
আমার ‘আল্লাহর অকট্য প্রমাণ’ বইখানি ‘মুক্তদেশ প্রকাশন’ থেকে ২০১৮ সালের বই মেলায় প্রকাশ পায়। রকমারিতে বইখানি পাওয়া যায়।চার বছরে বই খানির বিরোধীতা নজরে পড়েনি। বইখানির নাম অকাট্য প্রমাণ রাখার কারণ বইয়ের প্রমাণ সমূহ ফেসবুকের কোটি কোটি পাঠকের পাঠের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। কেউ এর কোন প্রমাণ কর্তন না করায় এর নাম অকাট্য প্রমাণ রাখা হয়েছে।
ইদানিং আমি এ সংক্রান্ত পোষ্টের বিরোধীতার সম্মুখিন হচ্ছি।কেউ আমার উপস্থাপিত প্রমাণ কর্তন করছে না।কেউ কেউ বলছে, আমার উপস্থাপিত প্রমাণ বুঝছে না। কেউ কেউ বলছে আল্লাহ বিশ্বাসের ক্ষেত্রে যুক্তি প্রমাণের দরকার নেই। কেউ কেউ বলছে আল্লাহর অবিশ্বাসের এক হাজার প্রমাণ দিলেও তিনি আল্লাহকে বিশ্বাস করবেন। কিন্তু আমি তো আল্লাহ অবিশ্বাসের প্রমাণ দিচ্ছি না। আমি তো আল্লাহ বিশ্বাসের প্রমাণ দিচ্ছি। তাহলে তাতে তাঁদের কি সমস্যা?
একদল লোক বলছে ঈশ্বর বলতে কিছু নেই। আমি বলছি ঈশ্বর আছে। ঈশ্বর মানে হলো বড়। অসীম>সসীম।সুতরাং ঈশ্বর অসীম।সুতরাং যা ঈশ্বর বা বড় নয়, বরং ঈশ্বর থেকে যা ছোট তা’ সসীম। এ সসীমের সীমা দাতা থাকতে হয়। যেমন, একটা ইটের সীমা হলো, দশ ইঞ্চি, পাঁচ ইঞ্চি, তিন ইঞ্চি। যদি কেউ বলে একটা ইটের কোন দৈঘ্য, প্রস্থ্য ও উচ্চতা নেই তাহলে কেউ সেটাকে ইট মনে করেন কি? একটা মানুষের কোন উচ্চতা নেই অথবা উচ্চতার কোন সীমা নেই এমন কেউ বললে তাকে কেউ মানুষ বলবে?সুতরাং সীমা ছাড়া কোন সসীমের পরিচয় লাভ হয় না।সুতরাং সসীমের পূর্বে এর সীমা দাতা থাকতে হয়। সুতরাং কোন সসীম এমনি এমনি হতে পারে না। কিন্তু কোন অসীমের সীমা নেই, সেজন্য অসীমের পূর্বে এর সীমা দাতা থাকার কোন দরকার নেই। সুতরাং অসীম বা ঈশ্বর এমনি এমনি হতে পারেন। এজন্য হিন্দুরা ঈশ্বরকে স্বয়ম্ভু বলে। যেহেতু প্রকৃতির নিয়মে ঈশ্বর ছাড়া আর কিছু এমনি এমনি হতে পারে না, সেহেতু এমনি এমনি শুধুমাত্র ঈশ্বর হয়েছেন। আর এমনি এমনি ঈশ্বর হওয়ায় এবং এমনি এমনি ঈশ্বর ছাড়া আর কিছু না হওয়ায় ঈশ্বর তিনি ছাড়া আর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন বলে সাব্যস্ত হয়। সুতরাং ঈশ্বর নেই এমন কথা অবান্তর। ঈশ্বর যদি না থাকেন তাহলে সসীমের সীমা তবে কে দিল?
