
কোন লোককে গুম করে আয়না ঘরে আটকে রাখা কোন আইনে পড়ে? সুতরাং তিনি বে-আইনি লোক ছিলেন। তাহলে অন্যের বে-আইনি কাজের সমালোচনা করার কি অধিকার তাঁর ছিলো? কোন লোক অপরাধী হলে প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু বিনা বিচারে কোন লোককে গুম করে রাখার মানেটা কি? তাঁর আর বর্তমানের লুটেরাদের অপরাধের তফাৎটা কি? আর অনেক লোককে তো গুম করে খুন করা হলো।
বিধাতা থেকে সাধারণ সবার সমালোচনা আছে। গণতন্ত্রে মন্দের ভালোকে বেছে নেওয়া হয়। জনগণ যেন মন্দকে ক্ষমতা দিতে না পারে সেজন্য গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হলো। বিপ্লবের পর তিনি পালিয়ে গেলে জানাগেল তিনি আসলে খুব জঘণ্য লোক ছিলেন। তাহলে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে কিলাভ হলো? অনির্বাচিত সরকারকে পালাতে বাধ্য করার পর আবার যদি অনির্বাচিত সরকারকেই ক্ষমতায় রাখতে হয় তাহলে অনির্বাচিত সরকারকে পালাতে বাধ্য করার কি দরকার ছিলো? গণতন্ত্র হত্যার পর বিপ্লবের অপশন থাকে। সেই অপশনে বাংলাদেশের পাঁচ সরকার বিদায় হলেন। বঙ্গবন্ধু, জিয়া, এরশাদ, খালেদা, হাসিনা সবার একই পরিণতি। খুনখুনে বুড়িরাও দলনেতার পদ ছাড়তে চায় না, এটা কি মুশকিল?
রাজাকার আর স্বৈরাচারের তফাৎটা কি? এরা একে অন্যের বদনাম করলে কেমন লাগে? স্বৈরাচার রাজাকার পুত্রকে আয়না ঘরে আটকে রাখলো। এসব বিচ্ছিরি কান্ড। নজরুল বলেছেন বলেই কারাগারে লাথিমেরে বন্দীরা পালিয়েছে। তাদের আর কি দোষ? বিম্পি-জামায়াত মন্দ সেটাতো বুঝলাম। আম্লিগ কতটা ভালো তার প্রমাণ আয়না ঘর। রবীন্দ্র নাথ বলেছেন- হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোথা অন্য কোন খানে। এখন যিনি আসছেন তাঁর একটা মোক্ষম খেতাব আছে। সেইটা থাকুক। তারপর দেখি তিনি কি করেন এবং তাঁর ভক্ত কোমলমতিরা কি করেন?
আমি আমাদেরকে অসভ্য জাতিই বলব। নতুবা কোন কিছু হলেই সংখ্যা লঘুদের উপর হামলে পড়তে হবে কেন? এ জানোয়ারগুলোকে আমরা কেন এতদিনেও সামলাতে পারিনি। আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে? তো রাজার কাজ তো প্রজা পালন। আমরা তাদেরকে চোষণ ও লুন্ঠন করি কেন? মরার আগে দেশটাকে সভ্য লোকের দেশ হিসাবে দেখতে পেলে শান্তি পেতাম। ভারত ও মায়ানমার অসভ্য বলে আমাদেরকেও অসভ্য হতে হবে কেন? তুমি অধম বলে আমি উত্তম হব না কেন? সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমের কথাটা কি আমরা ধারণ করতে পারি না? আমরা উত্তম হয়ে ভারত ও মায়ানমারকে উত্তম হতে বললে মন্দ হবে কি? ভারত অবশ্য আমাদের থেকে উত্তম। কারণ তাদের গণতন্ত্র আছে। বিম্পি-জামায়াত ঠেঁকাতে কতকাল এভাবে আমাদের এখানে গণতন্ত্র ঠেঁকাতে হবে? তাদেরকে ঠেঁকাতে আয়না ঘর বানালো হলো। বিচার ব্যবস্থা বলতে কিছুই থাকলো না। উত্তেজিত জনতা সুযোগ পেলেই প্রধান বিচারপতির বাড়ীতে হামলা করে কেন? আটকুঠুরী নয় দরজা আঁটা- তার উপর আছে সদর কোঠা- আয়না মহল তায়। সেখান থেকে আয়না ঘর। যাতে আছে শুধু হাঁড় আর হাঁড়। মানুষ খেকো কুকুরেরা মানুষ খেয়ে হাঁড় গুলো ছেড়ে গেছে। কি জঘণ্য! তাদের জন্য কেঁদে আমরা চোখের পানি শুকিয়ে ফেলেছি ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


