
সাধারণ ছাত্ররা ইতিহাস তৈরী করলো ৫ তারিখে, আর স্টুডেন্ট লীগ ইতিহাস তৈরী করবে ১৫ তারিখে। দশদিন কি তারা তবে গাঁজা খেয়ে পড়ে ছিলো? দরবেশের দাড়ির কাফফারা এখন কে দেবে? এদিকে বহু বাড়িতে দেওয়া হয়েছে আগুন। ৫ তারিখের ইতিহাস আটকে দিলে তো এমন কান্ড ঘটতো না।৫ তারিখেও তাদের অনেক হুংকার শুনেছি। সাত মিনিটে ঢাকা ক্লিয়ারের কথা শুনেছি। অবশেষে কি দেখলাম? অন্যদেরকে ক্লিয়ার করতে গিয়ে তারা নিজেরাই ক্লিয়ার হয়ে গেল। অমুক তমুক পরাজিত শক্তি বলতে বলতে অবশেষে তারা নিজেরাই পরাজিত শক্তির খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলল। গোয়ালাল গঞ্জের পর তবে কি গোয়ালাল ঢাকা হতে চলল? আপনাদের নিয়ে লেখালেখি করতে করতে কী বোর্ডের কী সমূহের লেখা মুচ্ছে যাচ্ছে। আর কতটা হাসির পাত্র হলে আপনাদের আশা পূরণ হবে? ইন্টারনেট বন্ধ করে লড়াই করেও আপনারা জয়ী হতে পারলেন না। আর এখন তো ইন্টারনেট খোলা। সংগত কারণে শোকের দিনে আপনাদের শোকের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আপনারা চেতনা বিক্রি করে অনেক খেয়েছেন। এখন সে চেতনা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। সেই চেতনার বদলে পাবলিকের মাঝে ৫ আগস্টের নতুন চেতনা বিস্তার লাভ করছে। যে তেনায় আপনারা হলেন হানাদার। এদিকে আপনাদের বিরোধীরা রাজাকার হয়ে স্বেচ্ছাসেবী হয়েছে। আপনাদের আয়না ঘরের আয়নায় এখন আপনাদের চেহারা দেখা যাবে কিনা সেটাও অনেকে বলছে। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর আপনারা নাকি তৃতীয় স্বাধীনতা আনবেন। তো প্রথম স্বাধীনতা বজায় রাখতে আপনাদেরকে কে মানা করেছে। এখন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বাতিল হয়ে চব্বিশের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরী হতে পারে। গনেশ উল্টেগেলে এমন হয়। এতে মন খারাপের কিছু নাই। আপনাদের রুজি-রোজগারের দেশ এখন আর আপনাদের নেই। সমস্যা নাই আপনারা পকেটে যা ভরেছেন তাতে আপনাদের বহুকাল চলে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



