somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাস্ট এ লাভ স্টোরি (সেশন-১)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়টা ২০০৮ ।
এন্ড্রয়েড/উইন্ডোজ ফোন কি দেশের মানুষ তখনো তা জানে না । নকিয়ার গুটিকয়েক সিম্বিয়ান ফোনের রাজত্ব তখন । সিমবিয়ানের বাইরে কিছু মাল্টিমিডিয়া জাবা সেটও ছিল । দাম ছিল সেসবের আকাশ ছোঁয়া ।

ঠিক এই সময়টায় দেশে মাল্টিমিডিয়া চাইনিজ ফোনের আমদানি শুরু হয় । আড়াই-তিন হাজার টাকার মাঝে ফুল মাল্টিমিডিয়া সেট পাওয়া যেতে থাকে । সেই ফোনে একই সাথে ডুয়েল সিম ব্যবহার করা যায়, গান শোনা, ভিডিও দেখা, ছবি তোলা সবই চলে । এবং তখনকার জন্য এটাই ছিল অনেক বড় কিছু ।

ব্যাঙের ছাতার মত মোবাইল ফোনের বিস্তার হতে থাকে । রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে দুধের বাচ্চা সেও মোবাইল ইউজারের খাতায় নাম লেখায় । ফোন কেনার সেই জোয়ারেই একটি হ্যান্ডসেটের গর্বিত মালিক হয় আমাদের গল্পের নায়ক জিয়া । এবং তার জীবনের গল্প বদলে যায় ।

সময়টা ২০০৮ । আতিফ মাত্র SSC দিয়েছে । এখনো রেজাল্ট বের হয়নি । হাতে বেশ কিছু টাকা পয়সা আছে । তাই পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ধুম করে একটা সেট কিনে ফেলে ।

গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের এই বয়সী একটা ছেলের কাছে এত টাকা থাকার কথা না । তার টাকার রহস্যটা হল, পরীক্ষার আগে নানা-নানী, মামা-খালু-ফুফা সবার কাছে দোয়া চাইতে গিয়েছিল । মাথায় হাত রেখে কয়েকটা গুরু গম্ভীর উপদেশের পাশাপাশি পকেটে দু/একটা পাঁচশো টাকার নোট গুঁজে দেওয়াও আজকাল দোয়ার মধ্যে পড়ে !!

সেট কিনে বাসায় এনে অন করার পর জিয়ার মাথায় বাড়ি ! তার হ্যান্ডসেটটি ব্যান্ড নিউ না ! ডায়াল লিস্টে অনেক গুলা নাম্বার ! ইনবক্স, আউটবক্স, সেন্ডবক্স সব বক্সই এসএমএসে ভর্তি ! যে দোকান থেকে সে ফোনটা কিনেছিল সাথে সাথে গিয়েই সেখানে রিপোর্ট করল ।

তখনকার চাইনিজ ফোনগুলো কেনার একটা নিয়ম ছিল । নো ওয়ারেন্টি, নো গ্যারেন্টি ! কেনার সময় টাকা পে করার আগেই সব ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিতে হয় । কেনার পর দোকান থেকে বের হওয়ার পরপরও যদি ফোনটি নষ্ট হয়ে যায়, তারপরও নো রিপ্লেসমেন্ট ! সস্তার তিন অবস্থা যাকে বলে আরকি !
বেচারা জিয়া, কেনার সময় সব দেখে কিনে নাই বলে সেট ফেরত্‍ নিয়ে এসেও কোন সুবিধা করতে পারল না ।

নিজের টাকায় কেনা জীবনের প্রথম ফোন । আর তাতেই এমন বাঁশ খাওয়ার পর বেচারা চরম ক্ষেপল । সিদ্ধান্ত নিল ফোনে যে সব নাম্বার আছে তাদের কাউকেই আর শান্তি থাকতে দেবে না !
ফোনের কনভার্সেশানটা চেক করে বুঝল কোন প্রেমিক প্রেমিকার মধুর আলাপ সেটা ! ব্যস যায় আর কই ?

