একত্বে অনন্য প্রেম
অনেক নারীর দেহে আস্বাদ পাবে না
খাঁটি প্রেম অমৃতের। শুন অনন্তর
একা এক নারী মন চিত্রাভ প্রান্তর
সেথা পাবে প্রীতিময় বহু অনুভূতি।
নারীর একান্ত কাম্য সুপ্রিয়া হবে না
সে ছাড়া অপর কেউ, স্বামীর অন্তর
খানিক দখলকারি।সে তার সুন্দর
সম্পর্ক সাজায় দিয়ে সুমহান প্রীতি।
বহুত্বে বিরাজ করা বোলতার হুল
ভীতিকর হয়ে থাকে।প্রেমিক হৃদয়
দেখে সেথা শূলবিঁদ্ধ তার মহাভুল
ছড়ায় রক্ত ক্ষরণ স্নিগ্ধ প্রাণময়।
নিখাঁদ রোমাঞ্চ মিলে প্রীতির দু’প্রান্তে
অন্তরঙ্গ সময়ের নিভৃতে একান্তে।
সূরাঃ ৪ নিসার ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমরা যদি আশংকা কর যে, ইয়াতিম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে, দুই তিন অথবা চার: আর যদি আশংকা কর যে সুবিচার করতে পারবে না তবে একজনকে অথবা তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসীকে। এতে পক্ষপাতিত্ব না করার অধিকতর সম্ভাবনা।
সূরাঃ ৪ নিসার ১২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৯। আর তোমরা যতই ইচ্ছা করনা কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার কখনোই করতে পারবে না, তবে তোমরা কোন এক জনের প্রতি সম্পূর্ণ ঝুঁকে পড়বে না ও অপরকে ঝুলিয়ে রাখবে না; যদি তোমরা নিজেদিগকে সংশোধন কর ও সাবধান হও তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
* স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহারের শর্তে ইসলাম বহু বিবাহের অনুমতি প্রদান করেছে। তবে এতে যে ঝামেলা আছে সেটাও ইসলাম বলে দিয়েছে। ইসলাম এ অনুমতি প্রদান না করলে প্রথম স্ত্রী ছাড়া অন্য স্ত্রীদের সন্তানদের গায়ে অবৈধ সন্তানের তকমা লেগে যেত। অথচ যারা সন্তান হিসাবে জন্ম নিয়েছে তাদের কোন দোষ নেই।নির্দোষ সন্তানদেরকে দোষ মুক্ত রাখতেই বহু বিবাহের অনুমতি।
রাসূল (সা.) বহু বিবাহ করেছেন এবং কিছু ক্ষেত্রে তিনি ঝামেলাতেও পড়েছেন। তাঁর এক স্ত্রী তাঁর প্রথম স্ত্রীর স্বামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধও করেছেন। সুতরাং বুঝাগেল বহু বিবাহ আসলে সুবিধা জনক নয়।
বিবাহ সংক্রান্ত কারণে ধর্মহীনরা রাসূলের (সা.) উপর দোষারোপ করে থাকে। কিন্তু আল্লাহ তাঁকে নবী বানিয়েছেন তাঁর বিশ্বস্ততার জন্য। সুতরাং নবুয়তের সাথে রাসূলের (সা.) বহু বিবাহের সম্পর্ক নেই।সেজন্য বহু বিবাহের কারণে মুমিনগণ তাঁকে পরিত্যাগ করেন না। তাদের কথা হলো রাসূলের (সা.) বহু বিবাহের কারণে তারা তাঁকে পরিত্যগ করে জাহান্নামে যাবে কেন? সেজন্য বহু বিবাহের পরেও তাঁর অনুসারী প্রায় দুইশত কোটি। তারমানে ধর্মহীনদের রাসূলের (সা.) ত্রুটির প্রচার তাঁর উম্মত কমানোতে কাজে আসছে না।
# সবচেয়ে বড় কথা কোরআন বহু বিবাহে নিরুৎসাহিত করেছে। এ ধর্মহীনরাই বলে কে কার সাথে শুইবে সেটা তার ব্যাপার। আবার তারাই বলে রাসূল (সা.) এত নারীর সাথে শুইলো কেন? তারমানে রাসূলের (সা.) ক্ষেত্রে আসলেই তাদের বক্তব্য পাল্টে যাচ্ছে। অবশ্য কোন ধর্মেই বহু বিবাহে নিষেধাজ্ঞা নেই। মুষ্ঠিমেয় ধর্মহীন এ বিষয়ে হৈ চৈ করে। আমি যেটা বাস্তব বিষয় সেটা কবিতায় তুলে ধরেছি। আর সংগত কারণে সমাজে বহু বিবাহের ছড়াছড়ি নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