মধুপুর গড়ের গারো পাড়ার বুড়ো শ্যামল গোমেজ । কলেজে পড়ার সময় এই আধপাগল লোকটার কাছে শিখেছিলাম অদ্ভুত একটা বিদ্যা । ছিপ বড়শি দিয়ে শোল মাছ ধরা । গড়ের বনের ভিতর দিয়ে চলে গেছে সরু সরু ঝিরি । ঝিরির পারের কাছে অল্প জলে শোল মাছ এসে লুকিয়ে থাকে পাথরের ফাঁকে ।
বোর্ডিং কলেজের দুপুরের মিল এর মাংসের টুকরো বা ভাজা মাছের অংশবিশেষ নিয়ে বিকেলে বানিয়ে নিতাম টোপ । বড়শির সুচালো অগ্রভাগ সাবধানে ঢেকে নেয়া হতো । ছিপের দৈর্ঘ্য হবে ছোট , বড়শিকে ঝোলাতে থাকা সুতা হবে ছিপ থেকেও খাটো । বনের গভীরে যেতে যেতে শ্যামল বুড়ো খসখসে গলায় বর্ননা করতে থাকতো শোল ধরার বিশেষ নিয়মাবলী...
জলের ওপর থেকেই দেখা যাবে দিবানিদ্রারত শোলের লেজ । টোপটাকে সাবধানে শোলের কাছে নিয়ে পানিতে মৃদু আলোড়ন তুললে শোলের মাথা বের হবে , সাবধান না হলে তৎহ্মনাৎ ব্যাটা পালাবে । এবার টোপটাকে শোলের মাথার কাছাকাছি নিয়ে গেলে টোপের গন্ধে মাছটা উত্তেজিত হবে । তারপর টোপটা আরও কাছে নিলেই শোল গিলতে পারে , না গিললে দ্রুত ওটাকে পানি থেকে তুলে আনতে হবে ।
তারপর অপেহ্মা, অপেহ্মা এবং অপেহ্মা , যতহ্মন না পানি আবার স্থির হয় আর শোলটাও ভুলে যায় যে একটু আগে তাকে কবজা করার চেষ্টা হয়েছে ...এবার আবার টোপ একটু পানিতে ডোবানো... তারপর শোলের আরও কাছে নেয়া । কপাল ভালো হলে এবার গিলে ফেলবে কপাৎ করে....
কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন .. সাইদীর মৃত্যুদন্ড , কামরুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড .. তারপর ওয়েটিং,ওয়েটিং,ওয়েটিং,... আবার গোলাম আযমের যাবজ্জীবন ... মুজাহিদীর মৃত্যুদন্ড ... কেউ একজন শোল মাছ ধরার চেষ্টা করছে... প্রশ্ন হচ্ছে শোলটা কে? জামাত ইসলাম নাকি মাথা গরম যুব সমাজ ??