সে নিজে মেয়েটির আত্মীয় সেজে ছেলেটিকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিতে লাগল । মেয়েটিকে ছেড়ে দে, নইলে তোর সানডে মানডে ক্লোজ কৈরা দিমু- এই টাইপ আরকি ! তবে ফোনে না, এসএমএসের মাধ্যমে ! তার নাম্বারটা সবসময় ড্রাইভার্ট করা থাকত ! ফলে অপর পক্ষ থেকে তার সাথে যোগাযোগ করার যতই চেষ্টা করুক, তার নাগাল পেত না কেউ !
মাঝে মাঝে তাদের চমকে দেয়ার জন্য কোন তারিখে, কয়টায় কি মেসেজ দিয়েছে সেটা ফরওয়ার্ড করত । সে যে ফাও বকছে না, তার কাছে যে কিছু প্রমাণাদি অবশ্যই আছে সেটাও বুঝাত !!

মাসখানেক এভাবে চলার পর জিয়া ভাবল যথেষ্ট হয়েছে ! কি দরকার শুধু শুধু ওদের পেইন দেয়ার ? তাছাড়া ওর নিজের পকেটও অনেকটা ফাঁকা হয়ে এসেছে ।
তাই সে অনেক লম্বা করে একটা এসএমএস লিখে তাতে স্যরি-টরি বলে, আর ডিস্টার্ব করবে না বলে প্রমিজ করে সিমটা বন্ধ করে দিল ।

গল্পটা এখানেও শেষ হতে পারত । কিন্তু এখানে শেষ হলে যে এটা কোন গল্পই হত না ! তাই গল্প এখানে শেষ নয়, বরং বলা যায় বিজ্ঞাপন বিরতি !!

মাস তিনেক পর ঝামেলা চুকে গেছে মনে করে সিমটা আবার খোলে সে । তবে এখন আর আগের মত ইতরামি করে না । এই কয় মাসে অনেক ভাল হয়ে গেছে !
আননোন নাম্বার থেকে আসা কল রিসিভ করে না, যদি আগে যাদের সাথে বদমাইশি করেছে তারা কেউ হয় এই ভয়ে !

মানুষ চায় এক আর হয় আরেক । মাস দেড়েক পর একদিনের কথা । হেডফোনে গান শুনতে শুনতে সাইকেল চালাচ্ছিল । এমন সময় একটা ফোন আসে । রাস্তায় ছিল বলে ফোনটা পকেট থেকে বের করার ঝামেলায় না গিয়েই হেডফোনে কলটা পিক করে সে । আর এটাই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায় ।

ফোনের অপর প্রান্তে ছিল ঐশী । তার এক বান্ধবীর কাছে ফোন দিয়েছিল । কিন্তু একটা ডিজিট ভুল হওয়ার কারণে কলটা জিয়ার কাছে চলে আসে । মেয়েটা ভুল বুঝতে পেরে কথা না বাড়িয়ে লাইনটা কেটে দেয় । তখন রমযান মাস চলছিল ।

মেয়েটার কন্ঠ অনেক সুন্দর ছিল, অদ্ভুত এক মাদকতা ছিল তার স্বরে । তাই নাম্বারটি ডিলিট করতে যেয়েও কি এক অদ্ভুত আকর্ষণে ডিলিট না করে সেভ করে রাখে !

শেষ রোজার শেষ সন্ধ্যা । চাঁদ রাত । পরদিন ঈদ ।
বন্ধুদের সবাই কে উইশ করার পরও এসএমএস বান্ডেলের বেশ কিছু মেসেজ তখনো অবশিষ্ট রয়ে যায় । ভাবলো, টাকা দিয়ে কেনা জিনিস, এমনি এমনি ফেলে দিয়ে কি লাভ ? তার চেয়ে বরং দিয়েই শেষ করে ফেলি । মেয়েটির নাম্বারেও তখন একটি মেসেজ যায় ।

ঈদের দিন, বন্ধুরা মিলে ঘুরতে বেরিয়েছে । এমন সময় ঐশীর ফোন আসে । উইশ করার জন্য থ্যাংকস জানায় । টুকটাক কথা হয় । সেদিন রাতে জিয়া আবার ফোন দেয় তাকে । তখন আবারো কথা হয় । পরদিন সকালে ঐশী ফোন দিয়ে গুড মর্নিং জানায় ! রাতে জিয়া জানায় গুড নাইট ! পরদিন সকালে ঐশী, রাতে জিয়া ! এরপর ঐশী, জিয়া, ঐশী, জিয়া, ঐশী, জিয়া.....

