ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা ইউক্রেন পক্ষে। ইউক্রেন থেকে রাশিয়াকে বের করতে না পারা আমেরিকা তথা বাইডেনের অক্ষমতা প্রমাণ করে। এতে বুঝা যাচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও নেটো অকার্যকর শক্তি। বিষয়টা বুঝতে পেরে কিছু রাষ্ট্র রাশিয়া থেকে আত্মরক্ষা মূলক জোট গঠন করছে। বাইডেনের এ অক্ষমতা আমেরিকার জনগণ মেনে নিবে না।সংগত কারণে তারা বাইডেনের পক্ষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। আর এ কারণেই আমেরিকার ভোট যুদ্ধে বাইডেনকে হারতে হবে।
আমেরিকার বন্ধু ইউক্রেনের একটা অংশ রাশিয়া গিলে বসে আছে। আমেরিকার অবস্থা হলো তারা চেয়ে চেয়ে দেখছে তাদের করার কিছু নেই। এতে বুঝা যাচ্ছে আমেরিকার বন্ধুত্বই কোন দেশের বিপদের জন্য যথেষ্ট। এমন অবস্থা চলতে থাকলে বিশ্বে আমেরিকার মোড়লগিরির সমাপ্তি ঘটবে। আর আমেরিকাকে বোতল বন্দ্বী করতে পারলে রাশিয়া আরো আগ্রাসী হবে। তাতে রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র সমূহের নিরাপত্তা হুমকীর মুখে পড়বে।
একদা আমেরিকা হিটলারকে থামিয়ে বিশ্ব মোড়ল হয়েছে। পুতিনকে থামাতে না পারলে তাদের সেই মোড়লগিরির পরিসমাপ্তি ঘটবে। বাইডেনের কারণে আমেরিকার এমন বে-ইজ্জতি ঘটার পর আমেরিকার জনগণ বাইডেনের সাথে থাকবে বলে মনে হয় না। আর পুতিন আরো বেশী আগ্রসী হলে বিশ্ব পরিস্থিতির আরো বেশী অবনতি ঘটবে। সুতরাং পুতিনের পক্ষেও হাততালি দেওয়ার মত কিছুই নাই।
রাশিয়া থেকে আত্মরক্ষায় নেটো গঠিত হয়েছিল। এখন রাশিয়া থেকে তাদের আত্মরক্ষার অক্ষমতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। নেটোকে রাশিয়া থেকে আত্মরক্ষা করতে হলে যে করেই হোক তাদেরকে রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে বের করতেই হবে। তাতে যদি তারা সক্ষম হয় তাহলে রাশিয়া উল্টা চাপের মধ্যে পড়বে। তখন রাশিয়ায় পুতিনের জনসমর্থন কমবে। যা তার পতনের কারণ হতে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধ আমেরিকা ও রাশিয়ার মল্লযুদ্ধ। তাতে যে পক্ষ হারবে তাদের বিশ্ব মোড়লগিরির বারোটা বাজবে। তবে এখন পর্যন্ত এ যুদ্ধে পুতিন ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং আমেরিকা চাপের মুখে পড়েছে। সেই চাপে বাইডেনের আবার প্রেসিডেন্ড হওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। তাতে করে কপাল খুলবে ট্রাম্পের। অবশেষে রাশিয়ার ইউক্রেনের দখল করা অংশ রাশিয়াকে দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্ত হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৩৭