সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
* ইসরায়েলের মত শক্ত প্রতিপক্ষের মোকাবেলায় হামাস যথাসাধ্য শক্তি ও আকাশ যোদ্ধা বাহিনী প্রস্তত রাখেনি।উহুদ যুদ্ধে মুসলিমগণ তাদের পিছন দিক সুরক্ষিত রাখেনি। সেজন্য তখন মুসলিমদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বদর যুদ্ধে তাদের সব ঠিকঠাক থাকায় মুসলিম পক্ষে ফেরেশতা অংশগ্রহণ করেছে।
শত্রুর মোকাবেলার সক্ষমতা না থাকলে ইসলামের বিধান হলো হিজরত। রাসূল (সা.) নিজেই হিজরত করেছেন। আর হামাস নিজেরাই অসম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। হামাসের বন্ধু হুতি, হিজবুল্লাহ ও ইরান তাদেরকে ইসরায়েলের পক্ষে জয়ী করার মত শক্তি নয়।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
* ইসরায়েল ও তাদের বন্ধুদের এক তৃতীয়াংশ জনবল হামাস ও তাদের বন্ধুদের আছে কি? যদি না থাকে তাহলে হামাস ফেরেশতার যুদ্ধের আওতায় আসবে না। যুদ্ধের সক্ষমতা ছাড়াই হামাস যুদ্ধে নেমে এর খেসারত দিচ্ছে। সারা বিশ্ব হামাসের জন্য সমবেদনা ছাড়া কিছুই করছে না।হামাসের ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ শুরুর ঠিক কি কারণ ছিলো এটা আমার ঠিক বুঝে আসে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৮