
বিষয়টা দারুণ। আত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ানো। হাসরের দিন, আল্লাহ জিজ্ঞাস করবেন, বাবুল আবুলের কলা চুরি করেছে, কেউ দেখেছে কি? অমনি কয়েক জন দাঁড়িয়ে যাবে। তারা বলবে, হ্যাঁ আমরা দেখেছি বাবুল আবুলের কলা চুরি করেছে। কিন্তু যখন বাবুল আবুলের কলা চুরি করে ছিল তখন সে দেখেছে তাকে কেউ দেখেনি। সেজন্য সে বলেছে সে আবুলের কলা চুরি করেনি।
বাবুল আবুলের কলা চুরি করেছে সেটা আল্লাহ নিজেই দেখেছেন। তারপর বাবুলের দুই কাঁধের দুই ফেরেশতা সেই ঘটনা লিখে রেখেছে। আত্মা হিসাবে যারা টহল রত ছিল তারা সাক্ষী দিলো বাবুল আবুলের কলা চুরি করেছে। তথাপি বাবুল ঘটনা অস্বীকারের পথ খুঁজছে। তখন আল্লাহ তাঁর সিসি ক্যামেরার ফুচেজ দেখাবেন। তখন বাবুল নিজেই দেখবে সে আবুলের কলা চুরি করছে। তখন উপস্থিত জনতা দেখবে বাবুল সুধু চোর নয় সে একটা মিথ্যাবাদীও। শেষ বিচারে বাবুল তার কলা চুরির বিচার থেকে রেহাই পাবে না। এভাবে সেদিন যারা অপরাধ করেছে তাদের সবার বিচার হবে।
কিন্তু অপরাধীরা বলছে, তাদের অপরাধের বিচার হবে না। এসব আল্লাহ, হাসর ও পরকাল বলতে কিছুই নেই। খাও দাও ফুর্তি কর। মুমিনদের জুজুর ভয়ে কেউ ভয় পাবে না। এসব আল্লাহ, হাসর ও পরকাল হলো দূর্বলদের রূপ কথার গল্প। তাহলে এ মহাজগতের সব কিছু ক্যামনে হলো, যদি একজন আল্লাহ না থাকেন? তারা বলে, মহাজগত বুঝলাম আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তো আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? যদি বল আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি, আল্লাহ নিজে থেকেই বিদ্যমান, তাহলে আমরা বলব, মহাজগতকেও কেউ সৃষ্টি করেনি, মহাজগত নিজে থেকে বিদ্যমাণ। মহাজগত নিজে থেকে বিদ্যমাণ হতে পারলে আল্লাহ নিজে থেকে বিদ্যমাণ হতে পারবেন না কেন? মহাজগত তো বস্তু আল্লাহ তো প্রাণী। কাজ কি বস্তু করে নাকি প্রাণী করে? কাজতো প্রাণী করে। সুতরাং সাব্যস্ত হলো প্রাণী আল্লাহ নিজে থেকে বিদ্যমাণ হয়ে মহাজগত সৃষ্টি করেছেন। মহাজগত নিজে থেকে বিদ্যমাণ হয়ে তো আর আল্লাহকে সৃষ্টি করতে পারবে না। কারণ মহাজগত তো বস্তু! আর বস্তু কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারে না।
মহাজগতের নিয়ন্ত্রক যদি আল্লাহ হয়ে থাকেন; তবে আল্লাহর থাকার বিষয়টি স্পষ্ট। মহাজগতের শৃঙ্খলা বলে এর একজন নিয়ন্ত্রক আছেন। এখন মহাজগত আগে হয়ে নিয়ন্ত্রক পরে হয়েছেন, নাকি মহাজগতের নিয়ন্ত্রক আগে হয়ে মহাজগত পরে হয়েছে? মহাজগতের নিয়ন্ত্রক > মহাজগত। কারণ মহাজগতের নিয়ন্ত্রক প্রাণী এবং মহাজগত বস্তু। আগে হওয়ার প্রতিযোগিতায় মহাজগতের নিয়ন্ত্রক জয়ী হবেন। বিজ্ঞানের বিবর্তন তত্ত্ব এটাই বলে। আর তা’ হলো যোগ্যতমের জয়। যোগ্যতমের জয় হিসাবে আগে মহাজগতের নিয়ন্ত্রক আল্লাহ সবার আগে বিদ্যমাণ হয়েছেন। এরপর তিনি তাঁর ইচ্ছে মত সব কিছু বিদ্যমাণ করেছেন। তাঁর এক সৃষ্টির আকার অন্য সৃষ্টির আকারের আছাকাছি আকারের হওয়াতে যারা মনে করে মহাজগত নিজে থেকে বিদ্যমাণ; তারা মনে করছে মহাজগতে সব কিছু বিবর্তনের মাধ্যমে হয়েছে। আসলে ঘটনা হলো ওভাবেই আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




