
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।
* যাতে ধরে না রাখলে সব কিছু বিলিন হয়, যাতে আল্লাহ ছাড়া আর কিছু বাকী থাকে না, তাতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু এমনে এমনে ক্যামনে হয়? যারা বিলিন হয় তাদের বিলিন হওয়ার কারণ তারা সসীম। যিনি বাকী থাকেন তাঁর বাকী থাকার কারণ তিনি অসীম। অসীমের ফুরিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বিধায় অসীম ফুরিয়ে যায় না।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?
সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?
* হানাফীদের আল্লাহ এবং সালাফীদের আল্লাহ একরকম নয়। কারণ হানাফীদের আল্লাহ নিরাকার, কিন্তু সালাফীদের আল্লাহর আকার আছে। হানাফীদের আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান হলেও সালাফীদের আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নয়। আর হিন্দু, খ্রিস্টান ও ইহুদীরা যাকে আল্লাহর স্থানে বসায় তার আবার স্ত্রী-সন্তান আছে।কিন্তু হানাফীদের আল্লাহর স্ত্রী সন্তান নেই।সেই আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে? এ প্রশ্ন তুলে কিছু সংখ্যক লোক আল্লাহর সবকিছু সৃষ্টিকরার দাবী অস্বীকার করছে। তাদের কথা হলো কেউ সৃষ্টি করা ছাড়া আল্লাহ হতে পারলে অন্য সব কিছু সৃষ্টি হতে আল্লাহকে লাগবে কেন? একই প্রশ্ন তাদেরকেও করা যায়, সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহর এমনি এমনি হতে সমস্যা কোথায়? তো আল্লাহ এমনি এমনি হয়ে সব কিছু বিলুপ্ত করে নতুনভাবে সব কিছু সৃষ্টি করতেই পারেন। তাহলে আল্লাহ নেই এ কথা এরা কিভাবে বলে? সুতরাং এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতিতে আল্লাহকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।
* সব কিছু বিলিন করার যোগ্যতা থাকায়, আল্লাহ সব কিছু বিলিন করে আবার সব কিছু নতুনভাবে সৃষ্টি করতেই পারেন।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
* তবে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তার কিছুই পূর্বে ছিল না। নতুন সব কিছু আল্লাহ নতুনভাবে সৃষ্টি করেছেন।সুতরাং এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতিতে আল্লাহকে অস্বীকার করা যায় না।
এমনি এমনি সসীম হবে না অসীম হবে? সসীমকে সীমা দিতে হয় অসীমকে সীমা দিতে হয় না। সসীম সীমা দাতার অপেক্ষায় অপেক্ষমান থাকে কিন্তু অসীম সীমাদাতার অপেক্ষায় অপেক্ষমান থাকে না। সুতরাং এমনি এমনি শুধু অসীম হবে। কোন সসীম এমনি এমনি হবে না। কোন বস্তু অসীম হতে পারে না। কিন্তু শক্তি অসীম হতে পারে। সুতরাং এমনি এমনি অসীম সর্বশক্তিমাণ হয়েছেন।