প্রথম প্রথম চার/পাঁচ মিনিট কথা হত তাদের মাঝে । এরপর দশ/বারো মিনিট । এরপর আধা ঘন্টা । এরপর এক ঘন্টা । এরপর......

একদিন কথা প্রসঙ্গে জিয়া ঐশীকে জিজ্ঞাসা করে- আচ্ছা আমরা যে প্রতিদিন এভাবে রাত জেগে কথা বলি, কেন বলি ? কি নাম আমাদের এই সম্পর্কের ?
ঐশী কিছুক্ষণ চুপ থেকে জবাব দেয়- সব সম্পর্কের কি নাম থাকতে হয় ? কিছু সম্পর্ক থাক না নামহীন....
নামহীন এক সম্পর্কের বাঁধনে জড়িয়ে থাকে তারা দুজন ।
জিয়া ঐশী দুজনই তখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট । দুজনেই সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের । তাই কথা বলার সাবজেক্টের অভাব হত না । যখন আর কোন কথা খুঁজে পেত না তখন পড়াশোনার আলাপ জুড়ে দিত !

দুজনের মাঝে মিল ছিল বেশ । যেমন- দুজনের প্রিয় শিল্পী আসিফ, প্রিয় লেখক জাফর ইকবাল স্যার, প্রিয় রং নীল, প্রিয় ফুল রজনীগন্ধা, প্রিয় টিভি শো ইত্যাদি, প্রিয় কার্টুন টম এন্ড জেরি, প্রিয় শখ বই পড়া.... দুজনেই আড্ডাবাজি চরম পছন্দ করে, দুজনেরই ঘুম খুব প্রিয় ।

তবে মিলের পাশাপাশি অমিলও আছে বেশ কিছু । এই যেমন- জিয়ার কাছে ফিজিক্স সহজ লাগে, কেমেস্ট্রি কঠিন । কিন্তু ঐশীর কাছে কেমেস্ট্রি সহজ, কিন্তু ফিজিক্স সে জমের মত ভয় পায় ! জিয়া ঝাল একদমই খেতে পারে না, আর ঐশীর কাঁচা মরিচ ছাড়া গলা দিয়ে ভাত নামে না ! বাইরের খাবার জিয়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে চায়, তার আবার গ্যাস্টিকের প্রবলেম ! আর এদিকে রাস্তার আশেপাশে যা যা পাওয়া যায়- ফুচকা, চটপটি, পেঁয়াজু, ঝালমুড়ি সবই ঐশীর চরম প্রিয় !

মিল এমিলের এসব ব্যাপার নিয়ে দুজনের খুনসুঁটি লেগেই থাকে !

২০০৯-র প্রথম দিকের ঘটনা । ঐশীর হঠাত্‍ অসুখ হয় । জিয়ার সাথে সপ্তাহখানেকের জন্য যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় । একসপ্তাহ কথা বলতে না পেরে জিয়া তো পুরাই উতলা । ওদের প্রথম যখন রেগুলার কথা বলা শুরু হয় তখন ঐশী জিয়াকে সাবধান করে দেয় যে ফোনটা ঐশীর নিজের না । তার দাদী মার । তাই ঐশী যদি গ্রিণ সিগ্যনাল না দে তবে জিয়া যাতে কখনো ওর নাম্বারে ফোন না দেয় । এতদিন শতর্টি মানলে ঐশীর সাথে যখন একসপ্তাহ কথা বলা বন্ধ তখন জিয়া আর শর্তটি মানতে পারে না । কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই ফোন দিয়ে দেয় !

তিন দিন পরের কথা । একটা আননোন নাম্বার থেকে জিয়ার নাম্বারে কল আসে । অপর প্রান্তে ছিল ঐশী- তোমাকে আমি বলেছিলাম এভাবে ফোন না দিতে, তারপরও তুমি শোন নাই । এখন তোমার ব্যাপারটা আমার ফ্যামেলিতে জেনে গেছে । আমাকে প্রচুর বকেছে । আমার কাছ থেকে ফোনও নিয়ে গেছে । আর কথা হবে না । ভাল থেকো ।

