
ইহুদীদের ইচ্ছা হলো তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া মদীনায় আবার বসতি স্থাপন। খ্রিস্টানরা নিজেরা মদীনায় বসতি স্থাপন করতে না চাইলেও তাদের এক দলকে তাড়িয়ে দেওয়া মদীনায় তারা মুসলিমদের বেদখল চায়। হিন্দুরা কাবা শরিফকে শিব মন্দীর বানাতে চায়। আর নাস্তিকরা মহানবির (সা.) রওজা খুলে দেখতে চায় তাতে কি আছে? বহু দলে বিভক্ত মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা এখন ঐক্যবদ্ধ। সেজন্য মুসলিমদের প্রতিটি পরাজয়ে তাদের অন্তরে খেলে যায় খুশীর ঝিলিক। কিন্তু মহানবি (সা.) বলেছেন, তাদের ইচ্ছা বাস্তবায়নে তারা সফল হবে না। তবে তাদের ইচ্ছা বাস্তবায়নে পৃথিবী তছনছ হয়ে যাবে। অবশেষে জয়ী হবে মুসলিম।
ইরাক ও সিরিয়া মাসাকার করা হয়েছে। এখন সামনে ইরান। এটা মাসাকার করা হলে। তারপর আসবে আসল টার্গেট সৌদি আরব। আর কিছু রাষ্ট্রকে অমুসলিম জোট গনায় ধরে না। তারা এখন নিজেদেরকে যথেষ্ট শক্তিশালী ভাবে। বিষয়টা আসলে অমূলক নয়। অমুসলিম প্রতিরোধে মুসলিমদের শক্ত বাধা কিছু আছে কি?
অনেকে মানবতাবাদী বিশ্ব কামনা করে।ধর্মের লোকেরা নিজেরা মারা-মারি করে দন্ত-নখর বিহীন হওয়ার পর তারা ধর্মহীন মানবতাবাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে পারবে কি? সেটা পারবে ইসলামের বিশ্ব জয়ের কয়েক হাজার বছর পর।আর তখন কেয়ামত হবে। এসব আগাম সব কথা হাদিসে লেখা আছে। যদিও হাদিস বিশ্বাসের কোন দায় অমুসলিমদের নেই।
ফিলিস্তিন মুসলিমরা শহীদ হচ্ছে তারজন্য দু:খ বোধ হয়। কিন্তু মুসলিম আরো অনেক অনেক বেশী শহীদ হবে। যার জন্য দু:খ বোধের সময় মুসলিমরা পাবে না। আগাম পরিস্থিতি মোকাবেলায় মুসলিমদের প্রস্তুতি থাকা দরকার। তাদের সবচেয়ে বড় কাজ হলো টিকে থাকা। তাহলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। যে যাই বলুক মুসলিমরা তাদের নবির (সা.) কথা বিশ্বাস করে।
ঘটনাগুলো দেরীতে ঘটলে অমুসলিমদের জন্য ভালো। তাহলে তাদের বিলুপ্তি দেরীতে ঘটবে। আর কেয়ামতও দেরীতে হবে। আর মুসলিমদের বিচলিত হওয়ার দরকার নাই। মরার পর তারা জান্নাতে যেতে পারলে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। মুসলিমরা কোন লোককে না মেরেই মরতে থাকবে ঘটনা এমন হবে না। সুতরাং যুদ্ধ থেকে দূরে থাকা সব পক্ষের জন্য ভালো। নৌকা ডুবে কিনা দেখার জন্য নৌকায় উঠে নৌকার ডুবা দেখা ভালো নয়। সেজন্য আমি সবাইকে বলব যুদ্ধ নয় শান্তি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




