
রাজনৈতিক আশ্রয় আন্তর্জাতিক আইনের একটি স্বীকৃত অধিকার। কোন ব্যক্তি যদি তার নিজ রাষ্ট্র থেকে রাজনৈতিক মতাদর্শ বা ধর্মীয় কর্মকান্ডের জন্য বিতাড়িত হয় তাহলে ঐ ব্যক্তি মানবিক কারণে অন্য রাষ্ট্রে প্রবেশ ও বসবাসের জন্য অনুমতি লাভ করতে পারে। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ১৯৪৮ এর অনুচ্ছেদ ১৪(ক) তে বর্ণিত হয়েছে যে, নিজ রাষ্ট্রে রাজনৈতিক বা আদর্শগত কারণে নিপীড়ন বা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির অন্য রাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে।
কোন ব্যক্তি আশ্রয় প্রার্থনা করলেই তাকে আশ্রয় প্রদান করতে হবে অথবা কোন ব্যক্তি অধিকার হিসাবে এই আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারবে সে সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আইনে কোন সুস্পষ্ট বিধান নেই। এই প্রকারের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন হিসাবে স্বীকৃত।
আবার কোন কোন রাষ্ট্র যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি তাদের সংবিধানে রাজনৈতিক আশ্রয়কে অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। কোন ব্যক্তিকে আশ্রয় প্রদান করা রাষ্ট্রের বিবেচনার উপর নির্ভর করে এবং আশ্রয় প্রদান করলে ব্যক্তির নিরাপত্তার প্রতি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে সচেতন হতে হয়। আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শুধুমাত্র থাকার অনুমতি দেয়াই যথেষ্ট নয় বরং আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তির আবাসন ও ভরণপোষণে সহায়তা প্রদান করাও সেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রকারভেদঃ আশ্রয় দুই প্রকারের হতে পারে যথা-
১) ভূখণ্ডগত আশ্রয় (Territorial Asylum)
২) অতি-রাষ্ট্রিক আশ্রয় (Diplomatic or Extra- territorial Asylum)
(ছবিঃ ইন্টারনেট।)
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




