
বিশ্বের বড় কম্পানীগুলোর কারখানা বাংলাদেশে হলে তারা কম খরচে শ্রমিক পাবে এবং বাংলাদেশের বেকার যুব ও যুব মহিলা সহজে কাজ পাবে। বিশ্বের বড় কম্পানীগুলোর কারখানা বাংলাদেশে তৈরীর পরিবেশ তৈরী করা হলো দরকারী মেঘা প্রকল্প।আমার জানামতে সরকার এ নিয়ে কাজ করছে। তবে এর পরিধি বাড়াতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম। তিনি বেশ খুশী আছেন। এখন তাঁর জনগণকে খুশী রাখার বিষয়ে তাঁকে আরো বেশী ভাবতে হবে। তাঁর নেতিবাচক দিকগুলো তাঁর জনগণ খুব সহজে হজম করছে। তাঁর জন্য জনগণের এ সৌজন্যের একটা দায়বদ্ধতা আছে। কি ভালো প্রধানমন্ত্রী এবং কি ভালো জনগণ! মনে হয় যেন মানিক জোড়।
সেকালে হরতাল দেখতে দেখতে অতিষ্ট হয়ে পড়তাম। তখন মনে হতো কি অসভ্য সরকার আর কি অসভ্য জনগণ। আর এখন উভয় সভ্য। অসুস্থ্যতা জনিত কারণে বিগত জাতীয় নির্বাচনে আমি ভোট গ্রহণ করা থেকে দূরে ছিলাম। ভোটের দিন দিনের বেলায় জনগণের ফিসফিসানী শুনে ছিলাম। টিন এজদের কেউ কেউ বীরত্ব দেখাচ্ছিল তারা পেরেছে। আমার কলিগের সাথে পরদিন দেখা হলো, বেশ হাসি হাসি মুখ। বললাম, ভোট কেমন নিলেন? তিনি বললেন, ভালো। সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কতিপয়কে দেখলাম তারা রাগ ঝাড়ছে। তারা কিছু কথা বলেছে, যা আমি উচ্চারণ করতে চাই না। শুধু এটাই বলব যে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের এখনো উন্নতি করার অনেক জায়গা রয়েছে।
কেউ একজন বলে ছিল, বিএনপির পক্ষে একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য। কিন্তু এ বিষয়ে বলার মত কথা খুঁজে না পাওয়ায় সে অনুরোধ আর রক্ষা করা হলো না। স্বপ্নে কথা বলতে নেই, তথাপি সরি বলে বলছি – আমি স্বপ্নে দেখলাম বঙ্গবন্ধু। অনেক উঁচু একটা প্রাসাদে। এমন সুন্দর প্রাসাদ আমি কখনো দেখিনি। বঙ্গবন্ধু আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে আমার পিট চাপড়ে আদর করতে থাকলেন। তাঁকে আমি এমন খুশী দেখলাম যে এমন খুশী মানুষ আমি জীবনে দেখিনি। পাশেই ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নীচু কক্ষ। যা ছিল খুব সাধারণ। ঘুম থেকে জেগে বুঝলাম আমার স্বপ্ন সত্য হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাভাবিক মৃত্যু হবে। তাঁর বাবা শহীদ হলেও তিনি শহীদ হবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বললেন, তিনি নিয়মিত নামাজ পড়েন। নামাজ বেহেশ্তের চাবী। সেজন্য হয়ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেহেশ্তে যাবে। তবে শহীদ না হওয়ার কারণে তিনি পিতার মত স্পেশাল বেহেশ্ত পাবেন না। আল্লাহ তাঁকে নেক হায়াত দান করুন। কামনা করি তিনি যেন জনগণকে খুশী করতে পারেন। আমাদের হতভাগা জনগণের খুশির জায়গা এখনো বিবর্ণ এবং হতশ্রী। জয় হোক জনতার। জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




