মানুষের এক পক্ষ বলছে, সব কিছু এমনি এমনি হয়েছে- নো গড। যেহেতু গড নেই সেহেতু সীমাদাতা নেই সেহেতু এমনি এমনি সব অসীম হয়েছে।আর যেহেতু সীমা দাতা নেই সেহেতু কোন অসীম কোন অসীম থেকে আলাদা হতে পারে নাই সেহেতু সকল অসীম একত্রে মিলে গড হয়েছে। এমনি এমনি হওয়া সব মিলে তো গড হয়ে গেলেন, সেই গড হলেন সীমা দাতা। তারপর কোন কিছু এমনি এমনি হতে গেলেই গড এর লিমিট বা সীমা দিয়ে দেন এবং সেটা গড এর লিমিট বা সীমা অনুযায়ী হয়। গড সূর্যের লিমিট দিলে সূর্য হয়, চাঁদের লিমিট দিলে চাঁদ হয়। তো গড হওয়ার পর থেকে সব গডের লিমিটে হয় বলে গড নিজেকে সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা দাবী করেছেন। সুতরাং গড সত্যবাদী।
গডের দাবীর বিষয়টি গড কিছু মানুষের নিকট বলেছেন। গডের কথা নিয়ে কিছু বই লেখা হয়েছে। সেই সব বইতে গডের কথার বিবরণ রয়েছে। গডের কথা ও বই যারা প্রচার করছে তাদেরকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করতেই মানুষের এক পক্ষ বলছে, সব কিছু এমনি এমনি হয়েছে- নো গড। কিন্তু এমনি এমনি হওয়া বিশ্লেষণ করলেই গড থাকার বিষয় পরিস্কার হয়েছে। তখন এটাও পরিস্কার হয় যে যারা বলছে গড নেই আসলেই তারাই মিথ্যাবাদী।
গডের বিপক্ষ দল বলছে গড তাদের সাথে কথা বলছে না কেন? গড আসলে কোন মিথ্যুকের সাথে কথা বলেন না। আর এদের কথা বিশ্লেষণ করলেই তো বুঝা যায় যে এরা আসলে মিথ্যাবাদী। যারা কোন কথাই মিথ্যা বলে না তাদের মধ্যে গডের যাকে সবচেয়ে বেশী পছন্দ হয় গড তাদের সাথে কথা বলেন।আর যাদের সাথে গড কথা বলেছেন তারাই গডের কথা প্রচার করেছে।
পূর্বে গডের বলা কথায় লিখিত পুস্তক লোকেরা মুখস্ত না করায় দুষ্ট লোকেরা সেই সব পুস্তকে নিজেদের কথা ঢুকিয়ে দিয়েছে। গডের কথার শেষ পুস্তক কোরআন কোটি কোটি লোক মুখস্ত করায় এটাতে আর দুষ্ট লোকেরা তাদের কথা ঢুকাতে পারছে না।সুতরাং এটা গডের কথার অবিকৃত পুস্তক হিসাবে বিদ্যমান আছে। এখন পৃথিবীর সব কোরআন পোড়ালেও গডের পুস্তক শেষ হবে না। গডের পুস্তক কতিপয় লোকের মনপুত না হওয়ায় তারা গডের পুস্তক পোড়ায়।গড তাদের অকাজে কোন প্রতিক্রিয়া না দেখানোতে তারা বেশ খুশী। আর গড বলেছেন, ঝগড়ুটে মহিলার মত প্রতি মূহূর্তে প্রতিক্রিয়া দেখানো গডের কাজ নয়। মরার পর এদের আত্মাকে গড শাস্তি দিবেন। রানু গডকে নিয়ে যা বলছে তাতে গড প্রতি মূহূর্তে প্রতিক্রিয়া দেখালে এত দিনে রানুর কিছু একটা হয়ে যেত।
গডের বিরোধীরা যা করার করছে। গডের পক্ষের লোকেরা যা করার করছে। গড যা করার করবেন। এসব হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের পরিবর্তনে সব কিছু স্পষ্ট হয়। তাতে অনেকে বিপদগ্রস্থ্য হয় এবং অনেকে হয় মহাভাগ্যবান। সেজন্য রানুর কথা বিবেচনায় নেওয়ার মত কোন বিষয় বলে আমি মনে করি না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৬