জিয়া কিছু বলার সুযোগ পায় না । ঐশী তার আগেই লাইন কেটে দেয় ।

ঐশীর কেবল একটা নাম্বারই জিয়ার কাছে ছিল । কিন্তু ঐ নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায় । পরে ঐশী যে নাম্বার থেকে ফোন দেয় জিয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ঐটা একটা ফোনের দোকানের নাম্বার । ঐশীর সাথে যোগাযোগের কোন উপায় খুঁজে পায় না জিয়া ।
হুট করেই জিয়ার জীবন থেকে হারিয়ে যায় ঐশী ।

ঐশীকে হারিয়ে জিয়া প্রায় পাগলপ্রায় । তার সাথে তো ওর প্রেমের সম্পর্ক ছিল না । তাহলে কেন তার এতটা খারাপ লাগছে ? কেন সবকিছু অর্থহীন মনে হচ্ছে ? কেন কোনদিন না দেখা ঐ মেয়েটির জন্য পুরো পৃথিবীকে তুচ্ছ মনে হচ্ছে ? কেন মনে হচ্ছে শুধু আরেকটিবার ঐ মেয়েটির সাথে কথা বলার জন্য সে জীবনও দিয়ে দিতে পারে ?
পৃথিবীতে নামহীন সম্পর্কগুলো আসলেই অনেক ভয়ানক নয় । কি থেকে যে কি হয়ে যায় কেউ জানে না !

ঐশী চলে যাওয়ার পর জিয়া নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নেয় । বন্ধুদের আড্ডায় আগের মত আর মন বসে না । ক্রিকেট খেলতে এখন আর ভাল্লাগে না । পড়ালেখা লাটে উঠেছে ।
অনভ্যস্ত হাতে সিগারেট ধরানোর চেষ্টা করে । এক টান দিয়ে খুক খুক কাশে । নিকোটিনের নেশায় দুঃখ ভুলতে চায় । কিন্তু বাষ্পীভূত নিকোটিনের কি এত ক্ষমতা আছে যে তা বুকের জ্বালা মিটিয়ে দিবে ?
সময় বয়ে যায়......

প্রায় ছয় মাস পরের কথা । একদিন হুট করেই ঐশীর নাম্বার থেকে ফোন আসে- হেই জিয়া, কেমন আছ.....
ওদের কথার ঘড়ি আবার ননস্টপ চলতে শুরু করে ।

গল্পটা এখানেও শেষ করা যায় । কিন্তু এখানে শেষ হলে আর গল্পের সাসপেন্স থাকল কি ?
চলুন আরেকটু সামনে আগানো যাক.....

ঐশী ব্যাক করার বেশ কয়েক মাস পরের কথা । একদিন দুপুরবেলা জিয়া ঐশীকে ফোন দেয় । চলুন তাদের কথোকপথনটা শুনে আসা যাক....

:- হ্যাঁ ম্যাম, কই আপনি ?
:- এইত... কোচিং থেকে বাসায় যাই । আপনি কই স্যার ?
:- আমি তো মাত্র কলেজ থেকে বাসায় আসলাম । আপনি কোচিং এ গিয়েছিলেন ?
:- হ্যাঁ ।
:- কেন ? কলেজে যান না ?
:- কলেজ ? কিসের কলেজ ?
:- কিসের কলেজ ! মানে কি ?
:- জিয়া, তোমার কিছু কথা জানা দরকার । আমি তোমার কাছে কিছু মিথ্যে বলেছি, কিছু তথ্য গোপন করেছি । জানি না তুমি কথাগুলো কিভাবে নাও । কিন্তু সত্য তো সত্যই । একদিন না একদিন তো সব জানতেই হবে । আর আমি মনে করি ইটস দ্য হাই টাইম এসব জানার ।
:- ঐ কি হয়েছে তোমার ? কি জানতে হবে আমাকে ?
:- জিয়া... আসলে আমি তোমার সাথে পড়ি না । আমি তোমার এক ব্যাচ সিনিয়র । এই বছর আমি পরীক্ষা দিয়েছি । এখন মেডিক্যালের জন্য কোচিং করছি !

জিয়া পাক্কা দুই মিনিট নীরব । আকাশ থেকে পড়েছে সে । এমন অদ্ভুতুড়ে কথা শুনতে হবে জীবনে কোন দিন ভাবেনি সে । কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে । কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না । অবশেষে দীর্ঘ দুই মিনিটের নীরবতা পালন শেষে মুখ খুলল সে...

