
তারাও বলে যুদ্ধ হলে দেশ বড় হবে, এরাও বলে যুদ্ধ হলে দেশ বড় হবে; কিন্তু কেউ বলে না যুদ্ধ হলে অনেক মানুষ মরবে। যুদ্ধ হলে অনেক মানুষের চোখের পানি ঝরবে।যুদ্ধ হলে মানুষের কষ্টের শেষ থাকবে না। আর তারা দেশ বড় করলে আওয়ামী লীগের ভোট আরও বাড়বে।তাহলে যুদ্ধ করে তাদের কি লাভ?
একরত্তি বাংলাদেশ দখল করে ভারত তাদের দেশ আর কত বড় করবে? এখানে তাদের দেশের লোক বসবাস করতে আসবে না, উল্টা বাংলাদেশের জনগণ ভারতে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলবে। আর বাংলাদেশে যে সব তালেবান আছে তারা ভারতকে এক মূহুর্তের জন্য শান্তিতে থাকতে দিবে না। অবশেষে সিরিয়ার বাশারের মত ভারত বংলাদেশ ছেড়ে পালাবে। আর গাজওয়ায়ে হিন্দের কথা যা বলা হয়েছে তা’ বহুবার হয়েছে। মোহাম্মদ বিন কাসিম ও দাহিরের মধ্যে গাজওয়ায়ে হিন্দ হয়েছে। মোহাম্মদ ঘুরী ও পৃথিরাজের মধ্যে গাজওয়ায়ে হিন্দ হয়েছে। আহমদ শাহ আবদালী ও মারাঠাদের মধ্যে গাজওয়ায়ে হিন্দ হয়েছে। লক্ষণসেন ও বখতিয়ারের মধ্যে গাজওয়ায়ে হিন্দ হয়েছে। গৌরগবিন্দ ও ইলিয়াস শাহের মধ্যে গাজওয়ায়ে হিন্দ হয়েছে। সুলতান মাহমুদ সেটা বহুবার করেছেন। আর প্রতিবার হাদিস অনুযায়ী মুসলিম জয়ী হয়েছে। আইয়ুব ও শাস্ত্রীর যুদ্ধেও আইয়ুব জয়ী হয়েছেন। মোদী-ইউনুস যুদ্ধ হলে কে জয়ী হবে? হাদিস অনুযায়ী ইউনুস জয়ী হবে। তা’ না হলেও তালেবান যোদ্ধারা ভারতকে অতিষ্ট করে ছাড়বে। সিরিয়ায় তারা এগার বছর পর জয়ী হয়েছে গতকাল। আফগানে তারা জয়ী হয়েছে বিশ বছর পর। এরা জয়ী না হওয়া পর্যন্ত থামবে না।
এদিকে ওবায়দুল কাদের কি ফখরুল সাহেবের বাসায় বসে মোরগ পলাউ খাচ্ছেন। তার প্রভাবেই কি ফখরুল সাহেব ওবায়দুল কাদেরের মত কথা বলতে শুরু করেছেন। একাধারে অনেক দিন ক্ষমতায় থাকা ভালো তবে সেটা অনেক বেশী দিন হয়ে গেলে অসুবিধা। অনেক দেশের মত আমাদের দেশ এখন সে অসুবিধার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। আমাদের অসুবিধাকে অনেক ভারতীয় সুযোগ হিসাবে মনে করছে। তারা তাদের সরকারকে উসকাচ্ছে আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে। তাতে আমাদের কিছু নেংটি ইঁদুর ভয়ে শেষ। অথচ সেকালে গিয়াসউদ্দিন বলবন বাংলাকে বলেছেন বলগামপুর বা বিদ্রহের নগরী। সে চরিত্র বাংলাদেশীদের এখনো আছে। ভারত বাংলাদেশ দখল করলেও বিদ্রোহীরা বিদ্রহ চালিয়ে যাবে। এভাবে তারা ভারতকে অতিষ্ট করে ছাড়বে। সেকালে বৃটিশ অতিষ্ট হয়ে ভারত ছেড়ে পালিয়েছে। তবে তারা আমাদের নিজেদের মাঝে মারামারির ব্যবস্থা রেখে গেছে। যুদ্ধ হলে দেখা যাবে চট্টগ্রাম স্বাধীন হয় নাকি সেভেন সিস্টারের কোন কোন সিস্টার স্বাধীন হয়। আর বিদ্রোহীরা সকল বাংলাভাষী অঞ্চল নিয়ে একটি দেশ কায়েম করতে চায়। তবে কারো ইচ্ছা এমনি এমনি পূরণ হয় না। এরজন্য কঠোর সাধনা করতে হয়। পরিশেষে কথা একটাই যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধে অনেক কষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



