স্বীকারোক্তি

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের একটা কুকুর ছিলো। "ছিলো" বলছি, কারণ এখন আর নেই।
ওর নাম ছিলো বাঘা। দেখতেও ছিলো বাঘের মতোই বিশাল। একদিন রাতে ওর গর্জন শুনেই একটা চোর পুকুরে লাফ দিয়ে পড়েছিলো। সেই শীতের রাতে বাবা চোরটাকে ভোর পর্যন্ত পুকুরে নামিয়ে রেখেছিলো। বাঘা ছিলো বাবার ন্যাওটা।

দাদা কুকুর পছন্দ করতেন না। তার ভাষায় কুকুর অপবিত্র। গ্রামের মসজিদের ইমাম ছিলেন আমার দাদা।
আমাদের ঘরে প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা একটা কালো রঙের প্রজাপতি আসতো। ওর জন্য বাটিতে পানি রাখা থাকতো। সে পানি খেয়ে কিছুক্ষণ পর উড়ে চলে যেতো। একদিন প্রজাপতিটা নন্দিনীর কাঁধে এসে বসেছিলো। সে যে কী খুশি! আমিও চাইছিলাম, ও আমার হাতে এসে বসুক। আমি ধরতে যেতেই সে উড়ে চলে গেলো।
প্রজাপতিটাকে আমরা বলতাম ফেরেশতা।
দাদা বলতো, শয়তান প্রজাপতির রূপ ধরে ঘরে আসছে। যে বাড়িতে কুকুর থাকে, সে বাড়িতে ফেরেশতা আসে না।

প্রভুভক্ত বলতে যা বোঝায়, বাঘা ছিলো বাবার সেরকম ভক্ত। বাবা মাঝে মাঝে মাসখানেকের জন্য ঢাকায় চলে যেতেন কাজে। বাবা ফিরে আসার দিন বাঘা কীভাবে যেনো বুঝে যেতো, আজকে বাবা আসছে। সেদিন বাঘা দৌঁড়ে চলে যেতো দুই মাইল দূরের বাজারে। বাঘা বাবার গায়ের গন্ধ এতদূর থেকেও টের পেতো! বাঘা সামনের দুই পা উঁচিয়ে বাবার সাথে গলা মেলাতো। বাবা ওর সামনের দুই পা'কেও হাত বলতো।
বাবা যেক'দিন থাকতেন না, দাদার হুকুমে বাঘাকে অনাদর করা হতো।
বাবা বাড়ি ফিরে বাঘাকে সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে একসাথে খেতে বসতেন। বাবা যতটা ভালোবাসতেন বাঘাকে, দাদা ঠিক তার উল্টো অবহেলা করতেন বাঘাকে। দু'জনেই ধার্মিক, তবু কোথায় যেনো একটা অমিল ছিলো তাদের মাঝে। একটা অদৃশ্য দ্বৈরথ সবসময়ই বিরাজমান ছিল তাদের মাঝে।
দাদা মারা যাওয়ার পর শুরু হলো প্রকাশ্য দ্বৈরথ। দাদার ছেলেদের মাঝে। চার ভাইয়ের জমিজমা সব ভাগাভাগি হয়ে গেলো কয়েকদিনের মধ্যেই। দাদা যতদিন ছিলেন, ততদিন একটা সুতোর যে সেতুবন্ধন ছিলো, তা মুহূর্তে চারটি টুকরো হয়ে ছিঁড়ে গেলো। বড়রা কেমন গম্ভীর হয়ে গেলো। আর আমরা ছোটোরাও বুঝে গেলাম, এখন আর আমাদের সহজভাবে মিলেমিশে থাকা সম্ভব না।

