মৌলবাদ শব্দটির প্রতি আমার তীব্র আপত্তি আছে। কিন্তু শব্দটি এমন ভাবে বাংলা ভাষায় ঢুকে গেছে তার কোন বিকল্প শব্দ পাচ্ছি না তাই এ শব্দটা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। এটি সেকুলার খ্রীষ্টান ( এই টার্মটি আমার দেওয়া ) রাজনীতিবিদরা মূলত মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন। যাবতীয় মৌলবাদ গোড়া এক , তা হলে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা । কিন্তু সকল ধার্মিক মুসলমান মৌলবাদী নয় । কিন্তু মানসিক ভাবে একটা অনুভুতি তৈরী হয় যার ফলে মুসলিমদের কোন ভিন্ন ভাবনায় যাওয়া তাদের জটিল । এখন মুসলমানদের লড়তে হচ্ছে নিজের চিন্তার বিকাশের জন্য । ইসলাম ধর্মে আছে, পরিবর্তিতি পরিস্থতিকে বোঝার চেস্টা করা। সে ক্ষেত্রে সবার আগে তার নতুন বিষয়গুলোকে জেনে নেওয়া দরকার। কিন্তু প্রতিনিয়ত নতুনকে নেওয়ার বদলে একদল প্রতিনিয়ত অতীতকে নিযে আসে। কারন অতীতে মুসলিমরা ছিল রাজার দল। এই অফিমে বুদ হয়ে প্রতিনিয়ত এক ধরনের দ্বৈত তা তৈরী হয়। এই দ্বৈত তা থেকে ক্রোধ । আর এই ক্রোধকেই মৌলবাদীরা কাজে লাগায় । একসময় বিশ্ব বহু বিভক্ত ছিল । পুঁজিবাদের জন্মের পরই বিশ্ব এখন দুটি ভাগে বিভক্ত। পুঁজিবাদ বনাম অবশিস্ট দল। এই লড়াইয়ে পুঁজিবাদ সবসময়ই একটা শত্রু খুজে নেয় । এই শত্রুটির ওজন বুঝেই সে তাকে আঘাত করে। যদি দেখে সে মার্ক্সবাদ এগিয়ে যাচ্ছে , তাহলে সে ধর্মের মধ্যে দিয়েই মার্ক্সবাদকে আঘাত করবে । যদি দেখে ধর্ম এগিয়ে যা্েচ্ছ , তাহলে ধর্ম নিরপেতার নামে সে ধর্মকে আঘাত করবে। পুজিবাদের সবচেয়ে বড় ধর্ম এটা একেবারে তরল। যদি পুঁজিবাদ দেখে যে ধর্মকে ব্যবহার করে অনেক টাকা বানানো যায় , তাহলে সে সেই ধর্মকেই তুলে নিয়ে আসবে সামনে ।পুরোন মাক্সবাদ আপাতত বিদায় নিয়েছে পুজিবাদের সঙ্গে দ্বন্দে। কিন্তু সে আবার ফিরে আসছে অন্য রুপে । এখন পুঁজিবাদের দরকার একজন আদর্শ শত্রু। সেই আদর্শ শত্রু এখন ইসলাম। অনেকের মতে ধর্ম নিরপেক্ষতা, গনতন্ত্র এবং পুঁিজবাদ বুঝি খুব সমর্থক শব্দ। মোটেও তা নয় । বরঞ্চ আমাদের দেশের রাজা বাদশার যুগ ছিল যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশী ধর্ম নিরপেক্ষ। ব্যতিক্রম যে দু একজন ছিল না তা নয় . কিন্তু আমাদের দেশে লড়াই এখন পুঁজিবাদ বনাম ধর্ম নিরপেক্ষতার । ল্য করেছেন কি যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তারা কি কেউ গরিব?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



