এখান থেকেই ঘটনা ক্রমে আন্দোলনমূখী হতে থাকে। এরপর সংগ্রাম পরিষদ ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসের পহেলা সপ্তাহে ১১ মার্চ কে প্রতিবাদ দিবস ঘোষনা করে বিভিন্ন পত্রিকায় বিব্ৃতি দেয়, সেদিন সাধারন ধর্মঘাট পালন করা হবে। মজলিস কর্মীদের দিনরাত পরিশ্রমের ফলে ছাত্রসমাজের চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটে এবং সর্ব্বস্তরের কর্মীরা আন্দোলনকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।
১৯৪৮ সালের ১১ ই মার্চ ছিল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এ প্রথম সংঘটিত গণবিক্ষোভ দিবস। বস্তুতঃ ১১ মার্চ এর বিক্ষোভ এবং আন্দোলন এর ফলেই রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে নাজিমুদ্দিন সরকার এর সাথে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর ৭ দফা চুক্তি হয়।
দাবীগুলো ছিলো---
১। অবিলম্বে বাংলাকে পূর্ববঙ্গের সরকারী ভাষা, আদালত এর ভাষা ও শিক্ষা মাধ্্যম ঘোষনা করতে হবে।
২। কেন্দ্রীয় গভর্নর যাহাতে বাঙলা কে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকার করে নেন, সে জন্য পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থা পরিষদ এ একটি প্রস্তাব পাশ করিয়া কেন্দ্রীয় গভর্ণর এর নিকট তাহা পাঠাতে হইবে।
৩। ভাষা আন্দোলনের সময় যারা বন্দী হইয়াছেন তাহাদের বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে।
৪। ভাষা আন্দোলনের সময়ে ইত্তেহাদ, অমৃতবাজার, আনন্দবাজার প্রভৃতি পত্রিকার উপর যে নিষেধাগ্গা জারি হয়-তাহা উঠাইয়া লইতে হবে।
৫। ভাষা আন্দোলনে জড়িত ছিল বলে কোন কর্মকর্তা কর্মচারীকে কোন রকমের শাস্তি দেয়া যাবে না।
৬।প্রেসনোট বাহির করিয়া সরকার ঘোষনা করিবেন যে, ভাষা আন্দোলন কোনমতেই রাষ্ট্রের শত্রুদের দ্বারা পরিচালিত হয় নাই।
৭। ভাষা আন্দোলন দমাইবার জন্য সরকার যে কার্যক্রম লইয়াছে তজ্জন্য প্রকাশ্যভাবে নাজিমুদ্দিন সাহেবকে ক্ষমা চাহিতে হইবে।
চলবে---
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৬