সৃষ্টিকর্তা আছে কি নেই সে প্রসঙ্গে পরে আসি। পৃথিবীতে মানব সভ্যতার শুরু থেকেই ধর্মচর্চা চলে আসছে।
পাঁচটি প্রধান ধর্মের গুরুরা অর্থাৎ ব্রাক্ষ্মণ, রাবাই, পাদ্রী, বুদ্ধিস্ট ও মোল্লারা যেভাবে মানুষের মধ্যে ধর্মকে রিপ্রেজেন্ট করেছে
তাতে এর কদর্য রূপটি বেশ ভালভাবেই প্রকাশমান। এটি আজ বিশ্ব শান্তির জন্য চরম হুমকি। অথচ এইধর্মগুলির ঊষালগ্নে
এরাই এই গ্রহটিকে করেছিল শান্তিময়। অন্তত ইতিহাস তাই বলে।
তাহলে আজ এ অচলাবস্থা কেন? এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে যুগে যুগে ম্যাসেন্জারগণ অর্থাৎ শ্রী কৃষ্ঞ, গৌতম বুদ্ধ, মোযেস, জেসাস ক্রাইস্ট ও মোহাম্মদ (প্রভূ এঁদের শান্তিতে রাখুন) যখন যে সময়ে ছিলেন তখন প্রকৃত ধর্ম ছিল। এঁদের তিরোধানের পর পরই শুরু হয় ধর্মব্যবসা। খারাপ মানুষ এটাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে। যে ধর্ম মানুষের মুক্তির হাতিয়ার সেই ধর্মই হয়ে যাচ্ছে মানুষের শোষণের হাতিয়ার।
তাহলে কি ঠান্ডা মাথায় আমরা স্রষ্টার মেসেজকে অস্বীকার করছি ! ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, কোনো যুগেই দু'জন পরস্পর বিরোধী ম্যাসেন্জার আসেননি। বরং যে যুগে যে মানব উদ্ধত হয়েছে তার পতনের জন্যই প্রভূর দূতের আগমন। যত বিপত্তি ঘটেছে প্রভূর দূত পাঠানো বন্ধের ঘোষনার কারণে। আর আশ্চর্যের বিষয়, প্রভূর শেষ ম্যাসেন্জার মোহাম্মদ জানালেন, পৃথীবিতে প্রভূ আর কোন ম্যাসেন্জার পাঠাবেন না, তিনিই শেষ। লক্ষণীয়, এরপর আর কেউ আসেননি। অনেক বছর কেটে গেছে, মানবজাতি এখন চরম সংকটের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। তাই প্রভূর কাছে প্রার্থনা, আপনি এমন কিছু করুন যেন এই ছোট্ট গ্রহটিতে শান্তি ফিরে আসে।
১৬/০৭/২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৭