প্রতি মাসের নেয় এবার ও #এটি_এম_বুথে গেলাম টাকা তুলার জন্য।
এমনিতে আজ মনটা চরম খারাপ, (অফিসিয়াল) কারণটা নাই বা বললাম।
ব্যাংক এশিয়া বুথে গেলাম টাকা তুলার জন্য,
বাহিরের থেকে দেখছি কারেন্ট নাই, বুঝলাম অপেক্ষা করতে হবে কিন্তু বুথে উঁকি দিয়ে
দেখি একজন ভিতরে টাকা তুলছে, বুথের গার্ড ম্যান ও নাই !
কিছু সময় অপেক্ষা করার পর লোকটিকে অনুরোধ করলাম তাড়াতাড়ি করার জন্য,
যেহেতু আই পি এস দিয়ে চলছে।
বুথে কার্ড প্রবেশ করালাম যথারীতি টাকা চেক করে তুলতে গেলাম।
বাংলাদেশের কালো টাকা ধরার জন্য সেই সময়ে #ফখরুউদ্দিন সরকার
একটি আইন পাশ করেছিলো।
কনো অবস্থায় বিশ হাজারের উপর টাকা তুলা যাবে না এক সাথে। সেই সূত্রে মানুষ এখনো
বুথ থেকে এক সাথে বিশ হাজারের বেশী টাকা তুলতে পারে না।
আমি বিশ হাজার টাকা তুলার অনুমতি নিয়ে এন্টার চাপলাম।
টেনশন করছি আইপিএস চলছে কনো রকম সমস্যা হলে ভুগতে হবে।
আমার টাকাটা বাহির হওয়ার কয়েক সেকেন্ড বাকী। সম্ভবত টাকা গুলো মিশিনে গুনছে।
তখনি আইপিএসের বন্ধ হয়ে গেলো।
অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি মনিটরের দিকে এ কি হলো :O :O
আমাকে আরো অবক করে দিয়ে মোবাইলে মেসেজ আসলো আপনার একাঊন্ট থেকে
বিশ হাজার টাকা তুলা হয়েছে !! :/
উপায় না দেখে কল দিলাম কাস্টমার কেয়ারে।
সব শুনে আমাকে এক থেকে দুই দিন অপেক্ষা করতে বলছে।
এরি সাথে কারেন্ট আসার পর যদি মানি রিসিভ আসলে তাহলে রিসিভ কপি সাথে করে
ব্যাংক অফিসে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করলেন।
শুরু হলো কারেন্ট আসার অপেক্ষা দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা পর আসলো কারেন্ট।
কিন্তু রিসিভ কপি আর বের হলো না। মেজাজ চরম খারাপ হয়ে আছে ।
ভাগ্যিস একসাথে বিশ হাজারের উপরে তুলা অফ তা না হলে
বাকী টাকাটা তুলতে পারতাম না পুরাটাই যেতো !!
ব্যাংক গুলোর সফটওয়্যার এ কি বেহাল অবস্থা গ্রাহক টাকা তুলতে পারেনি।
অথচ আমাকে অপেক্ষা করতে হবে আরো দুই দিন।
হাইরে ডিজিটাল বাংলাদেশ