নেতানিয়াহু বলেছে তাদের সাথে অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র আছে। সে মুসলিম বিশ্বকে বড় রকমের হুমকি দিয়েছে। সে গণহত্যা চালাচ্ছে। আত্মরক্ষায় মরিয়া মুসলিমরাও গণহত্যা চালাবে। তখন আর সভ্যতার বাণীতে কাজ হবে না। তখন অসভ্যতার বদলে অসভ্যতা চলবে। ইসরাইল ও তার বন্ধুরা অসভ্যতাই কামনা করছে বলে মনে হয়। ভারতে এর কিছু আলামত দেখা যাচ্ছে। মুসলিমরা এককালে দূর্বল থাকে, তারপর তারা সবল হয় এমন দেখা গেছে। তাদেরকে অংকুরে বিনাশের একটা প্রচেষ্টা হয়েছিলো। তারপর তারা একটা বড় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত টিকে ছিল। এখন তারা বিশ্ববিস্তৃত। এখন তাদেরকে বিনাশের চেষ্টা মানে তাদের বিশ্ব জয়। তারপর তারা গণহত্যা চালানো মানে বিশ্বে তারা ছাড়া আর কেউ থাকবে না। সুতরাং টিকে থাকার জন্য অমুসলিমদেরকে মুসলিম বিনাশের প্রচেষ্টা বাদ দিতে হবে।
দেড় হাজার বছরের ইতিহাস বলছে মুমসলিমরা লড়াই থেকে ফিরে আসে না। কারণ তারা বিশ্বাস করে তারা শহীদ হয়ে জান্নাতে চলে যায়। কোন কাজে লেগে থাকলে সাফল্য আসে। সেজন্যই আত্মরক্ষার সংগ্রামে তাদের বিজয় আসবেই- ইনশাআল্লাহ। আফগান যুদ্ধ থেকে অমুসলিমরা শিক্ষা নিতে পারে। ফিলিস্তিনীরাও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। চারভাগের তিনভাগ যখন চারভাগের একভাগের বিনাশে নামবে তখন চারভাগের একভাগ জয়ী হলে জনসংখ্যা আটভাগের একভাগ থাকবে। তাহলে বিশ্ব জনসংখ্যা কি হারে কমবে? মোহাম্মদ (সা.) এর কথা থেকে এ হিসাব বুঝা যায়।
মোহাম্মাদ (সা.) এর কথা অমুসলিমরা বিশ্বাস করবে না। তারা মুসলিম বিনাশের চেষ্টা চালাবেই। তারা গণহত্যা ও মসজিদ ভাঙ্গার মাধ্যমে মুসলিমদেরকে লড়াইয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। একটা ঝামেলার কথা হলো অনেক মুসলিম নাস্তিক মরবে মুসলিম নামের কারণে। পাল্টা-পাল্টি গণহত্যায় বিশ্বের আট ভাগের সাত ভাগ মানুষ মরে যাবে। তারপর বিশ্বে শুধু মুসলিম থাকবে। এটা যুদ্ধের কারণে হবে। বিশ্বের জনসংখ্যা বেশী পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় বেশী পরিমাণে জনসংখ্যা কমে বিশ্ব হালকা হবে। তারপর যারা থাকবে তাদের অভাব থাকবে না।
পরের কথা আগে অনুমাণে বলা যায়। অস্ত্র থাকলেই জয় আসে না। অস্ত্র বেদখল হয়ে শত্রুর হাতে চলে গেলে নিজের অস্ত্রে নিজেকেই মরতে হয়। অমুসলিমদের পক্ষ ত্যাগের কারণে তাদের অস্ত্রের দখল হারানোর কারণ হবে। এটা অতীতেও ঘটেছে। তাদের টিকে থাকার জন্য উত্তম পদ্ধতি মুসলিমদের সাথে সমঝোতা। এখনো সময় আছে। যুদ্ধ বেশী দূর গড়ালে সমঝোতার পথ থাকবে না। কিন্তু ব্যাপক জয়ে অমুসলিমরা যুদ্ধে উৎসাহী হচ্ছে। আর এভাবে তারা তাদের বিনাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