somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলিম বিহীন বিশ্ব গড়ার চেষ্টা বিশ্ব জনসংখ্যা অনেক কমিয়ে দিবে

২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নেতানিয়াহু বলেছে তাদের সাথে অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র আছে। সে মুসলিম বিশ্বকে বড় রকমের হুমকি দিয়েছে। সে গণহত্যা চালাচ্ছে। আত্মরক্ষায় মরিয়া মুসলিমরাও গণহত্যা চালাবে। তখন আর সভ্যতার বাণীতে কাজ হবে না। তখন অসভ্যতার বদলে অসভ্যতা চলবে। ইসরাইল ও তার বন্ধুরা অসভ্যতাই কামনা করছে বলে মনে হয়। ভারতে এর কিছু আলামত দেখা যাচ্ছে। মুসলিমরা এককালে দূর্বল থাকে, তারপর তারা সবল হয় এমন দেখা গেছে। তাদেরকে অংকুরে বিনাশের একটা প্রচেষ্টা হয়েছিলো। তারপর তারা একটা বড় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত টিকে ছিল। এখন তারা বিশ্ববিস্তৃত। এখন তাদেরকে বিনাশের চেষ্টা মানে তাদের বিশ্ব জয়। তারপর তারা গণহত্যা চালানো মানে বিশ্বে তারা ছাড়া আর কেউ থাকবে না। সুতরাং টিকে থাকার জন্য অমুসলিমদেরকে মুসলিম বিনাশের প্রচেষ্টা বাদ দিতে হবে।

দেড় হাজার বছরের ইতিহাস বলছে মুমসলিমরা লড়াই থেকে ফিরে আসে না। কারণ তারা বিশ্বাস করে তারা শহীদ হয়ে জান্নাতে চলে যায়। কোন কাজে লেগে থাকলে সাফল্য আসে। সেজন্যই আত্মরক্ষার সংগ্রামে তাদের বিজয় আসবেই- ইনশাআল্লাহ। আফগান যুদ্ধ থেকে অমুসলিমরা শিক্ষা নিতে পারে। ফিলিস্তিনীরাও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। চারভাগের তিনভাগ যখন চারভাগের একভাগের বিনাশে নামবে তখন চারভাগের একভাগ জয়ী হলে জনসংখ্যা আটভাগের একভাগ থাকবে। তাহলে বিশ্ব জনসংখ্যা কি হারে কমবে? মোহাম্মদ (সা.) এর কথা থেকে এ হিসাব বুঝা যায়।

মোহাম্মাদ (সা.) এর কথা অমুসলিমরা বিশ্বাস করবে না। তারা মুসলিম বিনাশের চেষ্টা চালাবেই। তারা গণহত্যা ও মসজিদ ভাঙ্গার মাধ্যমে মুসলিমদেরকে লড়াইয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। একটা ঝামেলার কথা হলো অনেক মুসলিম নাস্তিক মরবে মুসলিম নামের কারণে। পাল্টা-পাল্টি গণহত্যায় বিশ্বের আট ভাগের সাত ভাগ মানুষ মরে যাবে। তারপর বিশ্বে শুধু মুসলিম থাকবে। এটা যুদ্ধের কারণে হবে। বিশ্বের জনসংখ্যা বেশী পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় বেশী পরিমাণে জনসংখ্যা কমে বিশ্ব হালকা হবে। তারপর যারা থাকবে তাদের অভাব থাকবে না।

পরের কথা আগে অনুমাণে বলা যায়। অস্ত্র থাকলেই জয় আসে না। অস্ত্র বেদখল হয়ে শত্রুর হাতে চলে গেলে নিজের অস্ত্রে নিজেকেই মরতে হয়। অমুসলিমদের পক্ষ ত্যাগের কারণে তাদের অস্ত্রের দখল হারানোর কারণ হবে। এটা অতীতেও ঘটেছে। তাদের টিকে থাকার জন্য উত্তম পদ্ধতি মুসলিমদের সাথে সমঝোতা। এখনো সময় আছে। যুদ্ধ বেশী দূর গড়ালে সমঝোতার পথ থাকবে না। কিন্তু ব্যাপক জয়ে অমুসলিমরা যুদ্ধে উৎসাহী হচ্ছে। আর এভাবে তারা তাদের বিনাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪
১৭টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×