
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতে কাবা শরীফ হলো শিব মন্দীর। শিব মন্দীরে শিবের পুজা হয় না এটা তারা মানতে পারছে না। ইসরায়েলের সাথে মিলে যুদ্ধ করে তারা সৌদি আরব দখল করতে পারলে কাবা শরীফকে তারা শিব মন্দীর বানাবে- এটা তাদের একান্ত ইচ্ছা। কাবা শরীফ বিষয়ে ইহুদী ও খ্রিস্টানদের কোন এজেন্ডা না থাকায় কাবা শরীফ হিন্দুদের দখলে ছাড়তে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না। খ্রিস্টানদের সমস্যা হলো, তারা বিশ্ব জনসংখ্যার প্রথম স্থানে আছে এবং মুসলিমরা আছে দ্বিতীয় স্থানে। খ্রিস্টানদের বিশ্ব জনসংখ্যার প্রথম স্থান ধরে রাখতে হলে মেরে-কেটে মুসলিম কমাতে হবে, সেজন্য তারা মুসলিম কমাতে ইসরায়েলের সাথে একত্রিত হয়েছে। এদের হাত থেকে নামধারী মুসলিমরাও রেহাই পাবে না। সোনাগাজী, রাজীব নুর ও কামাল যতই চিৎকার দিয়ে বলুক আমরা মুসলিম না, তাতে কোন লাভ হবে না। তারা বলবে তবে তোদের নাম কেন মুসলিম নাম? এ যুদ্ধে যে যারে পারবে তারে মারবে। আর তাতে করে বিশ্বের জনসংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাবে।মুসলমানদের হাদিসে আবার ভবিষ্যৎ বিষয়ে অনেক কথা বলা আছে। তাতে বলা আছে এ ব্যাপক যুদ্ধে শেষতক মুসলিম মৌলবাদীরা জয় লাভ করে সারা বিশ্বে ইসলাম কায়েম করবে।
নামে মুসলিম যেহেতু সংখ্যায় অনেক বেশী সেহেতু মুসলিম বিরোধীরা নামে মুসলিম মারতে মারতে মৌলবাদী মুসলিমগুলা থেকে যাবে। তারপর সকল পক্ষের অস্ত্রপাতী যখন শেষ হবে তখন মুসলিম মৌলবাদী অভিযান শুরু হবে। তখন কোন পকক্ষই আর মুসলিম মৌলবাদী আক্রমন ঠেঁকাতে পারবে না। এখন তো ধর্ম নিরপেক্ষ মুসলিমরাই মৌলবাদীদেরকে ঠেঁকিয়ে রাখছে। যেমন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে কিছুতেই মৌলবাদীদেরকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। কিন্তু মুসলিম বিরোধীরা যখন আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিবে এবং সেই সাথে তারাও শেষ হয়ে যাবে তখন আর এখানে মৌলবাদীদেরকে ঠেঁকাবে কে? এদিকে ইমাম মাহদীর নেতৃত্বে সকল মৌলবাদী ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং তখন মৌলবাদীরা তাঁর নেতৃত্বে সারা বিশ্বে ইসলাম কায়েম করবে। তখন সারা বিশ্বে তাদের বিরুদ্ধে কোন শব্দ উচ্চারণ করার মত কোন লোক থাকবে না। সেজন্য মুসলিম মৌলাবাদ বিরোধী সকল পক্ষকে আমি মিলেমিশে থাকতে বলি। নতুবা আখেরে তাদের কারো লাভ হবে না।
আমার কথা কেউ শুনবে না। কারণ ইসরায়েল জেরু জালেমের লোভ এবং হিন্দুরা কাবার লোভ ছাড়তে পারবে না। আর খ্রিস্টান বড় দাদা তাদের সাথেই থাকবে। মুসলিমদের অমৌলবাদীরা ক্ষমতায় থাকায় সম্মিলিত মুসলিম বিরোধীদের তোপের মুখে প্রথমে তারাই পড়বে। এরা ওরা যুদ্ধ করবে। মুসলিম মৌলবাদীরা তলে তলে সব পক্ষের অস্ত্রপাতি সংগ্রহ করবে। তারপর তারা যখন যুদ্ধ শুরু করবে তখন তাদের বিরোধী সকল পক্ষ যুদ্ধে অক্ষম হয়ে পড়বে। সুতরাং তখন তাদের জয়যাত্রা কেউ ঠেঁকাতে পারবে না। মুসলিম মৌলবাদীরা আবার কেউ অমুসলিম শুনলেই মারবে। এ বিশাল মারামারিতে বিশ্ব জনসংখ্যা ব্যাপক হারে কমে গিয়ে বিশ্ব জনসংখ্যায় হালকা হয়ে যাবে। অবস্থা দৃষ্টে এসব কথা সঠিক হবে বলেই মনে হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




