ইংরেজ হানাদারের আগে আমাদের বাংলা বিহার ও উড়িষ্যা মিলে একটি বড় রাষ্ট্র ছিল। সেই রাষ্ট্র হারানোর পিছনে অনেকে মীর জাফরকে অনেকাংশে দায়ী করেন। একাত্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পর আমরা আমাদের আগের বড় রাষ্ট্রের চেয়ে অনেক ছোট একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। এ ছোট রাষ্ট্রটিও যেন আমাদের না থাকে তার জন্য অনেক মীর জাফর কাজ করছে। তারা বলছে আলু-পেয়াজের জন্য আমাদের এ রাষ্ট্রটি ভারতকে দিয়ে দিতে হবে। কোন কোন কাপুরুষ বলছে আমরা যদি আপষে ভারতকে আমাদের রাষ্ট্রটি উপহার না দেই তবে তারা আমাদেরকে পিষে দিবে। ভারতকেই যদি আমরা আমাদের রাষ্ট্র উপহার দেই তবে আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এটি স্বাধীন করে ছিলাম কেন? পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হতে আমরা ভারতের সহায়তা নিয়ে ছিলাম, তাহলে ভারত থেকে স্বাধীনতা রক্ষায় আমরা পাকিস্তানের সহায়তা কেন নেব না? পাকিস্তান যদি আমাদেরকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর কৌশল শিখিয়ে দেয় তবে ক্ষতি কি? এতে আমাদের ক্ষতি না হলেও ভারতের ক্ষতি। কারণ তাতে করে তারা আমাদেরকে সহজে কাবু করতে না পারার আশংকা রয়েছে।
ভারত তার চিকেন নেক মোটা করতে আমাদের রংপুর চাচ্ছে এবং বন্দর সুবিধার জন্য চাচ্ছে আমাদের চট্টগ্রাম। তারাও যদি চিকেন নেক ও ত্রিপুরা আমাদেরকে দেয় তবে আমাদের অনেক ভালো হয়। আমাদের সুবিধার জন্য আমরা ভারতের সাথে যুদ্ধ করতে চাই না। কিন্তু ভারত আমাদের সাথে যে সব উস্কানি মূলক আচরণ করছে তাতে তাদের যুদ্ধের ইচ্ছার খানিকটা প্রকাশ ঘটছে। তার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকা দরকার।কিন্তু আমাদের মীরজাফরদের আমাদের আত্মরক্ষার প্রস্ততিতে অনেক ক্ষোভ। কিন্তু স্বাধীনতাকামীরা তাদের এ ক্ষোভকে পাত্তা দিচ্ছে না।
মীর জাফরেরা সংখ্যা লঘুদের সাথে অসদাচরণের মাধ্যমে ভারতের আমাদের দেশ আক্রমণের অযুহাত তৈরী করছে। কারণ মীর জাফরদের স্বাধীনতার চেয়ে পরাধীনতাই অধীক পছন্দ। স্বাধীন দেশের নিয়ম হলো সকল নাগরিকের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা। মীর জাফররা সকল নাগরিকের সমঅধিকার ও সমমর্যাদার বিধি লংঘন করে সংখ্যা লঘু ইস্যু তৈরী করছে। জাতীয় ঐক্যের জন্য আমাদেরকে সকল নাগরিকের সমঅধিকার ও সমমর্যাদার বিধি শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যেন কোন নাগরিক নিজদেশকে পরদেশ ভাবতে না পারে। যেগ্যতার ভিত্তিতে দেশের যে কোন নাগরিক যেন দেশের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন আমাদের মাঝে তেমন মানসিকতা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।ভারত তার নাগরিকদের সাথে অসদাচরণ করলে আমরা মানবিকতার খাতিরে এর প্রতিবাদ করব। কিন্তু সেই অযুহাতে আমরা আমাদের নাগরিকদের সাথে অসদাচরণ করতে পারি না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৮