কোন কিছু হতে কর্মশক্তি লাগে। সুতরাং শক্তি আগে, ‘হওয়া’ পরে।সুতরাং শক্তি আগে হয়ে পরে অন্যসব হয়েছে। শক্তির সংযোগ ছাড়া কিছু হয় না। সুতরাং শক্তির সংযোগ ছাড়া কিছু হয়নি। শক্তির গতি বেশী, বস্তুর গতি কম। সুতরাং শক্তি আগে হয়েছে এবং বস্তুর আগেই শক্তি বিবর্তন ধারায় সংযুক্ত হয়ে ক্ষুদ্র শক্তি থেকে বির্তিত হয়ে বৃহৎ শক্তি হয়ে অসীম সর্বশক্তিমাণ হয়েছেন অন্য কোন কিছু হওয়ার আগেই। সসীম তখন সীমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ ছিল। এরপর অসীম সর্বশক্তিমাণ সীমা দিয়ে সসীম বস্তু ও শক্তিকে সৃষ্টি করেছেন।
অসীম সর্বশক্তিমাণ দেখলেন তিনি ছাড়া আর কিছু হয় না। না হওয়ার কারণ তাদের সীমা ছিল না। সর্বশক্তিমাণ তাদের সীমা দিলেন, তথাপি তিনি দেখলেন কিছুই হয় না। তারপর তিনি ‘হও’ বলার পর তিনি দেখলেন হয়। আমরা হও বলার পর সব কিছু কেন হয় না? কারণ হও বলার পর অনেক কিছু হতে অসীম সর্বশক্তিমাণ লাগে, আমরা তা’ নই। কিন্তু প্রোগ্রাম রচনায় প্রয়োজনীয় লিমিট দিযে ডান কমান্ড দিলে প্রোগ্রাম হয় এবং আমাদের দ্বারা এটা হচ্ছে। সুতরাং যার জন্য যা লাগে তা’ ছাড়া তা’ হয় না। আল্লাহ হতে কিচ্ছু লাগেনি, কিন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু হয় না, এতে কার কি করার আছে? ডাক্তার পেট সেলাই করতে পারে, মুচি জুতা সেলাই করতে পারে। ডাক্তার জুতা সেলাই করতে পারে না, মুচি পেট সেলাই করতে পারে না। যার যেমন যোগ্যতা। তবে ডাক্তার মুচি বিদ্যা রপ্ত করলে জুতা সেলাই করতে পারবে এবং মুচি ডাক্তারি বিদ্যা রপ্ত করলে পেট সেলাই করতে পারবে। সুতরাং কাজের ক্ষেত্রে যোগ্যতাই আসল বিষয়। আমরা আল্লাহ হতে পারব কি? সহজ উত্তর ‘না’। কারণ আল্লাহ হতে আগে আমাদেরকে অসীম হতে হবে। আর অসীম একাধীক হয় না। কারণ অসীমকে একাধীক করতে এর সীমা দিতে হবে, আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না, বরং সসীম হয়ে যায়। সেজন্য যত অসীম হবে জ্যামিতির সমপাতন সূত্রে এক অসীম অন্য অসীমে সমপতিত হবে এবং সকল অসীম একটা আরেকটায় সমপতিত হয়ে সাকুল্যে অসীম একটাই অবশিষ্ট থাকবে।
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।
* আল্লাহর অসীমত্তে সকল অসীম বিলিন হয়ে অসীম আল্লাহ অবশিষ্ট থাকেন। সুতরাং কেউ অসীম হলে সে আল্লাহর অসীমত্ত্বে বিলিন হয়ে যায়। সে আর আলাদা কিছু হতে পারে না। সুতরাং অসীম আল্লাহ একজনই হয়, একের বেশী অসীম আল্লাহ হয় না।সুতরাং এমনি এমনি ও বিবর্তন পদ্ধতিতেও আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু এমনি এমনি হওয়া সম্ভব নয়। আর বীগ ব্যাং এর আগে অন্য কিছু যে ছিল তা’ তো স্পষ্ট বুঝা যায়। নতুবা বীগ ব্যাং হলো কিসে?
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। যারা কুফুরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিল ওতপ্রতভাবে। অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তথাপি কি তারা ঈমান আনবে না?