:- কেন করলে তুমি এমনটা আমার সাথে ? কেন এভাবে আমাকে নিয়ে খেললে ?
:- বিশ্বাস করো জিয়া, তোমাকে নিয়ে খেলার কোন ইচ্ছাই আমার ছিল না । আমি শুধু এটুকুই জানতে চেয়েছিলাম কে তুমি ? তুমি কিভাবে আমাকে চিন ?
:- বুঝি নাই । আমি কিভাবে তোমাকে চিনব ? মানে কি ?
:- তুমি অনেক আগে তোমার নাম্বার থেকে আমাদের কিছু মেসেজ দিতে । তোমাকে ফোন করলে নাম্বার ড্রাইভার্ট পাওয়া যেত । মেসেজ দিতে সেটা বড় কথা না । কথা হচ্ছে তুমি এমন কিছু বিষয় জানতে যা কোন ভাবেই তোমার জানার কথা না । অনেক চেষ্টা করেছি তোমার পরিচয় বের করার । কিন্তু তখন পারি নি । এখন বল না প্লিজ তুমি আমাদের মেসেজ গুলো কিভাবে পেতে ?
:- ওহ । ঐটা তাহলে তুমিই । যে ভয়টা সবসময় পেতাম তাই হল আমার সাথে ।
:- মানে কি ?
:- মানে কিছু না ।
:- প্লিজ বলো না...
:- তুমি আর তোমার বয়ফ্রেন্ডের মেসেজগু...
:- এক্সকিউজ মি !
:- কি ?
:- বয়ফ্রেন্ড ! বয়ফ্রেন্ড কই পেলে তুমি ?
:- কেন ? কনভার্সেশনটা তোমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ছিল না ?
:- হি হি হি । জ্বি না স্যার । ঐটা আমার বান্ধবী শিমলা ছিল । আসলেই আমরা এমনভাবে মেসেজিং করতাম কেউ যদি না জানত তবে ভাবত আমি আমার বয়ফ্রেন্ডেকে মেসেজ দিচ্ছি !!
:- ওরেব্বাস !!
:- মানে কি ?
:- কিছু না ।
:- কিছু না হলে নাই । এখন বল না মেসেজ কিভাবে পেতে তুমি ?
:- আমি আমার ফোনটা যখন কিনি তখন ফোনে তোমাদের মেসেজগুলো ছিল ।
:- হোয়াট ?
:- হ্যাঁ ।
:- কিভাবে সম্ভব ?
:- কিভাবে সম্ভব জানি না । কিন্তু এটাই সত্য ।
:- ও ।
:- যা জানতে চেয়েছ তা তো জেনেছ । আর কথা হবে না । আমি রাখছি । বাই...
:- তুমি পারবে আমার সাথে কথা না বলে থাকতে ?
:- সেটা সময়ই বলে দেবে ।

লাইন কাটার পর জিয়া পুরোই অনুভূতি শূন্য হয়ে যায় । সে আগেই থেকেই জানত ট্রিট ফর ট্রেট । ইতরামিটা তারে অনেক ভোগাবে । কিন্তু সেটা যে এভাবে ভোগাবে এটা জানত না ।
কি আর করা ? কপালের লিখন বলে কথা !!

জিয়া বলেছিল ঐশীকে আর কখনো ফোন দিবে না । কিন্তু সে তার কথা রাখতে পারেনি । সাত দিনের মাথায় সে ঐশীকে ফোন দেয় । আর ফোন রিসিভ করেই ঐশীর প্রথম কথাটা ছিল- আমি জানতাম, তুমি ফোন দিবে । আমি তোমার ফোনেরই অপেক্ষায় ছিলাম !

তাদের কথা চলত । আগের মত রেগুলার না, ছাড়াছাড়া ভাবে । কথায় আগের মত প্রাণোচ্ছলতাটা থাকত না । বেশীর ভাগ সময়ই দুজন কোন কথা না বলে কানে ফোনটা ধরে বসে থাকত । তবু তাদের কথা চলত ।

ঠিক তেমন এক বিষণ্ন বিকেলের কথা । কানে দুজন ফোন লাগিয়ে বসে আছে । দুজনই চুপচাপ । হঠাত্‍ করেই জিয়া ঐশীকে প্রপোজ করে বসল....

