সরকারী দলের কোন প্রার্থী হারতে চাইবে না। অত:পর যারা হারবে তাদের সবাই যদি বলে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই। যারা নির্বাচনে আসে নাই তারা তো বলবেই নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই। বিশ্ব যদি বলে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই। তারপর যদি বিবিধ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। তাতে জনগণ কষ্ট পেয়ে যদি বাইরে বেরিয়ে আসে। তথাপি কি সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে?
ও কাড়লে আমি ছাড়ব কেন? এভাবে কাড়া-কাড়ির মহোৎসব হলে কিভাবে বলা যাবে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে? নির্বাচন সুষ্ঠ না হলে বিদেশীরা যা করবে বলছে তা’ করলে জনগণ আনন্দে থাকবে কি? নিরানন্দে তারা ঘরে ঘুমিয়ে থাকবে নাকি বাইরে বের হবে? তো জনতার তাড়া খেয়ে দেশ ছাড়া হওয়ার থেকে যাতে জনতার তাড়া খেতে না হয় সে ব্যবস্থা করা উচিৎ নয় কি?
দেশে সব কিছুর উন্নয়ন হলেও নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে হয় না। হিরো কান্ড থেকে শেষতক সেটাই বুঝাগেছে। চলেই যদি যাব তবে বসে আছ কেন? এ গানের জবাব কি হতে পারে? আমাদের কর্তাব্যক্তিরা কি ইজ্জতের সাথে যাওয়ার চিন্তা করতে পারে না? এবারের আব-হাওয়া ঠিক আগের মত নয় বলেই মনে হচ্ছে। নিম্ন চাপের খবর গোপন করা হলেও মনে হচ্ছে ওটা সৃষ্টি হয়েছে। অত:পর তীব্র ঝড়ে হয়ত সব উলোট-পালট করে দিবে। নিম্নচাপ না বুঝার বদনাম সাথে নিয়ে বিদায় যাত্রা হলে সহজে ফিরে আসা যাবে কি?
দশ দিন চোরের এক দিন গৃহস্তের এমন হয়। গৃহস্তের সে দিন যদি এবার হয়ে যায় তাহলে চোরের কি উপায় হবে? দশ দিনের দশ কিল খেলে হয় মুশকিল। ত্রিশ তারিখ চলে গেলো তারা নির্বাচনে এলো না। এখন প্রত্যাহার দেখার অপেক্ষা। দেথা যাক কি হয়? একদলকে একা রেখে অন্যরা যদি বলে এই আমরা চললুম, তারপর কি হবে? এবারের অবস্থা এখনো অবোধ্য মনে হচ্ছে।
বিচার পতি এর বিচার করে, ওর বিচার করে। তারপর সবাই মিলে বিচার পতির বিচার করলে তথন বিচারপতি কি করবে? সব কিছুর একটা সীমা থাকে। সেই সীমা একবার লংঘন হয়, দুবার লংঘন হয়ে বার বার লংঘন হতে থাকলে বিপত্তি হতেই পারে। কেড়ে নেওয়া ছাতা দিয়ে কত আর রোদ্র থেকে বাঁচা যায়? প্রতিরোধের বাঁধ কেটেগেলে যে স্রোত বইবে সে স্রোত ঠেঁকিয়ে রাখা যাবে কি? এখন অনেক অনেক প্রশ্ন। উত্তরের অপেক্ষায় সবাই অপেক্ষায় আছে। অপেক্ষা শেষ হলে বুঝা যাবে সরকার পাস, নাকি ফেল? তবে এবার পরিস্থিতি আগের মত মনে হচ্ছে না।