
হনুমান এক প্রকার গাছ বাঁদর। এর লেজের আগুনে সেকালে লংকা পুড়েছে বলে রাম ভক্তগণ এর মহাভক্ত। সেজন্য রামভক্ত হিন্দুদের প্রতি এর এক চোখা প্রেম। রামকে মুসলিমগণ ভক্তি করে না বিধায় মুসমিদের প্রতি এর সীমাহীন ক্রোধ। রামভক্ত হিন্দুদের ইহুদী প্রেমের কারণে এ বাঁদর মহা ইহুদী প্রেমিক। বিবর্তন ক্রিয়ায় এ বাঁদর ব্লগে দাদা হয়ে বাঁদরামো করে বেড়ায়। সে ব্লগে পোষ্ট দিয়ে ব্লগারদের নিকট গালি ভিক্ষা করে।
ব্লগ বাঁদরের একান্ত ইচ্ছা অখন্ড ভারত। তবে কি বৃটিশ তাড়িয়ে ভারতবাসী অপরাধ করেছে? কারণ বৃটিশ ভারত অখন্ড ছিলো। তার অভিপ্রায় কি? সে কি ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ লাগাতে চায়? তাতে কি উপকার হবে? উক্ত দুই যুদ্ধে ভারত জয়ী হলেও তাদের অস্ত্র বল ও সৈন্য বল শেষ হবে। তারপর অন্য কোন পক্ষ এসে অখন্ড ভারত শাসন করবে। সেকালে তাদের জাত ভাইয়েরা পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ বাঁধিয়ে ছিলো। সে যুদ্ধে মুসলিম পক্ষ জয়ী হলেও তারা এতটাই দূর্বল হয়ে ছিলো যে, অবশেষে ভারত বৃটিশে নিয়ে গেলো। এখন আবার তারা যুদ্ধ করলে ভারত অন্য কোন পক্ষ নিয়ে যাবে। তারপর সেই অখন্ড ভারত দিয়ে গাছ বাঁদর কি করবে? তারচে বরং ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে মিত্রতা স্থাপন করা গেলে তিন দেশই শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
রাশিয়া ইউক্রেন নিতে গিয়ে বিশ্বকে বিপদে ফেলেছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্বের জন্য একটা মন্দ দৃষ্টান্ত। বিশ্ববাসী একালে যুদ্ধ নয়, বরং শান্তি চায়। তথাপি বাঁদর প্রজাতির লোকেরা যুদ্ধ চায়। তাতে মানুষ মরে, যা দেখে বাঁদর প্রজাতি আনন্দ পায়।যুদ্ধের অস্ত্রের পিছনে যে পরিমাণ সম্পদ খরচ হয় তা’ দিয়ে মানব জাতির অনেক কল্যাণ সাধন করা যায়। সেজন্য বাঁদরের বাঁদরামোতে প্রভাবিত না হতে আমি মানব জাতিকে আহবান জানাই।
বিশ্বে ভুখা নাঙ্গা লোকের অভাব নাই। যাদের সম্পদ বেশী তারা সেই সম্পদ যুদ্ধের পিছনে ব্যয় না করে ভুখা নাঙ্গা লোকদের পিছনে ব্যয় করতে পারে। সেই সম্পদ দিয়ে বিশ্ব জুড়ে হাসপাতাল তৈরী করা হলে অসুস্থ্য লোকেরা চিকিৎসা পেতে পারে। সেজন্য যারা যুদ্ধে উৎসাহী তাদেরকে মানুষ মনে না করে বাঁদর মনে করাই শ্রেয়। মানুষ যদি নিজেদেরকে মানুষ মনে করে তবে তারা মহৎ কাজে উদ্দোগী হবে। তাদের কামনা হবে বিশ্ব শান্তি। সেকালে শুনেছি লেখা পড়া করে মানুষ হয়। একালে দেখছি লেখাপড়া করে কিছু লোক গাছ বাঁদর হচ্ছে। এভাবে লেখা-পড়ার মান কমেছে। সেকথা ভাবা যায় না। এখনো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাবধান না হলে গাছ বাঁদরে বিশ্ব ভরে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