:- আই লাভ ইউ ।
:- কি বললে ?
:- আই লাভ ইউ ঐশী...
:- আমি তোমার বড় এটা জেনেও তুমি একথা বলছ ?
:- হুম সব জেনে শুনেই বলছি ।
:- জিয়া, তুমি একটা বাচ্চা । তাই এমন অবুজের মত কথা বলছ ।
:- মানলাম আমি বাচ্চা । কিন্তু তুমি তো বড় । তুমিই বল ভালবাসো না আমাকে ?
:- জিয়া, আমি ফোনটা রাখছি ।
:- পালাচ্ছ কেন ? উত্তর দিয়ে যাও ।
:- আমি ফোনটা রাখি ।

ঐশী উত্তর দেয় না । কিছু না বলার মধ্য দিয়েই সে সব বলে দিয়ে যায় ।
সব তো জানাই ছিল, শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা ছিল বাকি । সেটাও হয়ে গেল মাস দেড়েক পরের আরেক বিকেলে....

আই লাভ ইউ-র পর্ব শেষ । এবার দেখা করার পালা । ঐশীরা থাকত ঢাকায়, জিয়া চট্টগ্রাম ।
মেডিকেলে পরীক্ষা খারাপ হয় ঐশীর । যেদিন রেজাল্ট আউট হয় সেদিন তার কি কান্না !!
এরপর চট্টগ্রাম ভেটেরেনারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে চট্টগ্রাম আসে ঐশী । এখানে তার ছোট চাচার বাসা ।
তারপর.....?
পশ্চিম খুলশী আবাসিক এলাকার অনেক ভেতরে এক চিপা গলিতে দুজনের প্রথম দেখা হয় ।
পুরো বিকেল একসাথে কাটানোর পর সেদিন সন্ধ্যায় বিদায় বেলায় ঐশী জিয়াকে বলেছিল- তোমার গাল দুটো বাচ্চাদের মত এত কিউট কেন ? খালি আদর দিত ইচ্ছে হয় !!!!

সেবার আর বেশী দেখা হয়নি । পরীক্ষার পরদিনই সে ঢাকা ব্যাক করে । বেশ কিছুদিন যায় ।
এরপর আবার চাচার বাসায় চট্টগ্রাম বেড়াতে আসে । তখন রোজ দেখা হত তাদের । কত মজার স্মৃতি যে এই অল্প কয়দিনে জমা হয়েছে সেটা লিখতে গেলে তো তা উপন্যাসকেও হার মানাবে !
কথায় বলে না, সুখ বেশীদিন স্থায়ী হয় না ! দুঃখের পরে সুখ আসে, সুখের পরেই দুঃখ !
সুখের পর্ব শেষ । এবার দুঃখের পর্ব শুরু ।

জিয়া ঐশীকে খুব বিশ্বাস করত । তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল ঐশী তাকে ছেড়ে কখনো যাবে না । জিয়া সব ব্যাপারই ঐশীর সাথে শেয়ার করত । কখনোই কিছু গোপন করত না । তার কথা হচ্ছে- যাকে ভালবাসি তার কাছে গোপন কি ?

কোন কিছু গোপন রাখতে চায়নি বলেই এমন কিছু ব্যাপার শেয়ার করে ফেলে যা ঐশীর ভাল লাগে নি ।
প্রাচীন একটা মিথ আছে- প্রেমিকার কাছে কখনো নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করো না । বোকা জিয়া এই রুলটা মানে নি ।

জিয়ার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড, ফিনানসিয়াল কন্ডিশনের ব্যাপারগুলো যখন ঐশীর সামনে আসে তখন সে ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে । আগের মত হাসিখুশী ভাবে কথা বলে না, জিয়ার সাথে দূর্ব্যবহার করে, ঠিকমত ফোন রিসিভ করে না ।

জিয়া ভাবে সবকিছু বলে ভূল করলাম না তো ?
বন্ধুরা ওকে প্রবোধ দেয়- দেখ, ও যদি তোকে এডিয়ে চলতে চায়, তবে তুই কেন ও পিছে ঘুরঘুর করবি ? ভুলে যা ওকে !

