বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খায় এবং বড়দেশ ছোট দেশকে গিলে খায় এমনটা ঘটে থাকে। রাশিয়া ছোটদেশ ইউক্রেনের কিছু অংশ গিলে বসে আছে। এরপর তারা ইউক্রেনের পুরোটা গিলে খায়, নাকি যা গিলেছে তা’ ছেড়ে যায় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে বড়। মায়ানমার এর মধ্যে বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করার একটা পরিবেশ তৈরী করেছিল, কিন্তু বাংলাদেশ তাদের ফাঁদে পা দেয়নি।আর বাংলাদেশের যা অবস্থা তাতে যুদ্ধ থেকে আত্মরক্ষাই বাংলাদেশের প্রধান দায়িত্ব। কারণ যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠা বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভব।সুতরাং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের যুদ্ধাবস্থা তৈরী হওয়ার মত উস্কানিমূলক কথা বলা ও আচরণ করা ধেকে বিরত থাকতে হবে। তথাপি যুদ্ধ যদি অযাচিতভাবে কেউ আমাদের উপর চাপিয়ে দেয় তখন গোটাজাতি ঐক্যবদ্ধভাবে সে যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হবে।
আমাদের স্বাধীনতা রক্তের ঋণে পাওয়া। সুতরাং যে কোনমূল্যে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।পাকিস্তান মনে করেছিল আমাদেরকে দাবায়ে রাখতে পারবে, সেজন্য ১৯৭১ সালের এ মাসে তারা আমাদের উপর একটা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ছিল। তারা প্রাদেশিক পরিষদে ভোটের মাধ্যমে তাদের সাথে আমাদের বিরোধের নিস্পত্তি করতে পারতো। কিন্তু তারা সে সহজ পথ না ধরে বাঁকা পথে আমাদের উপর অহেতুক একটা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে অবশেষে চরম বেইজ্জতি হয়ে এখান থেকে বিদায় গ্রহণ করেছে।ভবিষ্যতে কোন রাষ্ট্র আমাদের সাথে এমন বেয়াদবী করতে আসলে তাদেরকেও আমাদেরকে উচিত জবাব দিতে হবে। সেটাই হবে আমাদের প্রতিটি মার্চ মাসের অঙ্গিকার।
দেশ রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। সেজন্য সকল জনগোষ্ঠির মাঝে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। কোনভাবেই মুমিন-অমুমিনের মাঝে ঘৃণার সম্পর্ক তৈরী করা যাবে না। যারা মুমিন-অমুমিনের মাঝে ঘৃণার সম্পর্ক তৈরী করার প্রচেষ্টা চালায় তারা মূলত জাতীয় শত্রু। এ ক্ষেত্রে আমি অমুমিনদেরকে মুমিনদের বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে কথা না বলার জন্য অনুরোধ করি এবং মুমিনদেরকেও অমুমিনদের সাথে শোভন আচরণ করতে বলি।অমুমিনরা নিজেদেরকে যথেষ্ট গেয়ানি মনে করায় অনেক সময় বেফাঁস কথা বলে ফেলে, কিন্তু এটা ঠিক নয়। কথা বলায় আমাদের সবার জিহবাকে সংযত করতে হবে।
সংযত আচরন না করায় ‘চাঁদগাজী’ নিকের উপর সোলেমানি ব্যান পড়েছে। ব্লগের বিষয়ে ব্লগের মডুকে সজাগ মনে হচ্ছে। সুতরাং আশাকরি ব্লগের সবাই সব বিষয়ে সংযত আচরণ করবেন। ইদানিং অবশ্য ব্লগের পরিবেশ ভালো আছে বলে মনে হচ্ছে। ব্লগের মত দেশের মডুও সজাগ থাকলে আশা করা যায় জনগণও সংযত আচরণ করবেন। দেশের মডু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু সঠিকভাবে সামাল দিচ্ছেন বলে মনে হয়। তবে কিছু লোককে তাঁর উপর নাখোশ মনে হয়। অবশ্য দেশের সব লোককে কেউই খুশী রাখতে পারে না। তবে সবাইকে শান্ত অবশ্যই রাখতে হবে, যেন কোন ক্রমে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট না হয়। কারণ স্বাধীনতা রক্ষায় জাতীয় ঐক্য সবার আগে দরকার।
কোন বিষয়ে আমি কোনঠাসা হলে ভাতিজা রানু খুশী হয়। তথাপি ঐক্যের স্বার্থে স্বাধীনতার মাসে তার প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