সাবেক ভারত শাসক মোগলরা না থাকলেও আফগানরা তো আছেই। পাক-ভারত যুদ্ধে উভয়পক্ষ ক্লান্ত হলে আফগানরা তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতেই পারে।তখন আবার দিল্লির মসনদে তাদেরকে দেখা যেতে পারে। আর মোগলরাও মূলত আফগানিস্তানের লোকই ছিল। এদিকে আফগানদের নিকট অতীতে বড় শক্তির সাথে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারপর আফগানরা পরমাণু শক্তিধর শক্তি হয়ে কাল পতাকা উড়িয়ে ইসরাইলর উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারে। কারণ ভারত বন্ধু ইসরায়েল আফগানদের ভারত জয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।আফগানরা ইসরায়েল জয় করার পর ফিলিস্তিন তাদের হারানো রাষ্ট্র ফিরে পাবে। দক্ষিন এশিয়ার যুদ্ধে ইসরাইল ছাড়া আর কোন পক্ষকে ভারতের পক্ষে না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।ভারত অহিন্দু শাসনে হাজার বছর থাকার পর হিন্দু শাসন ফিরে পেয়ে তাদের সকল প্রজার সাথে বন্ধু সুলভ আচরনে সক্ষম হয়নি। এমনকি তারা হরিজনদের সাথেও সঠিক আচরণ করেনি।
উগ্র হিন্দুরা সৌদি আরব জয় করে কাবা ঘরকে শিব মন্দির বানানোর স্বপ্ন দেখে। কিন্তু শেষ তক তাদের নিজ দেশের মন্দির সমূহ টিকে থাকে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। যুদ্ধে উভয় পক্ষ জয়ের আশা করলেও শেষ পর্যন্ত এক পক্ষ হেরে যায়।মুসলিমরা হারে না। কারণ তারা হার মানে না। এত কিছুর পরেও হামাস হাল ছাড়েনি। মহানবির (সা.) সময় থেকে মুসলিমদের এমন অবস্থা। তারপর তারা একটা সাম্রাজ্য স্থাপনে সক্ষম হয়েছে। পক্ষ ত্যাগ মুসলিমবিজয়ের একটি অন্যতম প্রধান কারণ। কুরাইশ নেতা হযরত আবু সুফিয়ান (রা.) কন্যা প্রথমে মহানবির (সা্.) স্ত্রী হন। অশেষে অবশেষে তাঁর পুত্র হযরত মুয়াবিয়া (রা.) মুসলিম হলে হযরত আবু সুফিয়ান (রা.) নিজেও মুসলিম হন। তারপর মহানবি (সা.) মক্কা জয় করেন। পক্ষ ত্যাগের এ বিষয়টি সামনেও ঘটতে পারে। যাতে অমুসলিমদের মনবল ভেঙ্গে যেতে পারে, যা মুসলিম বিজয়ে সহায়ক হবে।
ইসরাইল ও তাদের বন্ধুরা মুসলিমদের মনে অনেক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সেই ক্ষোভের আগুনে তারা শেষ হয়ে যেতে পারে। মুসলিম এখন বিশ্ব বিস্তৃত। তাদেরকে শেষ করা এখন আর সম্ভবের মধ্যে নেই। তাদেরকে শেষ করা না গেলে যারা তাদেরকে শেষ করতে চায় তারা তাদেরকে শেষ করে দেয়। এখন তাদের মনে ক্ষোভ একটু বেশী আছে। সে জন্য তারা হয়ত শত্রুপক্ষকে আর দয়া দেখাবে না। তাদের মধ্যকার উগ্রগুষ্ঠিকে থামানো যাবে না। সুতরাং মুসলিম বিরোধী ব্যাপক যুদ্ধে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রচুর পরিমাণে কমে যাবে।সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান একটি ভালো বিষয় ছিল। অমুসলিম উগ্রগুষ্ঠি শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থানের সুনীতি লংঘন করছে। তাদের অপরাধ তাদের বিলুপ্তিকে তরাম্বিত করবে। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে হিন্দুরা মুসলিমদের সাথে হেরে ছিল। তখন বৃটিশ ভারত দখল করেছে। এবার আফগানরা ফিরে আসার সম্ভাবনা। অমুসলিমদের অস্ত্র থাকলে কি হবে, যদি তাদের অস্ত্রের দখল হাত ছাড়া হয় তাহলে তাদের অস্ত্রেই তাদেরকে ঘায়েল হতে হবে। যুদ্ধে এমন হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৯