জাতীয়তা অনুযায়ী আমাদের দেশে মূলত কোন সংখ্যা লঘু নাই।সুতরাং কোন নাগরিকের জীবন যাপনে কোন নাগরিক সমস্যা তৈরী করলে রাষ্ট্রকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেন কোন নাগরিক নিজদেশকে পরদেশ ভাবতে না পারে এবং পরদেশকে নিজ দেশ ভাবতে না পারে।জাতীয় ঐক্যের জন্য এটা বিশেষ জরুরী।
প্রত্যেক দেশেই বিবিধ মতের মানুষ বাস করে। এটা জাতীয় বিভাজনের কারণ হওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে সংঘাত হয়। আর সংঘাত জাতীয় অগ্রগতি ধীর করে দেয়। আমরা যেভাবে পিছিয়ে পড়েছি তাতে আমাদের জাতীয় অগ্রগতি দ্রুত হওয়া দরকার।দেশের সকল লোককে আমাদের লোক ভাবার চেতনা আমাদের মধ্যে তৈরী হওয়া দরকার। সেকালে শুনেছি ভারতে দাঙ্গা হলে আমাদের দেশে দাঙ্গা হয়। কিন্তু এটা ঠিক ছিল না। আমরা বরং মানবিকতার জন্য ভারতের প্রতি এর প্রতিবাদ জানাতে পারতাম। আর আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে পারতাম। রায়টে আমাদের গ্রামের একটা পরিবার আক্রান্ত হয়েছিল। পরে সেই পরিবারের ছেলে যখন আমার মেয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় আমি তখন বলেছি এ বিষয়ে তোমার মা-বাবাকে রাজি করাও। কিন্তু আমার মেয়েকে পাওয়ার প্রত্যাশার জন্য আমি ছেলেটিকে অসম্মান করিনি। আমার মেয়েকে না পেলেও আমার মনে হয় ছেলেটি কোন দিন আমাকে অসম্মান করবে না। আমাদের নাগরিকদের প্রতি আমাদের আত্মিক টান থাকলে আমরা তাদেরকে অসম্মান করব না। অনেক প্রকল্প থাকবে যাতে আমরা সবাই থাকব। আমাদের পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সম্মানবোধ থাকলে তা’ প্রকল্পের সাফল্যে কাজে দেবে এ বিষয়টা আমরা ভাবছি না কেন? আমাদেরকে তো আমাদের সবাইকে নিয়েই দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে।
আমরা যদি একটা জাতীয় চেতনা গড়ে তুলতে পারি। তা’ যদি আমাদের প্রতিবেশী দেশ সমূহে বিস্তার লাভ করে, তাহলে তা’ আমাদের সবার জন্য ভালো হবে। ভাঙ্গা-গড়া চলতে থাকলে কোন অঞ্চল এগিয়ে যেতে পারে না। গড়া চলবে ভাঙ্গা চলবে না, এমন হলেই কোন অঞ্চল এগিয়ে যায়। অখন্ড ভারত প্রত্যাশি এবং খেলাফত প্রত্যাশিদের ইচ্ছা হলো যুদ্ধ। এদেরকে সুযোগ করে দিলে শান্তিপ্রিয়গণ শান্তিতে থাকতে পারবে না। শান্তির জন্য শান্তিপ্রিয়গণকে সরব থাকতে হবে।
বাংলাদেশীরা এমনতেই শান্তিপ্রিয় ভদ্রজাতি।ভারতীয়দের মধ্যে এর ঘাটতি থাকলেও তাদের সরকারের উত্তেজনা খানিকটা কমেচে বলে মনে হয়। তবে আমি আবারও বলছি যুদ্ধ যদি একান্তই হয় তবে তাতে মূলত ভারতের ক্ষতি ছাড়া লাভের কিছুই হবে না। এটা ভালোভাবে বুঝে গেলে বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের উত্তেজনা একদম থেমে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৬