বাবা একদিন ঢাকা যাচ্ছেন। বাঘা গেলো বাজার পর্যন্ত তার সাথে। বাঘা সেদিন আর বাড়ি ফিরে আসলো না। আমরা সবাই খোঁজাখুঁজি করে হয়রান। রাতেরবেলা বাড়িটা নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। বাঘার গড়গড়ে কন্ঠের ডাক শুনতে পেলামনা। কেমন যেনো গা ছমছম করতে লাগলো। এই বুঝি ভূত এসে গলা চেপে ধরলো!
ঠিক তখনই প্রজাপতিটা ঘরে এলো। কয়েকবার উড়ে জ্বালানো কুপিটার উপর পোকা খেতে এসে তার ডানা পুড়ে গেলো। আমি উঠে গিয়ে হাতে নিয়ে দেখি, মরে গেছে। আমি বহুদিন প্রজাপতিটা ধরতে চেয়েছি, পারিনি। আজ ও আমার হাতে মরে পড়ে আছে। আমার কষ্টে কান্না পেতে লাগলো। আমি জোর করে দম আঁটকে রাখলেও একবার ফুঁপানি দিয়ে শব্দ বেরিয়ে এলো।
মা বলল, মনে হয় তোর  বাবা বাঘাকে ঢাকা নিয়ে গেছে। কাঁদিস না, এখন ঘুমা।

বাঘাকে পরদিন পাওয়া গেলো জঙ্গলবাড়ির বাঁশঝাড়ে। কারা যেনো মাথাটা কেটে শরীর থেকে আলাদা করে ফেলেছে। রক্তাক্ত বিভৎস দেহ দেখে আমি সহ্য করতে পারিনি। বমি করে দিলাম। পাশেই নন্দিনীদের বাড়িতে গিয়ে পানি দিয়ে হাতমুখ ধুয়ে ফেললাম। নন্দিনী যখন কল চেপে দিতে বারবার নিচে ঝুঁকছিলো, তার ফ্রকের গলার ফাঁক দিয়ে একটা কদমফুলের মতো বৃন্ত দেখা যাচ্ছিলো। আমি আড়চোখে বারবার দেখছিলাম। সে যে কী রোমাঞ্চ! আমার শরীরের একটা অঙ্গ এক অজানা শিহরণে কেঁপে উঠছিলো।

এ নিষিদ্ধ সুখ এতোদিন আমার অজানা ছিলো। আমি রাতেরবেলা আকাশপাতাল ভাবছিলাম। বাঘা আর প্রজাপতিটা একদিনেই মরে গেলো! প্রজাপতিটা কী বাঘার আত্মা ছিলো? নাকি দাদার ভাষায় দু'জনেই শয়তান। একইসঙ্গে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলো! বাবা এখনো জানেই না যে বাঘা আর নেই। ফিরে এসে বাঘাকে না দেখলে বাবার কেমন লাগবে?
আমরা শুধু মানুষের কষ্টের কথাই ভাবি। বাঘাওতো একদিন নিজের জীবন বাজি রেখে বাবাকে বাঁচিয়েছিলো। বাঘার গায়ে এখনো একটা বল্লমের আঁচড়ের দাগ আছে। সেদিন যদি বাবা মারা যেতো বাঘার চোখের সামনে, তাহলে বাঘার কেমন লাগতো! বাঘা কী ততটাই কষ্ট পেতো, ঠিক বাবা যতটা পাবে বাঘাকে না দেখে? এসব আমি একদমই ভাবতে চাই না। অজান্তেই ভাবনাগুলো চলে আসে। আমি তো কেবল নন্দিনীকে লুকিয়ে দেখা সেই মুহূর্তগুলোর কথা বারবার ভাবতে চাই। নন্দিনী বড় হয়ে গেছে!