* সুতরাং বীগ ব্যাং হয়ে থাকলে সেটা আল্লাহর কাজ। কারণ আমরা জানি ব্যাং হতে শক্তি লাগে। সুতরাং বীগ ব্যাং হতে মহাশক্তি তো লাগবেই। সুতরাং আপনি যে দিকেই যাবেন সেদিকেই আল্লাহর উপস্থিতি দেখতে পাবেন। সুতরাং কোন ক্ষেত্রেই আল্লাহকে নেই বা অনুপস্থিত ভাবা সম্ভব নয়। কিন্তু সীমা নেই তো সসীম নেই। কারণ সসীম সীমাবদ্ধ। সুতরাং সীমা ছাড়া সসীম থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু সীমা নেই তো অসীম নেই এমন কথা কি কেউ বলতে পারবে? এমন কেউ বলতে পারবে না। কারণ সীমা না থাকলেই অসীম থাকে। সীমা নেই সসীম নেই সীমা নেই অসীম আছে, এ সূত্রেই একদা অসীম আল্লাহ ছিলেন এবং তিনি ছাড়া অন্য কোন কিছু ছিল না।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।
* সীমা না থাকলেও অসীম থাকেন এ সূত্রে অসীম আল্লাহ আছেন চিরকাল। আর তাঁর সত্ত্বায় অসীম প্রাণশক্তি থাকায় তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ। তন্দ্রা অথবা নিদ্রা অসীম নয় বিধায় এরা তাঁকে কাবু করতে পারে না। কিন্তু সসীমে এরা সহজে ছড়াতে পারে বলে সসীম সহজে তন্দ্রা অথবা নিদ্রার কোলে ঢলে পড়ে।
কোন সসীম এমনি এমনি হলো কেমন করে? এর সীমা তবে দিল কে? আর অসীমকে কে সৃষ্টি করলো? কেউ তাঁর সীমা দেওয়ার দরকার ছিল কি? অসীমকে সসীম কি সৃষ্টি করতে পারে? তাই যদি কেউ পারে তবে সে নিজে কেন সসীম রয়ে গেল? আর অসীমকে যদি অসীম সৃষ্টি করে তাহলে সে অসীমে সমপতিত হবে এবং সৃষ্টি ও শ্রষ্টা মিলেমিশে একাকার হয়ে একজনই রয়ে যাবে। কারণ অসীম একাধীক হয় না এবং সকল অসীম মিলে একজন হয়। সুতরাং সব কিছু এমনি এমনি হতে না পারলেও আল্লাহ তেমনটা হতে পারবেন না ঘটনা এমন নয়। সুতরাং এমনি এমনি ও বিবর্তন পদ্ধতিতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু হওয়া সম্ভব নয়। বাস্তব বিষয় হলো ক্ষুদ্র শক্তি হয়ে বিবর্তন ধারায় বৃহৎ শক্তি হয়ে অসীম সর্বশক্তিমাণ হয়েছেন। অন্য কোন কিছু হওয়ার আগেই। সসীম তখন সীমার অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিল। অসীম আল্লাহ সকল সসীমকে সীমা দিয়ে হও বলার পর সকল সসীম হয়েছে। এটাই মহাজাগতিক একমাত্র সত্য। এর অন্যথা হওয়া সম্ভব নয়।
আল্লাহ অসীম হলে তিনি সর্বত্র বিরাজমান। তাহলে তিনি এক আকাশ থেকে অন্য আকাশে নামেন কেমন করে? আল্লাহর সৃষ্টি পানি জলীয় বাস্প রূপে পৃথিবীর সর্বত্র বিরাজমান। এটা বাস্তব সত্য। কিন্তু বরফ অবস্থায় পানি মেরে কারো মাথা ফাটিয়ে দেওয়া যায়। আর তরল পানি মেরে কারো কাপড় ভিজিয়ে দেওয়া যায়। সুতরাং একরূপে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান হলেও অন্য রূপে তিনি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেই পারেন।তার জন্য তাঁর আকার থাকাও জরূরী নয়।
সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ১৬ নং থেকে ৩৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৬।বর্ণনা কর এ কিতাবে উল্লেখিত মারইয়ামের কথা, যখন সে তার পরিবার হতে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
১৭। অতঃপর তাদের থেকে সে পর্দা করলো। অতঃপর তার নিকট আমরা আমাদের রূহকে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।
১৮। মারইয়াম বলল, আল্লাহকে ভয় কর যদি তুমি মুত্তাকী হও। আমি তোমা হতে দয়াময়ের আশ্রয় চাই।
১৯। সে বলল, আমি তো তোমার প্রতি পালক প্রেরিত, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য।
২০। মারইয়াম বলল, কেমন করে আমার পুত্র হবে, যখন আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি।আর আমি ব্যভিচারিণীও নই।
২১। সে বলল, এমনটাই হবে।তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং আমি তাকে এ জন্য সৃষ্টি করব যেন সে মানুষের জন্য এক নিদর্শন হয়। আর আমার নিকট হতে এক অনুগ্রহ হয়।এটা তো এক স্থিরকৃত ব্যাপার।
২২। অত:পর সে তাকে গর্ভে ধারণ করলো। অত:পর সে তাকেসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল।
২৩। প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর গাছের নীচে আশ্রয় নিতে বাধ্য করলো। সে বলল হায় এর পূর্বে আমি যদি মরে যেতাম ও লোকের স্মৃতি হতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হতাম!
