
খাঁচা মানুষের জন্য অপরিহার্য। আমার এ কথায় অনেকেই দ্বিমত পোষণ করতে পারেন, এ নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমরা যেহেতু এক খাঁচার বাসিন্দা নই, তাই মতের মিল না হওয়াটাই স্বাভাবিক। যাই হোক লেখার পরবর্তী অংশগুলোতে একমত করার চেষ্টা থাকবে।
প্রথমেই বলতে হবে খাঁচা বলতে আমি কি বোঝাতে চাইছি। খাঁচা সম্বন্ধে বেশির ভাগ মানুষই বিরূপ ধারনা পোষণ করে থাকেন। আমার মতে খাঁচা হচ্ছে সেইটুকু সীমাবদ্ধতা, যার মধ্যে আমরা আমাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো মিটিয়ে নিতে পারি বা পারব বলে আশা করি। আমরা সবাই কি তবে খাঁচার বাসিন্দা নই? আমাদের স্বাধীনতা আংশিক, কোথাও কোথাও পরাধীনতার অভাবকে আমরা স্বাধীনতা বলে চালিয়ে নিচ্ছি।
আমরা অনেকেই হয়ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই পাখি পড়েছি। এই কবিতার বনের পাখির স্বাধীনতার পরিধি ততটুকুই যতটুকু গেলে সে সময়মত নীড়ে ফিরে আসতে পারবে। সে নিজেই এক বিরাট খাঁচায় বন্দী।
একমাত্র সেই খাঁচায় বন্দী না, যে স্বাধীন। স্বাধীন মানুষই শুধুমাত্র সব জায়গায় স্বচ্ছন্দে বিচরন করতে পারে। স্বাধীনতা, স্বাধীন মানুষ বললেই আমাদের মনে পড়ে চে গুয়েভারার কথা। আজন্ম বিপ্লবী এক মহামানব। একবার কি চিন্তা করে দেখেছেন, উনাকে যদি কোন ব্যাংকে একজন কেরানীর দায়িত্ব দেয়া হত, উনি কি পারতেন? হয়ত পারতেন না। সবাই পারেনা। তাহলে, উনি ছিলেন বিপ্লবের খাঁচায় বন্দী। সেই তো খাঁচা!
মানুষ, জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন খাঁচায় নিজেকে বন্দী করে রাখে। শৈশবে মা-বাবার ভালবাসার খাঁচা হল সবচেয়ে শান্তির। দিন যতই গড়ায় স্বাধীনতার নেশা তাকে বন্দী করে আরও বড় খাঁচায়। প্রতিনিয়ত সে বন্দী হয় নিত্য নতুন খাঁচায়। নিজের অজান্তেই গড়ে তোলে তার পরম ভালবাসার খাঁচা। স্বাধীনতা যেখানে মূল্যহীণ।
তাইতো মৃত্যুকে এত ভয়। মৃত্যুই যে পরম স্বাধীনতা.....................
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