কিছুদিন পর ঐশীর ফোনটা প্রায়ই ওয়েটিং পাওয়া যেতে থাকে । ওকে জিজ্ঞাসা করেও এর কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না । বেশি ঘ্যান ঘ্যান করলে ঐশী গালাগালি করে লাইন কেটে দেয় । এভাবেই চলে আরো বেশ কিছুদিন ।

কিছুদিন পর ঐশী জিয়াকে বলে সে আর এই রিলেশান কন্টিনিউ করতে পারবে না । জিয়া যেন তাকে ভুলে যায় । জিয়া প্রচন্ড ভালবাসত ঐশীকে । ঐশী ছাড়া নিজেকে কখনো কল্পনাও করত না । ঐশী তার জীবনে আর থাকবে না এটা সে দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারে না । হাজার চেষ্টা করে ঐশীকে ফেরাতে । কিন্তু ঐশী তার সিদ্ধান্তে অনড় ।

ঐশীর এভাবে বদলে যাওয়া জিয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারে না । কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে জানতে পারে, ঐশী আর তাকে ভালবাসে না । কারণ ঐশী এখন অন্য একটা ছেলের সাথে প্রেম করে ! ছেলেটা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে ছেলেটা সব দিক থেকেই জিয়া থেকে উন্নত এবং ঐশীর জন্য পারফেক্ট । সব জানতে পেরে জিয়া ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেয় । ভালবাসা যেখানে বাজারি দরে বেচাকেনা হয়, দরিদ্র প্রেমিকের সেখানে কি ই বা করার থাকে ?

জিয়ার বন্ধুরা জিয়াকে সান্ত্বনা দেয়- স্রষ্টা যা করে তা ভালোর জন্যই করে । মেয়েটা তোর যোগ্য ছিল না । দেখিস, ওর চেয়ে অনেক ভাল একটা মেয়ে তোর পথচেয়ে অপেক্ষা করে আছে । তুই ওকে ভুলে যা । আবার সব নতুন করে শুরু কর ।

কিন্তু সান্ত্বনার বাণী কবে কার মনের জ্বালা জুড়িয়েছিল ? ভুলে যা বললেই কি কাউকে এত সহজে ভুলে যাওয়া সম্ভব ? সবকিছু নতুন করে শুরু করা কি এতই সহজ ?

তিন বছর পেরিয়ে গেছে ।
না.... জিয়া পারেনি ঐশীকে ভুলে যেতে । পারেনি সব ভুলে গিয়ে আবার নতুন করে শুরু করতে ।
সে এখনো ঐশীকে আগের মতই ভালোবাসে ।
না, একটু ভুল বলা হল । আগের চেয়ে অনেক বেশী ভালবাসে । যতই দিন যাচ্ছে, ঐশীর প্রতি তার ভালবাসাও চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে ।

এখনো মাঝরাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে প্রথমে ঐশীর নাম্বারেই ডায়াল করে সে । কিন্তু দূর্ভাগ্য গত সাড়ে তিন বছরে একটি বারও সে ঐশীর ফোনটা খোলা পায় নি । যখন যেভাবে সুযোগ পেয়েছে, ঐশীর খবর নেয়ার চেষ্টা করেছে । কিন্তু কখনো খোঁজ পায়নি তার । ঐশী নামের মানুষটি তার জীবন থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে ।

গল্পটা এখানে শেষ । তবে কাহিনী নয় ।
সবাই হয়ত ঐশীকে দোষ দেবেন, সে একটা স্বার্থপর । শুধু নিজের স্বার্থটাই দেখেছে, জিয়ার কথা একটুও ভাবে নি... ইত্যাদি ইত্যাদি ।
তবে ঐশী কেন এমনটা করল সেটাও তো জানা দরকার ।

জিয়া তার পরিবারের বড় ছেলে । পরিবারের প্রতি তার অনেক দায়িত্ব ছিল । কিন্তু ঐশীর সাথে তার পরিচয় হওয়ার পর সে পুরোটাই ঐশীকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে । তার লেখাপড়া লাটে উঠে । তার যে একটা পরিবার আছে, মা-বাবা আছে, ছোট একটা ভাই আছে, তাদের প্রতিও যে তার কিছুটা দায়-দায়িত্ব আছে সে এটা ভুলে যায় ।

