ভারত হয়ত এবার যুদ্ধকরেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির দখল করতে চায়। পাকিস্তানও হয়ত যুদ্ধকরেই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির দখল করতে চায়। এমতাবস্থায় ভারতের পাশে ইসরাইল এবং পাকিস্তানের পাশে চীন থাকার কথা শুনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় যুদ্ধ হলে বুঝা যাবে কোন পক্ষ জয়ী হয়, নাকি যুদ্ধের ফলাফল শূন্য অবস্থা থাকে।অবস্থা যাই ঘটুক তাতে উভয় পক্ষ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের অভ্যন্তরিন যুদ্ধ। তাতে স্থানীয় শক্তি দূর্বল হওয়ায় বৃটিশ প্রায় দুইশত বছর ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করে।স্থানীয় শক্তি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পর বৃটিশ ভারতীয় উপমহাদেশ ছেড়ে যায় এবং স্থানীয়দের মাঝে একটা ঝগড়ার ব্যবস্থা করে যায়। সেইটাই এখনো স্থানীয়দের মাঝে চলমান অবস্থায় রয়েছে।
ভারত একাত্তরে বাংলাদেশকে সাথে নিয়ে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে জয়ী হয়। এখন পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে সাথে পাচ্ছে না। ইসরায়েল-আমেরিকা ভারতের পাশে থাকলেও সাথে থাকছে না।তারা পুচকে গাজার সাথের যুদ্ধটাই এখনো শেষ করতে পারেনি। সেজন্য তারা ভারতের সাথে থাকতে পারছে না। সুতরাং পাকিস্তানের সাথের এবারের যুদ্ধটা ভারতকে একাই করতে হবে। আর পাকিস্তানের সাথে ভারতের একা যুদ্ধে জয়ের রেকর্ড নাই। এদিকে যুদ্ধে ভারত পাকিস্তান দূর্বল হলে তাদের স্বাধীনতা কামীরা স্বাধীন হতে পারে। এতে করে এ অঞ্চলে আরো দশটি নতুন রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটতে পারে।তাতে কাস্মির কোন দেশের না হয়ে স্বাধীন হয়ে যেতে পারে।
ইসরাইল উচ্চাভিলাষী হয়ে উঠেছে। তারা মধ্যপ্রাচ্যে একটা সাম্রাজ্যের মালিক হতে চায়। তাদের সাথে আছে শক্তিশালী রাষ্ট্র সমূহ। তবে তাদের সাম্রাজ্য হবে মাকড়সার জালের মত। তৈরী হওয়ার পরেই ওটা ছিহ্ন-ভিন্ন হয়ে যাবে।তারপর উচ্চাভিলাসের মাসুল হিসাবে তাদেরকে বিলুপ্ত হতে হবে। সেকালে ভারতীয়রা মুসলিমদেরকে যবন বা জল্লাদ আখ্যা দিয়ে ছিল। সেই জল্লাদের দেশে সাম্রাজ্য বিস্তারের উচ্ছাভিলাষের মাসুল বিলুপ্ত হওয়াই উপযুক্ত। ইসরায়েলের বন্ধু ভারতীয়রাও যবনের রোষানলে বিলুপ্ত হতে পারে।সেজন্য যুদ্ধ ছেড়ে সমঝোতাই ভারতের জন্য উপযুক্ত।
আমেরিকাকে সাথে নিয়ে পুচকে গাজার সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধের যে সাফল্য এটাকে আহমরি কিছু বলার সুযোগ নাই।বড় যুদ্ধে ইসরায়েল ও তার বন্ধুদের যে পরিমাণ শক্তি ক্ষয় হবে তারপর তারা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। আর মুসলিমদের ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে জয়ের রেকর্ড বহু আছে। রাশিয়া ও বৃটিশ মুসলিম দেশ সমূহ হজম করতে পারেনি। অন্য কোন শক্তিও তা’ পারবে না। মাঝখানে অহেতুক যুদ্ধে বহু কোটি মানুষ মারা যাবে। সেজন্য বলি যুদ্ধ নয় শান্তি। সংযতহোক সকল পক্ষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