
প্যারা মজিদ গ্রুপ
নিজের বই ছাপাতে প্রকাশকের নিকট যাওয়ার পর প্রকাশক আমাকে একখানা প্যরাডক্সিক্যাল সাজিদ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, এরকম বই লিখবেন। বেষ্ট সেলার বই। তার পর চার বছর কেটে গেল। এখন শুনি ব্লগাররা তাকে প্যারা মজিদ বলে। তবে কি প্রকাশক আমাকে প্যারা মজিদ হতে বলে ছিলেন?
ইদানিং হৃদয় মন্ডল সংক্রান্ত ঘটনায় প্যারা মজিদের আলোচনা বেশী হচ্ছে। বুঝা যাচ্ছে সে তরুণদের মগজ ধোলাই করে দিয়েছে। সেজন্য তারা বিজ্ঞান শিক্ষকদের কথা কানেই তুলছে না। উল্টা তাদের আন্দোলনের মুখে বিজ্ঞান শিক্ষক গ্রেফতার হলেন। বিচারক তাঁকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিলেন। তকে কি প্যারা মজিদ বিচারকেরও ব্রেন ওয়াশ করে দিল? বুঝাগেল পরিস্থিতি বেশ জটিল।
ওবেটাতো সামুতে লেখে না যে তাকে সুলেমানি ব্যান করে নিস্তার মিলবে। সেতো বই লিখে বাজারে ছাড়ে আর তাতেই সব ওলট-পালট হয়ে যায়। এমতাবস্থায় ব্লগারদের করনীয় কি? এ দিকে আজহারী দখল করেন আছে ফেসবুক। মনে হচ্ছে ওটা ওর বাপ-দাদার সম্পত্তি। রাশিয়ার মত প্যারা মজিদেরা যদি ব্লগেও ঢুকে পড়ে তবে কি উপায় হবে?
# উইকিতে লেখা আছে
গল্পের মূল চরিত্রের নাম ‘সাজিদ’। বইটিতে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে আছেন লেখক নিজে। লেখক সাজিদের বন্ধু, রুমমেট। সাজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের ছাত্র। বইয়ের প্রথম গল্পে ‘সাজিদ’ কে একজন সংশয়বাদীরূপে দেখা যায়। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব নিয়ে ব্যাপক যুক্তি-তর্কের শেষ পর্যায়ে সাজিদকে তার স্রষ্টায় ও ইসলামে বিশ্বাস পুনঃরায় ফিরে পেতে দেখা যায়। এরপর বিশ্বাসী সাজিদ একের পর এক গল্পে বিভিন্ন কৌতুহলী মানুষের কাছে তার ইসলামী বিশ্বাসকে তুলে ধরে।
সে তার তথ্য ও যুক্তির মাধ্যমে ইসলাম ও স্রষ্টা নিয়ে সংশয়ে থাকা ব্যক্তিদের সংশয় দূর করার প্রয়াস চালায়। সাজিদ কখনো নিজের শিক্ষক মফিজুর রহমানকে বুঝিয়ে আসে কেন ‘তাকদির’ তথা ‘ভাগ্য’ ইস্যুতে স্রষ্টা বিতর্কিত নন। সাজিদ যুক্তির নিক্তিতে প্রমাণ দেখায় কেন স্রষ্টা মানুষের ভালো কাজের বেলায় প্রশংসা পেলেও মন্দ কাজের বেলায় দায়বদ্ধ নন। সাজিদের বড় ভাই তুল্য বিপ্লব দা'র কাছে সে প্রমাণ করে আসে কিভাবে বিজ্ঞানের আধুনিক পরিভাষা ‘কোয়ান্টাম’ মেকানিক্স কোনভাবেই স্রষ্টাকে খারিজ করে দিতে পারেনা। সে আরো প্রমাণ দেখায় যে কেন স্রষ্টা দয়ালু হবার পরেও জাহান্নামের মতো ভয়ানক জিনিস তৈরি করেছেন। নীলু দা নামের আরেক চরিত্র, যিনিও বিপ্লব দা’র মতো সাজিদের কাছে বড় ভাইয়ের মতোই সমাদৃত, তার কাছে প্রমাণ দেখায় যে কোনভাবেই কোরআনের কোন আয়াত ‘সন্ত্রাসবাদী’ নয়। এভাবে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাজিদকে ইসলাম ধর্মের উত্তমতা, সঠিকতা ও প্রামাণ্যতা তুলে ধরার বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ বক্তা, যুক্তিবাদী এবং বাস্তববাদী হিসেবে দেখা যায়।
# জটিলতায় থাকলে লোকে বলে প্যারায় আছি। প্যারা এবং প্যারাডক্সিকাল আসলে কি? জটিল ভাই থেকে জানতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