অসীমের সীমা তবে কে দিল, এমন কাউন্টার কোশশেন করা যায় না। কারণ অসীমের মোটে সীমাই নেই। সুতরাং তা’ দেওয়ার জন্য কারো থাকার কোন দরকার নেই। সুতরাং অসীম সৃষ্টিকর্তছাড়া এমনি এমনি আর কিছুই হয়নি।
মানুষ যে সব সসীমকে তৈরী করছে, মানুষ তাদের সীমা দেয়। এটা আমরা সচরাচর দেখি। তাহলে যেসব জিনিসের সীমা দিতে আমরা দেখিনি সেসব জিনিস সীমা দেওয়া ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছে এমন কথা আমরা কেমন করে বলি? যেমন সূর্য অসীম নয়। কাউকে আমরা এর সীমা দিতে দেখিনি। কেমন করে দেখব সূর্য সৃষ্টির সময় আমরা ছিলাম না। এখন সূর্য এমনি এমনি হয়েছে না কেউ সৃষ্টি করেছে এটা আমরা কেমন করে বলব? যেহেতু আমরা দেখি কেউ তৈরী করা ছাড়া কিছুই হয় না সেহেতু আমরা বিশ্বাস করব সূর্যকে কেউনা কেউ সৃষ্টি করেছে। কে সে? সসীমের মধ্যে মানুষ তৈরী করে। মানুষ সূর্য তৈরী করেনি। সুতরাং সূর্যের সৃষ্টিকর্তা মানুষ নয়। সুতরাং সূর্যের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। কারণ মানুষ ও ঈশ্বর ছাড়া বড় আকারের তৈরী কারক নেই। এখন মানুষ সূর্যের সৃষ্টিকর্তা না হওয়ায়, ঈশ্বরকে সূর্যের সৃষ্টিকর্তা না মেনে উপায় কি?
যাতে বীগ ব্যাং হলো তা’হলো এমনি এমনি ও বিবর্তনে? এমনি এমনি আগে কি হবে বস্তু না শক্তি? শক্তির গতি বস্তু থেকে অনেক বেশী। সুতরাং এমনি এমনি আগে শক্তি হয়ে বিবর্তনে তা’ বৃহৎশক্তি হয়ে, তা’ সর্বশক্তিমাণ হয়ে অসীম হবেন বস্তু হওয়ার আগেই।তখনও কোন সসীম হবে না সীমার অভাব জনিত কারণে। শক্তি সসীম ও অসীম হতে পারে। কিন্তু বস্তু শুধুই সসীম হতে পারে, এটা কিছুতেই অসীম হতে পারে না। কারণ বস্তুর সীমা থাকে কিন্তু অসীমের সীমা থাকে না। সুতরাং সীমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ থাকায় কোন বস্তু এমনি এমনি হতে পারেনি। সুতরাং যে বস্তুতে বীগ ব্যাং হলো অসীম এর সীমা দিয়ে এটা সৃষ্টি করে তাতে বীগ ব্যাং সম্পন্ন করে মহা জগৎ সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি তাতে সকল সসীম শক্তি ও বস্তু সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং কোন সসীম এমনি এমনি হয়নি।সুতরাং মহাজগতের সৃষ্টিকর্তাকে না মেনে উপায় নেই।
কোরআনে ঈশ্বর সংক্রান্ত সব বিবরণ আছে। যা আয়াতের বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসে। কিন্তু যারা মুমিন নয় তারা কোরআনের কথা শুনতেই নারাজ। আর মুমিনগণ কোরআনের এসব কথা বুঝতে নারাজ। তাদের কথা আল্লাহ বিষয়ে কোন কথার দরকার নেই। তারা কোন প্রমাণ ছাড়াই আল্লাহকে বিশ্বাস করে। কিন্তু যে মুমি নয় সে তো আর প্রমাণ ছাড়া আল্লাহকে বিশ্বাস করছে না। তাদের জন্যই আমরা প্রমাণের বিবরণ দিচ্ছি। মুমিনগণ কিছুতেই তা মেনে নিতে চাচ্ছে না।
এবার মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অন্য কোন কিছু এমনি এমনি কেমনে হয়েছে পারলে কেউ তা’ বুঝাক। তো কেউ মহান সৃষ্কির্তা ছাড়া অন্য কিছু এমনি এমনি হয়েছে এটা বুঝাতে না পারলে সে সৃষ্টিকর্তা এমনি এমনি কিভাবে হয়েছে তা’ বুঝানোর আশা কেমন করে করতে পারে? আমি তাকে যতটুকু বুঝিয়েছি সে তো আগে আমাকে তত টুকু বুঝাক।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




