সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তারপ্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।
* আল্লাহর পক্ষ থেকে শুদ্ধতার সনদ প্রাপ্ত শিক্ষক রাসূল (সা.)। তাঁর ছাত্র তাঁর সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়াত প্রাপ্ত হওয়ার সনদ প্রাপ্ত। যারা তাঁদের ভুল ধরে তাদের শিক্ষকের শুদ্ধতার সনদ কে দিলো? আর তাদের হেদায়াত প্রাপ্ত হওয়ার সনদ কে দিলো? এর কেমন বেয়াদব যে এদের মহা সিনিয়রগণের ভুল ধরে? মহাবেকুব গুলো বলে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নিজেরা তাঁদের অন্যদের ভুল ধরেছেন। তো তাঁরা সহপাঠি। তাঁরা একে অপরের ভুল ধরতেই পারেন। তাঁদের সহপাঠি না হয়ে যারা তাঁদের ভুল ধরে তাদেরকে সাহাবায়ে কেরামের ভুল ধরার অধিকার কে দিল?
সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার (নেকের)পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।
* মহাপন্ডিতরা বলে সাহাবায়ে কেরামের (রা.) ভুলের তবে কি হবে? পরীক্ষায় কেউ ভুল উত্তর লিখলে সে কি নম্বর পায়? কিন্তু পরীক্ষায় পাস করতে একশতে একশ নম্বরও পাওয়া লাগে না। আল্লাহ বলেছেন নেকের পাল্লা ভারী হলেই লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন। রাসূলের (সা.) সব সাহাবার নেকের পাল্লা ভারী হবে কি?
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।
* রাসূলের (সা.) সব সাহাবার নেকের পাল্লা ভারী হবে। কারণ আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ষমা করায় তাঁদের পাপের পাল্লায় কিছুই থাকবে না।তাহলে আর তাঁদের নেকের পাল্লা ভারী না হয় কেমন করে? তাদের কেউ মোনাফেক হলে কি হবে?
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
* যাদের মোনাফেকী আল্লাহ প্রকাশ করেছেন তারা ছাড়া কারা মোনাফেক সেটা রাসূল (সা.) নিজেই জানতেন না। আমরা সেটা জানব কেমন করে? সুতরাং রাসূলের (সা.) ছাত্রদেরকে মোনাফেক সাব্যস্ত করে তাঁরেদ ভুল ধরার কোন ব্যবস্থা ইসলামে নেই।
সূরাঃ ১১১ লাহাব, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুই হস্ত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও।
* যারা রাসূলের (সা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.) ভুল ধরে তারা পথভ্রষ্ট। সে আহলে বাইত হলেও সে পথভ্রষ্ট। যেমন আবু লাহাব হযরত ইব্রাহীমের (আ.) আহলে বাইত হয়েও পথভ্রষ্ট ছিলো। মহানবির (সা.) আহলে বাইতের মধ্যে পাক পঞ্জাতন ছাড়া কারো হেদায়াতের গেরান্টি নেই। পাক পঞ্জাতন ছাড়া কোন আহলে বাইত হেদায়াত প্রাপ্ত সেটা কে বলবে?
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষ পাঠিয়েছিলাম; তোমরা না জানলে আহলে যিকরকে জিজ্ঞাসা কর।
* পাকপঞ্জাতন ছাড়া কোন আহলে বাইত হেদায়াত প্রাপ্ত সেটা বলবেন আহলে যিকর। কারা আহলে যিকর?
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ।
৯। হে মুমিনগণ! জুমুয়ার দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* যাদের দায়িত্বে সম্পন্ন যিকিরে সামিল হতে আল্লাহ দৌড়ে যেতে আদেশ করেছেন সেই সেই জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর। কারণ মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে যেসব মসজিদ তৈরী করা হয়েছে সেসব মসজিদের জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং জুমুয়ার খতিব আহলে যিকরের সর্ববৃহৎ দল যে আহলে যিকরকে হেদায়াত প্রাপ্ত বলে মানবেন তিনি হবেন অনুসরনীয় আহলে বাইত। এ ছাড়া কোন আহলে বাইত মুসলিমদের অনুসরন করার দাবী জানালেও তার অনুসরনের কোন সুযোগ নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৩