
ধর্ম চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, মদ, জুয়া, অবৈধ সম্পর্ক, ফিতনা-ফাছাদ, গীবত, চোগলখুরী, পরনিন্দা, সুদ, ঘুষ ইত্যাদি নিষেধ করে এবং পরোপকার, দান, জাকাত, ফিতরা, সহনশিলতা, শান্তি, সন্ধি, আপোষ, মীমাংসা ইত্যাদি আদেশ করে।আর বিজ্ঞান বিবিধ প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনকে সহজ করে।
বিজ্ঞানের নামে কতিপয় লোক ধর্মকে রূপ কথা বলে এবং কতিপয় লোক ধর্মকে বেদরকারী বলে। ধর্মের আচারকে তারা সময়ের অপচয় বলে।তখন ধার্মিকেরা তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়।ধার্মিকদের কথা হলো ধর্মের বিরুদ্ধে এক হাজারটা প্রমাণ হাজির করলেও তারা ধর্ম ছাড়বে না। কিন্তু ধর্মহীনরা ধর্ম মুক্ত পৃথিবী গড়ায় বদ্ধপরিকর। আর ধার্মিকেরাও ধর্মহীনদেরকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে প্রস্তত নয়।
একদা আমি মুক্তমনা বাংলা ব্লগে ঢুকে দেখি উহা আসলে ধর্মমুক্ত মনা। তারা আমার লেখা তো প্রকাশ করেই না, এমনকি মন্তব্য করতেও দেয় না। তাদের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় ‘শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব’ ও ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ নামক দু’খানি পুস্তক রচনা করেছেন। ‘শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব’ পুস্তক পড়ে আমি ‘আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ’ পুস্তক রচনা করেছি।
বিজ্ঞানের প্রতি আমাদের প্রশ্ন, বিজ্ঞান কি ঈশ্বর নেই এটা প্রমাণ করতে পেরেছে? তাহলে ঈশ্বর বিষয়ে বিজ্ঞানের কথাকে কেন রূপ কথা বলা হবে না? সুতরাং বিজ্ঞান নয় ঈশ্বরের প্রমাণ হবে আলামতে। আর আলামতে ঈশ্বর আছে এটাই প্রমাণ হয়। আলামতে ঈশ্বর নেই এটা প্রমাণ হয় না।
# আলামত
একদল লোক বলছে ঈশ্বর বলতে কিছু নেই। আমি বলছি ঈশ্বর আছে। ঈশ্বর মানে হলো বড়। অসীম>সসীম।সুতরাং ঈশ্বর অসীম।সুতরাং যা ঈশ্বর বা বড় নয়, বরং ঈশ্বর থেকে যা ছোট তা’ সসীম। এ সসীমের সীমা দাতা থাকতে হয়। যেমন, একটা ইটের সীমা হলো, দশ ইঞ্চি, পাঁচ ইঞ্চি, তিন ইঞ্চি। যদি কেউ বলে একটা ইটের কোন দৈঘ্য, প্রস্থ্য ও উচ্চতা নেই তাহলে কেউ সেটাকে ইট মনে করেন কি? একটা মানুষের কোন উচ্চতা নেই অথবা উচ্চতার কোন সীমা নেই এমন কেউ বললে তাকে কেউ মানুষ বলবে?সুতরাং সীমা ছাড়া কোন সসীমের পরিচয় লাভ হয় না।সুতরাং সসীমের পূর্বে এর সীমা দাতা থাকতে হয়। সুতরাং কোন সসীম এমনি এমনি হতে পারে না। কিন্তু কোন অসীমের সীমা নেই, সেজন্য অসীমের পূর্বে এর সীমা দাতা থাকার কোন দরকার নেই। সুতরাং অসীম বা ঈশ্বর এমনি এমনি হতে পারেন। এজন্য হিন্দুরা ঈশ্বরকে স্বয়ম্ভু বলে। যেহেতু প্রকৃতির নিয়মে ঈশ্বর ছাড়া আর কিছু এমনি এমনি হতে পারে না, সেহেতু এমনি এমনি শুধুমাত্র ঈশ্বর হয়েছেন। আর এমনি এমনি ঈশ্বর হওয়ায় এবং এমনি এমনি ঈশ্বর ছাড়া আর কিছু না হওয়ায় ঈশ্বর তিনি ছাড়া আর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন বলে সাব্যস্ত হয়। সুতরাং ঈশ্বর নেই এমন কথা অবান্তর। ঈশ্বর যদি না থাকেন তাহলে সসীমের সীমা তবে কে দিল?