বাবাকে আমি কোনোদিন কাঁদতে দেখিনি। এবারও দেখলাম না। কিন্তু বাবা খুব চুপচাপ হয়ে গেলো। মাঝে মাঝে বাবা খুব রাতে বাঘার কবরের পাশে বসে মাটিতে হাত বুলাতো। হয়তো কাঁদতো। কিন্তু বাবার চোখের জল অত্যন্ত গোপন বস্তু। একদিন বাবা একটা বাচ্চা কুকুর নিয়ে আসলো। আমি ওর নাম রাখলাম বাগদি। রবি ঠাকুরের "ছুটি" গল্পটা ততদিনে আমার পড়া হয়ে গেছে।

ভাদ্রমাসে আমাদের গ্রাম পানিতে থৈথৈ করে। ডিঙি নিয়ে বাজার থেকে ফিরছিলাম। নন্দিনী ডাক দিয়ে বলল, আমাকে কুসুমদের বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যা।
নন্দিনী নৌকায় ধুপ করে বসেই বলল, একটা জিনিস দেখবি?
আমি বললাম, কী?
- তাহলে আমার সাথে একটা যায়গায় যেতে হবে। কাউকে বলবিনা কিন্তু!
- আচ্ছা বলবো না।
- যা, জঙ্গলবাড়ির দিকে যা।
আমি আজ্ঞাপালন করলাম। চারিদিকে পানি, জঙ্গলবাড়ি এখন সাপের আড্ডাখানা। বৃষ্টিতে মাটি স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। শনশনে হাওয়ায় বাঁশঝাড় থেকে অদ্ভুত এক শব্দ হচ্ছে। মনে হচ্ছে এক লাল শাড়ি পড়া কুহকিনীর ডাকে ভরদুপুরে শশ্মানে চলে এসেছি। কী এমন গোপন জিনিস দেখাতে এখানে নিয়ে এসেছে আমাকে! ভাবতেই আমার গা ঘেমে যাচ্ছে। গলা শুকিয়ে কাঠ।

নন্দিনী আমাকে দক্ষিণদিকে নিয়ে গেলো। ওখানে হাঁটুপানির মাঝখানে একটা হিজল গাছ। নন্দিনী লাফ দিয়ে একটা ডাল ধরে পা দিয়ে গাছটাকে জড়িয়ে ধরল। আমাকে বলল, গাধার মতো চেয়ে আছিস ক্যানো? ধাক্কা দে।
আমি ওর কোমরে হাত দিয়ে ঠেলা দিতেই আমার শরীর বেয়ে আবার একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেলো।
ও গাছে উঠে উপরের আরেকটা ডালে গিয়ে একটা পাখির বাসা থেকে ডিম দেখালো।
'নে ধর' বলেই ছুড়ে মারলো। আমি ক্যাচ ধরে ফেললাম। আরেকটা নরম মাটিতে সামান্য গেঁথে গেলো। হালকা নীল রঙের ডিমগুলো কী সুন্দর দেখতে! মা বকটা কোথায় যেনো গেছে, এদিকে তার বংশধর লুটপাট হয়ে গেছে, সে জানেও না। মা বকটা ফিরে এসে তার সন্তানদের না দেখলে কী কষ্ট পাবে?
নন্দিনী নিচে নেমে এলো। বলল, বলতো কীসের ডিম?
- কবুতর!
- ধুরর গাধা, বকের ডিম! নিশি বক।
- এগুলো কী করবি?
- খাবো।
- বকের ডিম দেখাতে এখানে এনেছিস?
- তো কী আবার! তুই কী ভেবেছিলি, গুপ্তধন পেয়েছি?
আমি কী ভেবেছি তা ওকে বলা সম্ভব না।

পরেরদিন আমরা আবার জঙ্গলবাড়ি এলাম।
নন্দিনী বলল, তুই আমার দিকে অমন ক্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকিস ক্যানো রে?
- কই না তো!
- হুম্মম, বুঝি বুঝি। চল, আজকে তোকে আরেকটা জিনিস দেখাবো।
বাসায় একটাও ডিম নেই। বকটা আজকেও নেই। নিশি বক কী আর প্রতিদিন ডিম দেয়! একসময় মা বকটাকে দেখতে পেলাম পানিতে একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে। অথবা এটাই কী ওই ডিমগুলোর মা কী না কে জানে!
একটা নৌকায় তিন চারজন লোক আসছে দেখলাম। আমরা এদিক ওদিক চাইলাম, কিন্তু লুকোনোর কোনো যায়গা এদিকে নেই। তাছাড়া আমাদের ডিঙিটা একদিকে বাঁধা।

