৭ই জানুয়ারি,বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা,একটি সাদা রংয়ের গাড়ী প্যারিসে অবস্থিত রম্য ম্যাগাজিন "শার্লি হেবদো"-এর অফিসের অনতিদূরে এসে থামল। গাড়ী থেকে নামল কালো পোশাক পরিহিত দুজন লোক। তাদের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল আর হাতে ছিল অটোমেটিক অস্ত্র। তারা পাশে কর্মরত লোকের কাছে "শার্লি হেবদো" -এর অফিসের অবস্থান জানতে চাইল এবং গুলি করল। এতে একজন মারা গেল।
বিল্ডিং-এর তৃতীয় তলায় ম্যাগাজিনটির অফিস। প্রবেশমুখের প্রথমেই 'নিউজরুম'। প্রতি বুধবার ম্যাগাজিনটি প্রকাশিত হয়, এইজন্য নিউজরুমে সম্পাদকসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা খুব ব্যস্ত ছিল। এইসময় মুখোশ পরিহিত হাতে অস্ত্রসহ লোক দুইজন প্রবেশ করল। প্রবেশ করেই অস্ত্র উঁচিয়ে মহিলাদেরকে পুরুষদের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যেতে বলল। এরপর পুরুষদেরকে নাম জিজ্ঞাসা করেই গুলি করা শুরু করল। সাথে সাথে সম্পাদকের দেহরক্ষী একজন পুলিশ সহ মোট দশজন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল।
গুলির শব্দ শুনে নীচ থেকে এক পুলিশ উপরে আসার পথে তাদের মুখোমুখি হল এবং শুরু হল দুপক্ষের গুলি বিনিময়। পুলিশটি এতে আহত হয়ে পড়ে গেল, মুখোশ পরিহিত দুজনের একজন তখন কাছে যেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পুলিশটির কপালে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করল এবং কোন বাধা ছাড়া স্থান ত্যাগ করল।
হত্যাযজ্ঞ শেষে চলে যাওয়ার সময় তারা চিৎকার করে বলেছিল "আমরা মহানবী(স
মুখোশ পরিহিত দুজনের একজন সাইদ কোশি,আরেকজন শরিফ কোশি। তারা আপন দুভাই। সাইদের বয়স যখন ১৪বছর,আর শরিফ কোশি ১২বছর তখন তাদের আলজেরিয়ান পিতামাতা মারা যায়। তারা প্যারিসের শহরতলীতে বাস করত। পিতামাতার মৃত্যুর পর তাদের দায়িত্ব নেয় প্যারিস সোস্যাল সার্ভিস এবং তাদেরকে মধ্য ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সাইদ হোটেল বিষয়ে ডিপ্লোমা করে আর শরিফ হয় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর আগে তারা জিহাদি গোষ্ঠীর সংস্পর্শ লাভ করে এবং এইজন্য তাদের জেলেও যেতে হয়।
রম্য ম্যাগাজিন "শার্লি হেবদো" মহানবী(স
ইসলাম ধর্মে একমাত্র আল্লাহ্র উপাসনা করা মুসলমানদের জন্য জায়েজ, আর কারও উপাসনা করা নিষিদ্ধ। মহানবী(স
মহানবী(স
"দ্যা ম্যাসেঞ্জার" নামক একটি চলচ্চিত্র -যেটি মুসলিম সমাজে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল-তাতে মহানবী(স
অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় থেকে মুসলমানদের উপাসনালয় পৃথক। মুসলমানদের উপাসনালয় "মসজিদ"-কে কোন ছবির পরিবর্তে পবিত্র কোরানের আয়াত দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




