
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে নালিশ করছে, এর জন্য শালিশ প্রয়োজন। শালিশ করবে ওআইসি এবং জাতি সংঘ। এরপর কোন পক্ষ শালিশ মানছে না সেটাও দেখবে ওআইসি এবং জাতি সংঘ।এরপর তারা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
সেকালে ভারত জয় করেছিলো বৃটিশ। ভারতীয়রা তাদের বিরুদ্ধে মুক্তির সংগ্রাম করেছে প্রায় দু’শ বছর। তারপর বৃটিশ ভারতকে মুক্তি দিয়ে স্বদেশে ফিরে গেছে। ইসরায়েলের কোন স্বদেশ নেই। সুতরাং তাদের ফিরে যাওয়ার মত স্থান নেই। সেজন্য ফিলিস্তিনীদের সাথে তাদের ভূমিভাগের দরকার আছে। কাজেই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল উভয় পক্ষ ভাগাভাগিতে সম্মত হয়ে সমাধানে পৌঁছতে হবে। আর এটাই বিশ্ব জনমতের মত।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের এক পক্ষ সমাধান মানলে এবং অন্য পক্ষ সমাধান না মানলে যে পক্ষ সমাধান মানবে না বিশ্ব জনমতকে সেই পক্ষের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। আর যদি সব পক্ষই মনে করে যে যুদ্ধই সমাধান সে ক্ষেত্রে কার কি করার থাকে?
যুদ্ধ হলে কি হয় সেটা সবাই জানে। আর এ যুদ্ধ চিরকাল চলছে। এখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শেষ না হতেই হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হলো। ভারতেও অখন্ড ভারত গঠনের জন্য ভারতের এক পক্ষ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধের পায়তারা করছে। কোন এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দূর্বল মনে করলেই সবল পক্ষ দূর্বল পক্ষের উপর হামলে পড়ে। একাত্তর সালে পাকিস্তান আমাদেরকে দূর্বল মনে করেই আমাদের উপর হামলা করেছিলো। যাতে যুদ্ধ হয়েছে এবং আমরা স্বাধীন হয়েছি।
হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের অবস্থা গুরুতর। এতে সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট। যুদ্ধ থামাতে হলে উভয়পক্ষের মীমাংসা ছাড়া উপায় নেই। কোন পক্ষ যদি মনে করে অপর পক্ষ কিছুই পাবে না। তাহলে সমাধান হবে না। তৃতীয় পক্ষ তাদের লাভের জন্য যদি উভয় পক্ষের মধ্যে বিবাদ বজায় রাখে তাহলে তৃতীয় পক্ষের লাভ হয়ে বিবাদমান উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ্য হতেই থাকবে।
যুদ্ধে ফিলিস্তিনীদের বেশী ক্ষতি হচ্ছে মুসলিমগণ সেজন্য অনেক কষ্টে আছে। অন্য কালে আবার মুসলিমরা ঘুরে দাঁড়লে হয়ত অমুসলিমরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে। মুসলিমরা ফুরিয়ে গেছে মনে করে অনেক অমুসলিম মুসলিমদের উপর হামলে পড়ছে। তারা অনেক সাফল্যও পাচ্ছে। এরপর আবার যখন মুসলিমরা ঘুরে দাঁড়াবে তখন আবার হানাদাররা মুসলিমদের থেকে আত্মরক্ষা করতে পারবে না। এখন যেমন অমুসলিমরা মুসলিমদের উপর হামলায় মানবতার বিবেচনা করছে না, মুসলিমরাও তাদের উপর হামলায় মানবতার বিচার করবে না। মানবতা চাইতে হলে সবাইকে মানবতা চর্চা করতে হবে। এক পক্ষ মানবতার চর্চা করবে অন্য পক্ষ সেটা করবে না, এমনটা আসলে হয় না। তবে আমি চাই সব পক্ষ মানবতার চর্চা করুক এবং সবাই মিলে শান্তিতে থাকুক।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




