
সৃষ্টি বা তৈরী হয় লিমিট বা সীমা অনুযায়ী। সেজন্য লিমিট বা সীমা না দিলে সসীম বা লিমিটেড সৃষ্টি বা তৈরী হয় না।লিমিট বা সীমা না দিলে সসীম বা লিমিটেড না হয়ে অসীম হয়। অসীম একাধীক হয় না। কারণ একাধীক করতে অসীমে লিমিট বা সীমা দিতে হয় এবং লিমিট বা সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না, বরং সসীম হয়ে যায়। একাধীক না হতে পারার কারণে সকল অসীম একত্রিত হয়ে একাকার হয়ে এক (আহাদ) হয়েছেন। তিনি দেখলেন তিনি ছাড়া আর কিছুই নাই।তিনি যা হওয়ার ইচ্ছা করেছেন তিনি এর লিমিট (সীমা) দিয়ে হও বলার পর তা’ হয়েছে অথবা কোন কিছুর লিমিট দেওয়া হয়ে গেলে সেটা হয়ে যায়। সসীমের লিমিট (সীমা) প্রদানের জন্য তিনি সকল সসীমের সৃষ্টিকর্তা।সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখতে একে পালন করতে হয়, সেজন্য সৃষ্টিকর্তা হয়ে গেলেন পালনকর্তা।সসীমের জীবন যাপনেও লিমিট বা সীমা থাকতে হয়। পালনকর্তা লিমিট বা সীমা নির্ধারণ করে সসীমকে জীবন যাপন করতে দিলেন। সীমা বা লিমিট ক্রস করলে বিপত্তি ঘটে।সেজন্য এটা অপরাধ।অপরাধের শাস্তি থাকা এবং অপরাধ না করার পুরস্কার থাকা ন্যায় সঙ্গত। সেজন্য পালনকর্তা এসবের ববস্থা রাখলেন।
শাস্তি বা পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকায় এটা যাদের জন্য তাদেরকে এটা জানিয়ে দেওয়া সংগত। যাদের মাধ্যমে পালনকর্তা তাঁর কথা অন্যদেরকে জানালেন তাঁরা সংবাদ বাহক (নবি) এবং বার্তাবাহক (রাসূল)। সৃষ্টির চেতনায় অগ্রসরগণ সংবাদ বাহক (নবি) এবং বার্তাবাহক (রাসূল) হলেন। সৃষ্টির সাধারণ চেতনাধারী মুমিন এবং এ বিষয়ে অচেতন কাফের হলো।সংবাদ বাহক (নবি) এবং বার্তাবাহক (রাসূল) মনগড়া কথা বলেন না। তাঁরা প্রাপ্ত সংবাদ ও বার্তা (ওহী) অনুযায়ী কথা বলেন। মুমিন তাঁদের অনুসারী হয়। যারা মনগড়া কথা বলে তারা ওহীর পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে। ওহী অনুযায়ী চলার পুরস্কার জান্নাত এবং ওহী অনুযায়ী না চলার শাস্তি জাহান্নাম।
যারা মিথ্যা বলে তাদেরকে জিজ্ঞাস করবেন তাদের কথা কিভাবে সত্য? তারা বোধগম্য উত্তর প্রদানে সক্ষম না হলে তাদেরকে পরিত্যাগ করবেন। নতুবা তাদের সাথে থাকলে তাদের সাথে জাহান্নামে যেতে হবে। রানু জাহান্নামে যেতে চায়, তারমত আর যারা আছে রানুসহ তাদেরকে নচিহত করে তাতে কাজ না হলে তাদেরকে তাদের পথে ছেড়ে দিন। কিন্তু যারা জান্নাতে যেতে চায় সাধ্য অনুযায়ী তাদেরকে সহায়তা করুন।
শহীদ হওয়া জান্নাতে যাওয়ার সহজ পথ সেজন্য মুসলিম শহীদ হতে পছন্দ করে।মুসলিমের শহীদ হওয়াকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা ঠিক না।কাফেরের পরাক্রমকেও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা সংগত নয়। কারণ এটা ক্ষণিকের বিষয়। তারপর মৃত্যু হলে তারা তাদের নির্বুদ্ধিতা টেরপাবে। তখন তা সংশোধনের উপায় থাকবে না।সুতরাং সময় থাকতে সঠিক কাজ করা সবার দায়িত্ব।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৭:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



