
ফিলিস্তিনের মত এত মৃত্যু হয়নি মুসলিমদের; তথাপি রাসূল (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করেছেন। তখন তিনি কাবা মুশরিকদের হাতে ছেড়ে গেছেন। তাহলে ফিলিস্তিনীদের মসজিদুল আকসা ইহুদীর হাতে ছেড়ে যেতে সমস্যা কি? ইসলামের জন্য তাদের টান কি রাসূল (সা.) থেকে বেশী নাকি? আর রাসূল (সা.) অপমান জনক হুদায়বিয়ার সন্ধি মেনে নিয়েছেন। তো ফিলিস্তিনীদের ইসরায়েলের সাথে অপমান জনক সন্ধি করে টিকে থাকতে সমস্যা কি? যাদের জোর থাকে না তাদের অত মান-অপমানের হিসাব করলে চলে না।
হাদিসে অনেক কথা লেখা আছে। হাদিসে লেখা সব কথা রাসূলের (সা.) কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। সুতরাং বিপদ কালে রাসূলের (সা.) জীবনাদর্শ মুসলিমদের চলার পথের পাথেয় হওয়া উচিৎ। তারপর রাসূলের (সা.) যখন শক্তি হয়েছে তখন তিনি ইহুদীদেরকে ছাড় দেননি। তারপর তিনি মুসলিমদের জন্য একটা সাম্রাজ্য রেখে গেছেন; যা তারা তেরশ বছর টেনে নিয়ে গেছে। এখন আধুনিক অস্ত্রের যুগে এসে মুসলিম আবার কোনঠাঁশা হয়ে গেছে।অস্ত্র তো আর ক্ষেতে উৎপন্ন হয় না। সুতরাং বিভিন্ন জাতি পরস্পর যুদ্ধ করে এসব অস্ত্রপাতি যখন শেষ হবে তখন আবার মুসলিমদের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় হবে। সেই সময়টা ঠিক কবে আসবে তা’ এখনো জানা যায়নি। এরজন্য মুসলিমদেরকে অবশ্যই অপেক্ষায় থাকতে হবে। আপাতত মান অপমানের চিন্তা বাদ দিয়ে কিছু লস হলেও ইহুদীর সাথে ফিলিস্তিনের মীমাংসায় আসা উচিৎ। বিশ্ব জনমত এখনও তাদের একটা রাষ্ট্রের পক্ষে। এরজন্য তাদেরকে ইসরায়েলকে স্বীকার করতে হবে। তারা ইসরায়েলকে স্বীকার করার পর ইসরায়েল তাদেরকে স্বীকার না করলে বিশ্ব জনমত ইসরায়েলের দিক থেকে ঘুরে যাবে।
রাসূলের (সা.) নামে অনেক মিথ্যা হাদিসও প্রচার করা হয়েছে। সেসব হাদিসের কারনে ফিলিস্তিনীদের ইসরায়েলের সাথে সন্ধি না করা আমি সঠিক মনে করি না। ইসরায়েলের সাথে তাদের সন্ধির ক্ষেত্রে মসজিদে আকসাও বাধা হওয়া ঠিক নয়। কারণ মুসলিমদের কেবলা এখন কাবা, মসজিদে আকসা নয়। আর কাবা অতীতেও আল্লাহ রক্ষা করেছেন। আর ভবিষ্যতেও কাবা আল্লাহ রক্ষা করবেন মর্মে হাদিস আছে। তবে সমজিদে আকসা আল্লাহ রক্ষা করবেন মর্মে হাদিস নেই। সুতরাং মসজিদে আকসা রক্ষিত না হলে আবার যখন মুসলিমরা জেরুজালেম জয় করবে তখন না হয় তারা আবার মসজিদে আকসা বানিয়ে নিবে। আল্লাহর ঘর কাবাও এমন অনেকবার বানানো হয়েছে।
ইহুদীর এখন জোর বেশী সেজন্য মুসলিম এখন তাদেরকে ছাড় দিবে। তবে তারা তাদেরকে ছেড়ে দিবে না। ইসরায়েলে সব ইহুদী থাকলে তাদেরকে বরং আক্রমণ করতে সুবিধা হবে। সব দিক বিবেচনা করে ফিলিস্তিনীদেরকে অবশ্যই একটা বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। অসম যুদ্ধে তাদের এভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হতে থাকা যুক্তি সংগত নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