কিন্তু ঐশী এমনটা চায় নি । ঐশী চায় নি, তার জন্য জিয়া সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে দিক । তাছাড়া সেও তার পরিবারের বড় মেয়ে । সে এমন কিছু করতে পারে না যাতে তার পরিবার কষ্ট পায়, তারও একটি ছোট বোন আছে । সে এমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যার কারণে তার ছোট বোনকেও ভুগতে হয় ।

তাদের অনেক কিছুতে অমিল ছিল, পার্থক্য ছিল । সবকিছু সামলেও উঠা যেত । কিন্তু বয়সের ব্যবধানটা তো আর অতিক্রম করা সম্ভব নয় ।

ঐশী জিয়াকে যতবারই এসব বোঝানোর চেষ্টা করেছে, জিয়া বরাবরই অবুঝ থেকেছে । কল্পনার জগতেই থেকেছে সে, কখনো বাস্তবতাটা বুঝতে চায় নি ।

ঐশী যখন জিয়া সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারে তখনই সে সিদ্ধান্ত নেয় জিয়ার জীবন থেকে সরে আসার । সে তাদের এই সম্পর্কের কোন ভবিষ্যত দেখতে পায় নি ।
এজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে সরে যাওয়াটাকেই সে যুক্তিযুক্ত মনে করে ।

জিয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে । কিন্তু জিয়া অদ্ভুত, তার অবহেলাটা বুঝে না । কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান করে ।
জিয়াকে কষ্ট দিতে খুব কষ্ট হত তার । কিন্তু তারও যে আর কিছু করার ছিল না ।

জিয়াকে পিছু ছাড়ানোর অন্য কোন উপায় না দেখে ঐশী শেষে তার কাজিন অর্ণবের সাথে প্রেমের অভিনয় শুরু করে । অর্ণব আগে থেকেই জিয়ার কথা জানত । ঐশী সবকিছু তাকে বুঝিয়ে বলার পর অর্ণব সানন্দে রাজি হয় ।

জিয়া একসময় বুঝতে পারে ঐশীর জীবনে তার আর কোন দরকার নেই । তাই সে নিজেই সরে পড়ে । ঐশীও তার কন্ট্রাক নাম্বার থেকে শুরু করে জিয়ার কাছে তার সাথে যোগাযোগের যত উপায় ছিল সব মিটিয়ে ফেলে । এভাবেই বিছিন্ন হয়ে পড়ে দুজন ।

হ্যাঁ, এই প্রশ্নটা আসতেই পারে- যদি এভাবেই সরে যাবে তাহলে প্রেমে পড়ার আগে এইসব নিয়ে কেন ভাবেনি সে ?
এর উত্তর হচ্ছে- ভালবাসা জিনিসটাই এমন । যখন প্রেমে পড়ে তখন অন্য কিছু মাথায় থাকে না । কিন্তু যখন মাথায় আসে তখন অনেক দেরি হয়ে যায় ।

জিয়া জানে ঐশী তার সাথে প্রতারণা করেছে ।
জানুক, সমস্যা কি ?
সে তো আর এটা জানে না যে, ঐশী নামের চন্ঞ্চলা সেই মেয়েটি এখনো তাকে ভালবাসে । এখনো মাঝ রাতে নীরবে তার জন্য অশ্রু বিসর্জন করে । এখনো তার বুকের গভীর ছোট্ট একটি অংশ সজীব আছে, যেখানে শুধুই জিয়ার নাম উচ্চারিত হয় ।

জিয়া জানে না । জিয়ারা কখনো জানে না এসব । জিয়ারা শুধু মেয়েদের বাইরের রূপটাই দেখে । তাদের ভেতরে যে কি চলে সেটা জিয়ারা কখনোই জানতে পারে না......

(THE END)

অফটপিকঃ বানিয়ে বানিয়ে গল্প তো অনেক লিখলাম । এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি গল্প আর বানাবো না । চারপাশেই এত গল্প পড়ে আছে, তবে বানিয়ে গল্প লেখার কি দরকার ?

একটা সিরিজ লিখবো বলে ঠিক করেছি । 'জাস্ট এ লাভ স্টোরি' নামের এই সিরিজটিতে আমার দেখা কিছু প্রেম কাহিনী উঠে আসবে । যেখানে লেশমাত্র কল্পনা থাকবে না ।

সিরিজের এটাই প্রথম গল্প । দ্বিতীয়টাও আসছে খুব জলদি.....
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×