সে অনেক আগে একটি রুশ সাযেন্স ফিকশন গল্প গ্রন্থ পড়েছিলাম , যার নাম গ্রহান্তরের আগন্তুক। সেখানে একটা গল্পের নাম ছিল প্রফসার বার্নের নিদ্রা ভঙ্গ । তারই খানিকটা অনুকরনে লিখা
প্রফসারের নিদ্র্রা:
সবাই জানলো প্রফেসার মারা গেছেন। অনেকেই তার মৃতু্য কামনা করেছিল । কিন্তু তিনি এভাবে মারা যাবেন তা কেউ আশা করেননি। পেপারে এলো সুদুর দিনাজপুরে এক দূর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন । সেখানে তিনি এক বৈজ্ঞানিক গবেষনা চালাচ্ছিলেন। যন্ত্রপাতিগুলো এমন ভাবে বিকৃত হয়ে গেছে যে , তার লাশটাকে উদ্ধার করা যায় নি । তার মৃতুতে দেশ ও জাতি শোকাচ্ছন্ন। আসল ঘটনা জানলো শুধু নিমাই, তার সবচেয়ে ঘনিষ্ট সহকারী। নিমাই শুধু তাকে বলেছিল যদি যন্ত্রটা কাজ ঠিকমতো না করে । প্রফেসার বুঝতে পারলেন , নিমাই তার জীবন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। দেখ নিমাই আমার বয়স 54 বছর এ দেশে মানুষ বাঁচে 50 বছর । আমার বয়স এখন 54 বছর , যদি আমার যন্ত্র কাজ না করে তাহলেও ভয় কি যত বছর বাঁচার দরকার আমি তার চেয়ে 4 বছর বেশী বেঁচেছি। নিমাই তার গোয়াতুর্মির কাছে হার মেনেছে । এখন প্রফেসারের যন্ত্রর ভিতর ঢুকে যাওয়া, তারপরই হাইবারনেশনে চলে যাওয়া । তারপর নিমাই এর একটা সুইচ চাপা , যন্ত্রটা চলে যাবে একেবারে গভীর মাটিতে। আবার 21 হাজার বছর পর তিনি ফিরে আসবেন পৃথিবীতে । তার পরিবারের কেউ জানবে না কি ঘটেছে। আশা করি তারা ভাল থাকবে। । হাইবারনেশনে যাওয়ার আগে তিনি শেষবারের মত পৃথিবীর দিকে চাইলেন । তিনি এই দেশকে ভালোবাসতেন। তিনি সত্য কথা বলতে ভালোবাসতেন। তাই তাকে এখন অনেকেই শত্রু ভাবছেন । তিনি তার দেশের মঙ্গল চেয়েছিলেন দেখে তারই ছাত্ররা তাকে আহত করতে উদ্ধত। তিনি কখনই হেরে যাওয়ার মানুষ নন। এটা তার পালায়ন নয় । বরঞ্চ তিনি দেশের জন্য যে সমস্ত মূল্যবান আবিস্কার করেছেন সেগুলো সহই 21 হাজার বছরের জন্য শীতনিদ্রায় যেতে চান। তিনি হিসেব করেছেন তখন এই জাতির মধ্যে একটা পরিবর্তন হবে। তখন তিনি তাদের সেই প্রযুক্তি দিয়ে যাবেন। হাইবার বঙ্(যন্ত্রটা) এর ভেতর ঘুমিয়ে পড়লেন প্রফেসার ।
বিপ ---বিপ । ঘুম ভেঙ্গে গেল প্রফেসারের । ধাতস্থ হতে খানিকটা সময় লাগলো । মনে হল তার, যেন কালই তিনি ঘুমিয়েছেন। মনে পরে গেল পরিবারর কথা , নিমাইযের কথা । যদি সব ঠিকমতো কাজ করে । হাইবার বঙ্ েএকটা ছোট্ট পেরিসকোপ আছে । না পেরিস্কোপটা ঠিকমতোই মাটির উপড়ে উঠে গেছে । পেরিস্কোপটা ঘুরেেছ , দেখা যায আশে পাশে সব কেমন সব গাছপালা , এমন সময় তার পেরিসকোপের চোেেখ ধরা পড়লে আরেক চোখ তার পেরিস্কোপে চেয়ে তাকে দেখছে। দুজনেরই চোখ এক হল । একটা আওয়াজ তার কানে এসে লাগলো---উুপ-- উুপ । তিনি কি তাহলে উল্টোদিকে চলে গেছেন ? তার মনে এক গভীর বিষাদ চলে এলো । উপরে বানর সদৃশ্য মানুষগুলো ততনে পেরিস্কোপ এর দফরাফা করেছে। তার জন্য তিনি একটুও ব্যাথিত হলেন না । তিনি ব্যাথিত হলেন মানুেেষর জন্য । তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়লেন তিনি
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