আমার চাচাতো ভাই বাদল আর তার বন্ধুদের দেখে আমি ইকটু স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করলাম। যদিও অজানা আতঙ্কে বুক দুরদুর করছে। নন্দিনীর ভাব যেনো ওদেরকে সে দেখেইনি।
বাদল ভাই বলল, এখানে কী করিস তোরা?
আমি বললাম, কিছুনা। বক ডিম পেড়েছে।
একজন বলল, বকের ডিম? আমাদের ঘোড়ার ডিম বুঝাও? এদিকে আয়।
আমি কাছে যেতেই আমার প্যান্টের জিপার খুলে ফেলল একজন। বলল, দেখি দেখি কী করছিলি?
আমি বাঁধা দিতে যেতেই ওরা চারজন মিলে আমার হাত পা ধরে প্যান্ট পুরোপুরি খুলে ফেলল। একজন বলল, ভালোইতো বড় হয়ে গেছে। কী রে বাদল, তোর ভাইয়ের বয়স কতো?
বাদল ভাই বলল, বারো-তেরো হবে।
একজন বলল, চল ওরে আরেকবার মুসলমানি করিয়ে দেই।
নন্দিনীর সামনে এমন অপমান আমার সহ্য হচ্ছিলো না। আমি কেঁদে ফেললাম। বললাম, বাদল ভাই ছেড়ে দাও। আমি কিন্তু বাড়িতে গিয়ে বলে দিবো!
বাদল ভাই আমাকে একটা থাপ্পড় মেরে বলল, বলে দিবি? দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি। তাদের নৌকা থেকে একটা কাঁচি নিয়ে এসে আমার ওখানে ধরে বলল, ধরতো ভালো করে কুত্তার বাচ্চাটাকে।
একজন বলল, চামড়াটা ছাড়াবি, নাকি গোঁড়া থেকেই ফেলে দিবি?
সবাই হোহো করে হেসে উঠলো।
নন্দিনী এইসময় কাছে এসে বলল, ছেড়ে দেন ওকে।
একজন বলল, আচ্ছা ছেড়ে দিলাম।
বলেই খপ করে নন্দিনীর হাত ধরে বলল, মালাউনের মেয়ে ডাঙ্গর হয়ে গেছে। তুই ওর সাথে এই নিরিবিলি যায়গায় প্রতিদিন কী করিস রে? কোনো আকাটা পোলাপান জুটে নাই?
নন্দিনীও ছেড়ে দেবার মেয়ে না। সে হাতে কামড় দিয়েই দৌঁড়ে পানিতে নেমে গেলো। ওরাও পিছে পিছে পানিতে নেমে ধরে ফেলল নন্দিনীকে। ও কী আর ওদের সাথে সাঁতরে পারবে!
তারপর কী হলো তা আর বলতে পারবো না। অসাড় হয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ। একের পর এক নরপশু খুবলে খেলো নন্দিনীকে। নন্দিনী আমার এক বছরের বড় ছিলো। ওরা আমাদের ওভাবেই ফেলে রেখে চলে যাওয়ার সময় বলল, কেউ যাতে কিচ্ছু না জানতে পারে। তাহলে বাঘার মতো কল্লা কেটে জঙ্গলবাড়িতে ফেলে রাখবো বলে দিলাম।
বাঘাকেও তাহলে ওরাই মেরেছে! এই বাঁশঝাড়েই পড়ে ছিলো বাঘার রক্তাক্ত লাশ। বাঘা থাকলে আজকে ওরা এমনটা করার সাহস পেত না।

