এটাই গণতন্ত্র, এটাই সেক্যুলারিজম, ১৯৯৬ - ২০০১ পর্যন্ত আমরা এটাই দেখেছিলাম তাই আমরা পারিনি আ:লীগ কে সমর্থন করতে। নির্বাচনে আ:লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার কারণ যাই হোক তারা কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন.........। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পরে তারা কি করছেন, ইসলামপ্রিয় মানুষকে নিধন শুরু করলেন, কেউ কি বলতে পারেন কি দোষ ছিল নোমাণীর, জামালপুরের রমজান আলীর। হ্যা দোষ একটাই তারা ইসলামের কথা প্রচার করার চেষঠা করেছিল, এদেরকে শেষ করতে পারলেই ইসলামের নাম বন্ধ হবে। সম্প্রতি তারা কোরআনের তাফসীর মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারী করলেন, কেন?? তাফসীর মাহফিলে কোরআন এর আলোচনা হয়, হাদীসের কথা বলা হয় , ইসলামের গৌরবোজ্জল ইতিহাসের কথা বলা হয়। মাহফিলে কোন দেশদ্রোহী কথা বলা হয় না, জংগী প্রশিক্ষণ হয় না।
তাহলে কেন? হ্যা এই কেনোর উত্তর একটাই যারা ১৪৪ ধারা জারী করেছে তারা চায় না ইসলামের প্রচার হোক, প্রসার হোক , তারা ইসলামপন্থীদের বাকরোধ করার জন্য সচেষ্ঠ সব সময়। এক ব্লগার মন্তব্য করেছিলেন প্রমান করুন আ:লীগ নোমানীকে হত্যা করেছে, যে ঘটনায় রাজশাহীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ বন্ধ তার আর কি প্রমাণ চাণ আপনরা। ক্ষমতাবাণদের সহায়তায় ইসলামী ফাউন্ডেষনের ডি জি বলেন , মুসলমান মাত্রই জংগী , যেখানে খোদ আমেরিকাই মুসলিমদের জংগী বলা বন্ধ করেছে।কেউ কি বলতে পারেন মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠদেশের তাফসীর মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারী করতে পারে, পুলিশ কি কখনোই সে মাহফিলের প্যান্ডেল ভাঙতে পারে। তাহলে কি বাংলাদেশ কে তুরষ্কের পরিণতি বরণ করতে হবে , কামাল আতাতুর্ক এর মত হয়তো এদেশের কোন ক্ষমতাবাণ ব্যক্তি মুয়াজ্ঝিন কে শাস্তি দিবেন আজান দিয়ে সকালের ঘুম ভাঙানোর অপরাধে।
আল্লাহ এই সরকারের বোধদয় করুন।
prothom-alo
Tafsir Mahfil e 144 Dhara
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৩৭