প্লেন থেকে নেমে বিমান বন্দরের নীচতলার ইমিগ্রেশন লাইনে দাড়ালাম পাসপোর্টে সীল-ছাপ্পোড় নিতে। যথারীতি আশেপাশের মানুষজনকে মাপতে গিয়ে দেখলাম পাশের লাইনের সমনের দিকে এক কন্যাসহ মহিলা দাঁড়িয়ে। দেশী মহিলা উইথ বৃটিশ পাসপোর্ট। কালো টি শার্ট, জিন্স, মেয়ের কানে হেড ফোন। ইমিগ্রেশন অফিসারের ডেস্কের সামনে আসার পর বিদেশী পাসপোর্ট দেখে তাকে অফিসার বললোঃ আপনাকে এর্যািইভাল (arrival) ভিসা নিতে হবে। মহিলা গেলো ক্ষেপে, সমানে সিলেটী ও ইংলিশ মারার সারমর্ম হল- তিনি বাঙ্গালী, তিনাকে কেন ভিসা নিতে হবে? ইমিগ্রেশন অফিসার উৎসাহ নিয়ে বললোঃ হবেনা ম্যাডাম, আপনার বিদেশী পাসপোর্ট। কোন উপায় নাই।
মহিলাও কম যায় না। পিছনের লাইনে থাকা মেয়ের হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে ডেস্কের পাশ দিয়ে ইয়োলো লাইন পেরিয়ে দৌড়। অফিসার হৈ হৈ করে উঠলেন। ৩/৪ টা কাউন্টার বন্ধ করে সব ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ২ জনের পেছন পেছন। কি কান্ড!!! আমরা আম জনতা হা করে গিলছি সব।
এরপরের ঘটনা সংক্ষিপ্ত। কন্যাসহ মহিলা আটক, বড় কর্তার আগমন। হাল্কা বাতচিত। দরকষাকষি অতঃপর সিস্টেম। সব্বাই খুশ আর তাদের সসম্মানে বিদায়। ব্যপারটা হলো এর্যাকইভাল (arrival) ভিসার জন্য লাগে ৬০ ডলার। ২ জনের ১২০ ডলার। এটা না দেওয়ার জন্নই তার এই ১০০ মিটার স্প্রিন্টারে উর্দ্ধশ্বাসে দৌড়। পরে লাগেজ নিতে গিয়ে জানলাম তারা নাকি সিস্টেম করসে মাত্র ২০ পাউন্ডে (সুপার সেভ)। চালু মাল!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