দিন বদলের নিয়মে দিন চলে যায়।
বাগদি বড় হয়ে গেলো তরতর করে। ও খুব জেদি আর একরোখা। ওকে দেখলে আমার বাঘার কথা প্রায়শই মনে পড়ে যায়। আমি ম্যাট্রিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম।
নন্দিনীকে সেদিন আমি বাড়ি দিয়ে এসেছিলাম। এই ঘটনার কথা আমরা কাউকেই জানাইনি। নন্দিনীও আর বাড়ি থেকে তেমন বের হতোনা। এবাড়ি ওবাড়ি গেলেও জঙ্গলবাড়ি গিয়ে গাছে উঠে নিশি বকের ডিম খোঁজা মেয়েটার চঞ্চলতা কোথায় যেনো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একসময় নন্দিনীর বিয়ে হয়ে গেলো কুমিল্লায়। কেনো যেনো মনে হলো, ওর সাথে আমার আর কনোদিন দেখা হবেনা। নন্দিনী সেদিন আমাকে কী দেখাতে চেয়েছিলো? যা আর কোনোদিন দেখা হবে না!
চাচাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক আগের মতোই আছে। তবে আমি এসব নিয়ে তেমন মাথা ঘামাই না।
বাদল ভাই একবার পৌরসভা নির্বাচনে দাঁড়ালেন। আমি তার হয়ে ক্যাম্পেইনে নামলাম। আগের সেই দিনগুলো ফিকে হয়ে স্মৃতির আড়ালে ঢেকে গেছে।

এক শীতের রাতে আমার কী যে হলো বুঝলাম না। শুধু মনে হলো প্রতিশোধ নিতে হবে। কীসের প্রতিশোধ তা আমি জানিনা। আমার রক্ত শুধু প্রতিশোধের নেশায় ছটফট করতে লাগলো। আমি বাগদিকে নিয়ে বসে আছি বাদল ভাইয়ের অপেক্ষায়। বাদল ভাইকে আসতে দেখে আমি একটা গাছের ওপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লাম দাঁ নিয়ে। কাঁধে কোঁপ টা বসেছে ঠিকমতোই। তবু সে আমার উপরে এসে ধস্তাধস্তি শুরু করল। ঠিক তখনই বাগদি এসে বাদল ভাইয়ের কাঁধে কামড় বসালো। আমি তার দু'রানের মাঝখানে দাঁ দিয়ে কোঁপ দিলাম। একটা আর্তচিৎকার দিয়ে লুটিয়ে পড়ল তার দেহ।

আমি আর বাগদি জঙ্গলবাড়ির পুকুরে নেমে গোসল করলাম ভালো করে। খুব অদ্ভুত একটা ব্যাপার ঘটল তখন। একটা প্রজাপতি উড়ে এসে বসল আমার কাঁধে। আমি চুপচাপ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম। মনে হচ্ছে যেনো ছেলেবেলার সেই প্রজাপতিটা ফিরে এসেছে। চোখে ভুল দেখছি না তো? একবার মনে হলো বাদল ভাইকে সত্যিই আমি খুন করেছি তো! নাকি সবই হ্যালুসিনেশন? আমি ঘোর কাটানোর জন্য প্রজাপতিটা স্পর্শ করতেই সে উড়ে চলে গেলো। ঠিক তখনই উপলব্ধি করলাম, নন্দিনীকে আমি খুব ভালোবাসতাম। এখন কী বাসি না? তাহলে আমি বাদল ভাইকে খুন করলাম কেনো!
এমন অদ্ভুত সব ভাবনাগুলো ভাবতে ভাবতে আমার দিনরাত্রি কেটে যায়। জীবনে অনেককিছু আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। ভাবনাগুলো থেকে গেছে। মনে হয় ভাবতে ভাবতে একদিন আমি পাগল হয়ে যাবো। আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×