২৪। ফিরিশতা তার নিকট পার্শ্ব হতে আহবান করে তাকে বলল, তুমি দু:খ করবে না, তোমার পাদদেশে তোমার প্রতিপালক এক নহর সৃষ্টি করেছেন।
২৫। তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কান্ড নাড়া দাও! তা’ তোমাকে সুপক্ক তাজা খেজুর দান করবে।
২৬। সুতরাং আহার কর, পান কর ও চক্ষু জুড়াও।মানুষের মধ্যে কাউকে যদি দেখ তখন বলবে, আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে মৌনতার মান্নত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কথা বলব না।
২৭। অত:পর সে সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হলো, তারা বলল হে মরিয়ম! তুমি তো এক অদ্ভুত কান্ড করে বসেছ!
২৮। হে হারূণের বোন! তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিল না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিণী।
২৯। অত:পর মরিয়ম সন্তানের প্রতি ইঙ্গিত করল, তারা বলল, কোলের শিশু, তার সহিত আমরা কেমন করে কথা বলব।
৩০। সে বলল, আমি তো আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আমাকে নবি করেছেন।
৩১। যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেনআমি যত দিন জীবিত থাকি তত দিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে।
৩২। আর আমাকে আমার মাতার প্রতি অনুগত করেছেন। তিনি আমাকে করেননি উদ্ধত ও হতভাগ্য।
৩৩। আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্ম লাভ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় উত্থিত হব।
৩৪। এই মরিয়ম পুত্র ঈসা। আমি সত্য কথা বললাম, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করে।
৩৫। সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নহে। তিনি পবিত্র মহিমাময়। তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন হও এবং তা’ হযে যায়।
* পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করার পর মরিয়ম (আ.) তাঁকে দেখেছেন। তার আগে তিনি তাকে দেখেননি। আল্লাহও কোন আকারে আত্মপ্রকাশ করার পর কেউ তাঁকে দেখবে। আকার ধারণ করলেও আল্লাহর অসীমত্ব হারাবে না। যেমন বরফ হওয়ার পরেও পানির পৃথিবীর সর্বত্র বিরাজমানতা নষ্ট হয় না। আর জলীয়বাস্প পানি টয়লেটে থাকলেও তাতে নাপাক লাগে না। তেমনি নিরাকার আল্লাহর সত্ত্বায়ও কোথাও থেকে কোন নাপাক লাগে না।
শক্তির মধ্যেও সসীম শক্তি এমনে এমনে হতে পারবে না। কারণ হওয়ার জন্য তা’ সীমার অপেক্ষায় থাকবে। অসীম শক্তি তাকে সীমা দিয়ে হও বললে তারপর তা’ হবে।
কলার মোছার এক খোলের ভিতর আরেক খোল থাকে। অসীম নিরাকার আল্লাহর সত্ত্বায় তাঁর সসীম নিরাকার সত্ত্বা থাকতেই পারে। তাঁর তেমন অবস্থা তাঁর কাজের প্রয়োজনে।আর প্রয়োজনে তিনি আকারও ধারণ করতে পারেন। সেটাও তাঁর কাজের প্রয়োজনে। সর্ব শক্তিমাণের পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব।তবে প্রকৃত তিনি হলেন অসীম নিরাকার সর্বত্র বিরাজমান আল্লাহ। কোন অযুহাতে যাঁকে অস্বীকার করা যায় না।
আল্লাহ তাঁর নিজের ইচ্ছায় চলেন। কারো ভরন-পোষণ, শান্তি-সুখ না থাকা আর তাঁর নাথাকা এক কথা নয়। কারো বাসায় বাজার না থাকা আর সে না থাকা এক কথা নয়।
আল্লাহ বঞ্চিত করেন সঞ্চিত করার জন্য। যে বুঝে সে লাভবান হয়। আর যে বুঝে না সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আল্লাহ বলেছেন, তিনি বঞ্চিতকে এক এত পুরস্কার দিবেন যে সে তখন আরো বেশী বঞ্চনা না পাওয়ার জন্য আফসুস করবে। সুতরাং আল্লাহ কোন লোককে ঠকান তাকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য। এটা সে বুঝতে পারলে সে তার বঞ্চনার জন্য আফসুস করবে না।
# অবশেষে সেফ করার জন্য মডুর প্রতি অনেক দোয়া কামনা করিছ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