মানুষ যে সব সসীমকে তৈরী করছে, মানুষ তাদের সীমা দেয়। এটা আমরা সচরাচর দেখি। তাহলে যেসব জিনিসের সীমা দিতে আমরা দেখিনি সেসব জিনিস সীমা দেওয়া ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছে এমন কথা আমরা কেমন করে বলি? যেমন সূর্য অসীম নয়। কাউকে আমরা এর সীমা দিতে দেখিনি। কেমন করে দেখব সূর্য সৃষ্টির সময় আমরা ছিলাম না। এখন সূর্য এমনি এমনি হয়েছে না কেউ সৃষ্টি করেছে এটা আমরা কেমন করে বলব? যেহেতু আমরা দেখি কেউ তৈরী করা ছাড়া কিছুই হয় না সেহেতু আমরা বিশ্বাস করব সূর্যকে কেউনা কেউ সৃষ্টি করেছে। কে সে? সসীমের মধ্যে মানুষ তৈরী করে। মানুষ সূর্য তৈরী করেনি। সুতরাং সূর্যের সৃষ্টিকর্তা মানুষ নয়। সুতরাং সূর্যের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। কারণ মানুষ ও ঈশ্বর ছাড়া বড় আকারের তৈরী কারক নেই। এখন মানুষ সূর্যের সৃষ্টিকর্তা না হওয়ায়, ঈশ্বরকে সূর্যের সৃষ্টিকর্তা না মেনে উপায় কি?
যাতে বীগ ব্যাং হলো তা’হলো এমনি এমনি ও বিবর্তনে? এমনি এমনি আগে কি হবে বস্তু না শক্তি? শক্তির গতি বস্তু থেকে অনেক বেশী। সুতরাং এমনি এমনি আগে শক্তি হয়ে বিবর্তনে তা’ বৃহৎশক্তি হয়ে, তা’ সর্বশক্তিমাণ হয়ে অসীম হবেন বস্তু হওয়ার আগেই।তখনও কোন সসীম হবে না সীমার অভাব জনিত কারণে। শক্তি সসীম ও অসীম হতে পারে। কিন্তু বস্তু শুধুই সসীম হতে পারে, এটা কিছুতেই অসীম হতে পারে না। কারণ বস্তুর সীমা থাকে কিন্তু অসীমের সীমা থাকে না। সুতরাং সীমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ থাকায় কোন বস্তু এমনি এমনি হতে পারেনি। সুতরাং যে বস্তুতে বীগ ব্যাং হলো অসীম এর সীমা দিয়ে এটা সৃষ্টি করে তাতে বীগ ব্যাং সম্পন্ন করে মহা জগৎ সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি তাতে সকল সসীম শক্তি ও বস্তু সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং কোন সসীম এমনি এমনি হয়নি।সুতরাং মহাজগতের সৃষ্টিকর্তাকে না মেনে উপায় নেই।
এবার মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অন্য কোন কিছু এমনি এমনি কেমনে হয়েছে পারলে কেউ তা’ বুঝাক। তো কেউ মহান সৃষ্কির্তা ছাড়া অন্য কিছু এমনি এমনি হয়েছে এটা বুঝাতে না পারলে সে সৃষ্টিকর্তা এমনি এমনি কিভাবে হয়েছে তা’ বুঝানোর আশা কেমন করে করতে পারে? আমি তাকে যতটুকু যতটুকু বুঝিয়েছি সে তো আগে আমাকে তত টুকু বুঝাক।
# সুতরাং ধর্মকে বাদ দিয়ে নয়, বরং বিজ্ঞানের সাথে ধর্মকে যুক্তকরলে জীবন সহজ ও সুন্দর হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




